বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন নৌপরিবহন ব্যবস্থা

বাংলাদেশে মোট নৌপথের দৈর্ঘ্য ২৪,০০০ কিমি হলেও নৌপরিবহনযোগ্য নৌপথের দৈর্ঘ্য মাত্র ৫৯৬৮ কিমি তাও সেটি আবার শুষ্ক মৌসুমে কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৩,৮৬৫ কিমি এ। নৌপথের সম্ভাব্য ন্যুনতম গভীরতার (Least Available Depth, LAD) উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের এই আভ্যন্তরীন নৌচলাচল গতিপথকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়ঃ ক্লাস ১, ক্লাস ২, ক্লাস ৩ এবং ক্লাস ৪, যাদের সম্ভাব্য ন্যূনতম গভীরতা যথাক্রমে ৩.৬৬ মিটার, ২.১৩ মিটার, ১.৫২ মিটার এবং ১.৫২ মিটারের কম [১,৩]। এই চার ধরনের নৌপথের মধ্যে একমাত্র ক্লাস ৪ নৌপথগুলি মূলত মৌসুমী, বাকী নৌপথগুলি সারা বছর ধরে চালু থাকে।

প্রথম শ্রেণীর জলপথ সম্পাদনা

বাংলাদেশে ক্লাস ১ নদীপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৯৩ কিমি যা দেশের সর্বমোট পরিহনযোগ্য নৌপথের মাত্র ১১ শতাংশ। চারটি প্রধান নদীপথের সমন্বয়ের ক্লাস ১ নৌপথ গঠিতঃ চট্টগ্রাম থেকে চৈকিঘাটা, চাঁদপুর ও শম্ভুপুরা হয়ে নারায়ণগঞ্জ (বা ঢাকা); শম্ভুপুরা থেকে ডেমরা; শম্ভুপুরা থেকে ভৈরববাজার (বা আশুগঞ্জ); চৈকিঘাটা থেকে বরিশাল, মংলা, খুলনা হয়ে মহেশ্বরপাড়া।

দ্বিতীয় শ্রেণীর জলপথ সম্পাদনা

ক্লাস ১ নদীপথগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপনকারী নৌপথ হচ্ছে ক্লাস ২। প্রায় ১০০০ কিমি দীর্ঘ এই নৌপথগুলোকে আটটি অংশে ভাগ করা যায়ঃ মোহনপুর থেকে ডাইখাওয়া; ভৈরববাজার থেকে ছাতক; চালনা থেকে রায়মঙ্গল, হিজলা থেকে শায়েস্তাবাদ; চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার; দায়রা থেকে নন্দীরবাজার হয়ে বরিশাল এবং চাঁদপুর থেকে ইঁচুলি।

তৃতীয় শ্রেণীর জলপথ সম্পাদনা

ক্লাস ৩ নৌপথগুলিও মূলত সংযোগ স্থাপনকারী। প্রায় ১৯০০ কিমি দীর্ঘ এই নৌপথ মোট ১২টি অংশে বিভক্তঃ দিলালপুর থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ হয়ে জকিগঞ্জ; চট্টগ্রাম থেকে কাপ্তাই, কাপ্তাই থেকে বিলাইছড়ি; রামগতি থেকে ছোটহরিনা; রামগতি থেকে মহালছড়ি; রামগতি থেকে মরিশ্যা; শ্রীপুর (ভোলা) থেকে নাজিরপুর হয়ে চর মন্তাজ; ঝালকাঠি থেকে বরগুনা হয়ে পাথরঘাটা; চরপাওয়ার থেকে পটুয়াখালী, গলাচিপা হয়ে মহিপূর; এবং খুলনা থেকে বরদা হয়ে মানিকদাহ।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Potentials of inland water transport in Bangladesh"। ২৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯-০১-২০১৭  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)