বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড একটি আন্তঃবাহিনী সংস্থা। এই সংস্থাটি সশস্ত্র বাহিনীতে কমর্রত এবং অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও তাদের পরিবারবগের্র জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।
সংক্ষেপে | বিএএসবি |
---|---|
গঠিত | ১৯৪২ |
ধরন | সরকারি |
আইনি অবস্থা | সক্রিয় |
সদরদপ্তর | কাকরাইল, ঢাকা |
অবস্থান | |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা ও ইংরেজি |
পরিচালক | ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ রাশিদুল আলম, বিজিবিএম, পিবিজিএমএস |
প্রধান অঙ্গ | প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ |
ওয়েবসাইট | বিএএসবি |
ইতিহাস ও গঠন
সম্পাদনা১৯৪২ সালে অবিভক্ত বাংলার ঢাকা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বরিশাল এবং দিনাজপুর নিয়ে একটি আন্তঃবাহিনী সংগঠন গড়ে তোলে ব্রিটিশরা। যার নাম দেওয়া হয় ‘সৈনিক, নাবিক ও বিমানসেনা বোর্ড।’ এই বোর্ডের কাজ ছিলো সশস্ত্র বাহিনীতে কমর্রত এবং অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও তাদের পরিবারবগের্র জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে সহযোগিতা প্রদান করা। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে এই সংস্থাটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড।’ স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড’ নামে সংস্থাটিকে পূর্ননামকরণ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর সংস্থাটির অধিকাংশ কার্যক্রম বিভাগের হাতে ন্যস্ত হয়।
কার্যক্রমসমূহ
সম্পাদনা- অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণের পোষ্যদের পারিবারিক পেনশন পদ্ধতিতে সহযোগিতা করা।
- জেলা শহরে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান।[১]
- অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণের মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিক অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া ও সৎকার/দাফনের ব্যবস্থাপনা।
- অবসরপ্রাপ্ত দুঃস্থ ও ছিন্নমূল সদস্যগণের জন্য বিনামূল্যে নিরাপদ মানসম্মত বৃদ্ধাশ্রম পরিচালনা।[২]
- সুদ ও জামানতবিহীন ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন।[৩]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "মেডিকেল ডিসপেনসারি, বিএএসবি"। basb.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৫।
- ↑ "দুঃস্থ ভাতা, বিএএসবি"। basb.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৫।
- ↑ "বিএএসবি'র কার্যক্রম"। basb.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৫।