বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল

বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল হল নার্সিং পরিষেবা এবং শিক্ষার জন্য দায়বদ্ধ একটি সরকারী নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। রাশিদা আক্তার এই পরিষদের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত আছেন।

বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল
গঠিত১৯৭১
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
ওয়েবসাইটwww.bnmc.gov.bd
প্রাক্তন নাম
বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল

ইতিহাস সম্পাদনা

ভারত ভাগের আগে বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিলের অধীনে তিনটি জুনিয়র নার্সিং স্কুল থেকে নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। ১৯৪৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম পেশাদার সিনিয়র নার্সিং স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মাদ্রাজ থেকে আগত কয়েকজন প্রশিক্ষক, সিস্টার এবং কর্মী নার্স দ্বারা এটি পরিচালিত হত। সে সময় নার্সিং সেবার অধীক্ষকের পদটি সৃষ্টি করা হয়। দেশ ভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে নার্সিং কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নার্সিং সেবার অধীক্ষক ওই কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত নিবন্ধরক্ষক হন।

১৯৪৯ সালে একদল নার্সকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণের জন্য ইংল্যান্ডে প্রেরণ করা হয়, ফিরে আসার পর তাদের নার্সিং সেবা বিভাগের বিভিন্ন নেতৃত্বের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৫০ সালে তৎকালীন সরকার বিদেশে পড়াশুনার জন্য নার্সদের ফেলোশিপ প্রদান করে। ডাব্লুএইচও ১৯৫২ সালে নার্সিংয়ের ক্ষেত্রে তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া শুরু করে, ফলস্বরূপ শিক্ষামূলক কর্মসূচিগুলি হালনাগাদ হয়।

১৯৫২ সালে নার্সিং শিক্ষা এবং সেবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে পূর্ব পাকিস্তান নার্সিং কাউন্সিল গঠিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর এর নামকরণ হয় বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল।[১]

১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা পায়। ২০১৬ সালে জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন পাস হয়, ফলে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল অবলুপ্ত হয়ে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলে পরিণত হয়।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "পটভূমি"www.bnmc.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২০ 
  2. "বাংলাদেশে নার্সিং সেবা: একটি পর্যালোচনা"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২০