বড়দিন বাংলাদেশ এবং পার্শ্ববর্তী পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পালিত একটি উৎসব।

বড়দিনের জন্য প্রস্তুতি (২০১২)।

ইতিহাস সম্পাদনা

ষোড়শ শতাব্দীতে পর্তুগিজ ব্যবসায়ী ও ধর্মপ্রচারগণ খ্রিস্টধর্ম বঙ্গে নিয়ে আসে।[১] বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ০.০৩ শতাংশ খ্রিস্টান।

উৎযাপন সম্পাদনা

বাংলাদেশের খ্রিস্টানরা বড়দিনে অপরকে উপহার দেয় এবং দেখাসাক্ষাত করে। বড়দিন বাংলাদেশের জাতীয় ছুটির দিন। বাচ্চারা বড়দের কাছ থেকে টাকা বা খেলনা উপহার পেয়ে থাকে। লোকেরা একে অপরকে "শুভ বড় দিন" বলে শুভেচ্ছা জানায়। গ্রামাঞ্চলে কলাগাছ এবং পাতা সাজানোর জন্য ব্যবহার করা হয়, তবে শহরে বড়দিনের বৃক্ষ, ব্যানার এবং বেলুন ব্যবহার করা হয়। হোটেলগুলিতে বিশেষ অনুষ্ঠানগুলি অনুষ্ঠিত হয় এবং বড়দিনের বিশেষ অনুষ্ঠানগুলি টিভিতে দেখানো হয়। ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে রয়েছে বড়দিনের কেক, পিঠা এবং বিস্কুট।[১] খ্রিস্টানরা গির্জা পরিদর্শন করে এবং বড়দিনের কেক তৈরি করে। গির্জা আলো এবং বড়দিনের বৃক্ষ দিয়ে সজ্জিত করা হয়। গির্জার গায়করা বড়দিনের গান পরিবেশন করে।[২] বড়দিনের সকাল গির্জায় বড়দিনের ভোজকে প্রীতিভোজ বলা হয় এবং কীর্তন বলা হয়।[৩]

বাংলাদেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও ক্রমবর্ধমানভাবে বড়দিন উদযাপন করছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে; থিম পার্ক, চিড়িয়াখানা এবং জাদুঘর পরিদর্শন, রেস্তোরাঁ এবং বাড়িতে ছোট বড়দিনের বাচ্চাদের পার্টি বা উপহার দেওয়া।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Christmas in Bangladesh"celebratingchristmas.co.uk। Celebrating Christmas। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  2. Das, Joyce। "Borodin – Christmas in Bangladesh"asiapacific.anu.edu.au। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  3. Rahman, Wafiur। "Celebrating Christmas in Bangladesh"dhakacourier.com.bd। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬