বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে নিত্য নতুন গম ও ভুট্টা উদ্ভাবনের চেষ্টায় নিয়োজিত একটি প্রতিষ্ঠান। দিনাজপুর জেলার নশিপুরে এই সংস্থার সদর দপ্তর অবস্থিত।[১] গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করে।[২]
সংস্থার রূপরেখা | |
---|---|
গঠিত | ২০১৭ |
যার এখতিয়ারভুক্ত | গবেষণা প্রতিষ্ঠান |
সদর দপ্তর | দিনাজপুর |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনাবাংলাদেশে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়ানো ও গবেষণার জন্য ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৫ জুন ২০১৭ তারিখে ‘বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭’ সংসদে উত্থাপন করা হয়। [৩] পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ১৩ নভেম্বর বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।[১]
এই আইনের ফলে পূর্বের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গম গবেষণাকেন্দ্র এবং ভুট্টা শাখা বিলোপ হয়।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট একটি সদ্য প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে ত্বরান্বিত গম গবেষণা কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশে গম গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয় যা সফলভাবে ১৯৭৫ সালে সমাপ্ত হয়। ১৯৮৪ সালে দিনাজপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে গম গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত হয়। বিগত ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮খ্রি. তারিখে তৎকালীণ ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনাজপুরে এক জনসভায় গম গবেষণা কেন্দ্র-কে পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট-এ উন্নীতকরণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জুলাই ১৯৯৯ থেকে জুন ২০০৭ খ্রি. মেয়াদে “গম গবেষণা কেন্দ্রকে গম গবেষণা ইনস্টিটিউট-এ উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ব্রিজিং প্রকল্প” বাস্তবায়িত হয়। ২০০৬ সালে গম ফসলের সাথে ভুট্টাকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিগত ০৮ জুন ২০১৪খ্রি. তারিখে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তুতকৃত “বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৬ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয় এবং ৩১ অক্টোবর ২০১৬খ্রি. তারিখে মন্ত্রীসভায় আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। গত ১৩ নভেম্বর ২০১৭খ্রি. তারিখে “বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৭” মহান জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে এবং ২২ নভেম্বর ২০১৭খ্রি. গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে উক্ত আইন বলবৎ হয়েছে। এর প্রধান কার্যালয় দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার নশিপুরে অবস্থিত। একজন মহাপরিচালক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মহাপরিচালক ৩ টি উইং-যথা গবেষণা, প্রশাসন ও অর্থ, প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা ও প্রযুক্তি হস্তান্তর-এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। খসড়া সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির অধীন ৫টি আঞ্চলিক কেন্দ্র, ২টি বীজ উৎপাদন কেন্দ্র, ১৪ টি বিভাগ ও ১০টি শাখা রয়েছে।
রূপকল্প ও অভিলক্ষ্য
সম্পাদনারূপকল্প: - বাংলাদেশের জলবায়ুর উপোযোগী গম ও ভুট্টার জাত উন্নয়ন - বাংলাদেশে গম ও ভুট্টার জন্য টেকসই উৎপাদন প্রযুক্তির উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও ব্যবস্থাপনা - বাংলাদেশী জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
অভিলক্ষ্য:
- বাংলাদেশে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধি করা
- গম এবং ভুট্টার জৈব এবং অজৈব পীড়ন সম্পর্কে গবেষণা করা
- শস্য ব্যবস্থাপনা, মৃত্তিকা সংরক্ষণ, পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা, কৃষি যন্ত্রপাতি এবং গম ও ভুট্টার ফসলোত্তর প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়ে গবেষণা করা
- উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশি কৃষকদের কাছে প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তিসহ গম ও ভুট্টার জাতের যথাযথ প্রচার
- বাংলাদেশে গম ও ভুট্টা ভিত্তিক শিল্পের জন্য প্রযুক্তি তৈরি করা।
[৪]
সম্মাননা
সম্পাদনা- স্বাধীনতা পুরস্কার (২০২২)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল পাস"। প্রথম আলো। ১৩ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান"। চ্যানেল 24। ১৫ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২২।
- ↑ "গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল সংসদে"। প্রথম আলো। ১৫ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৮।
- ↑ বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন