নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর

বাংলাদেশ সরকারের একটি অধিদপ্তর

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি অধিদপ্তর। এখান থেকে বাংলাদেশের সরকারি খাতের নার্সিং ও ধাত্রীবিদ্যা সম্পর্কিত সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ২০১৬ সালের নভেম্বরে তৎকালীন সেবা পরিদপ্তরকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়।[]

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর প্রধান ফটক
প্রতিষ্ঠিত১৯৭৭
ধরনসরকারি প্রতিষ্ঠান
মহাপরিচালক
সিদ্দিকা আক্তার
প্রধান প্রতিষ্ঠান
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
ওয়েবসাইটdgnm.gov.bd

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৭৭ সালে সেবা পরিদপ্তর গঠিত হয়। বাংলাদেশের নার্সিং ব্যবস্থাপনা ও সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটি গঠিত হয়েছিল। ১৬ নভেম্বর ২০১৬ সালে সেবা পরিদপ্তরকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর হিসেবে উন্নীত করা হয়।[]

জনকাঠামো

সম্পাদনা

অধিদপ্তর পরিচালিত হয় একজন মহাপরিচালক এর নেতৃত্বে৷ অধিদপ্তর তার কার্যক্রমের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিকট দায়বদ্ধ। সিদ্দিকা আক্তার ২০২০ সাল থেকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।[] বর্তমানে দেশের সকল স্বাস্থ্যসেবা ও নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩২,৫৪৭ জনের অধিক নার্স, ১১৪৯ জন মিডওয়াইফ ও ৮৭৬ জন নন-নার্সিং কর্মকর্তা ও কর্মচারী সরকারি চাকুরিতে নিয়োজিত আছেন।[]

কর্মকাণ্ড

সম্পাদনা

দেশের ৪৬টি সরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৭৩০টি আসনে ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এবং ৬০টি প্রতিষ্ঠানে ১৭৭৫ টি আসনে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স চালু করা হয়েছে।[] ইউএনএফপিএ কর্তৃক ৩১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যৌন এবং প্রজননস্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ে ওয়েব ভিত্তিক মাস্টার্স অন মিডওয়াইফারি কোর্স চালু করা হয়েছে। এযাবৎ মোট ৬০ জন মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করেছে এবং ৬০ জন চলমান আছে। ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষে দুই জন করে মোট চার জন মিডওয়াইফস ফ্যাকাল্টি ওয়েব-ভিত্তিক পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়ন করছেন। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি এডুকেশন এ্যান্ড সার্ভিসেস (নেমস) কার্যকর পরিকল্পনার আওতায় ১৬ জন নার্স থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বিভিন্ন বিষয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করে জাতীয় নার্সিং উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও দেশের বিভিন্ন নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। এ ছাড়াও, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ১৪০ জন সিনিয়র স্টাফ নার্সকে ৬টি বিশেষ বিষয়ে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র/হৃদপরিচর্যা কেন্দ্র, ফুসফুস পরিচর্যা, শিশু পরিচর্যা, প্রবীণ পরিচর্যা, কর্কটরোগবিদ্যা) থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।[]

বহিসংযোগ

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "সেবা পরিদপ্তর হলো অধিদপ্তর | শেষ পাতা"archive1.ittefaq.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "ইতিহাস|নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর"dgnm.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১১ 
  3. "নার্সিং অধিদপ্তরের ডিজি বেগম সিদ্দিকা আক্তার"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "সরকারি নার্সিং কলেজের তালিকা"bd.mynursing.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-০৮