বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত
বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় অবস্থিত একটি সমুদ্র সৈকত। এটি বাহারছড়া সমুদ্র সৈকত নামেও পরিচিত। সৈকতটি বালুচরবেষ্টিত সমুদ্র সৈকত। এটিতে দুটি প্রধান পয়েন্ট রয়েছে, একটি কদমরসুল পয়েন্ট এবং অন্যটি খানখানাবাদ পয়েন্ট। সৈকতটির দৈর্ঘ্য ৩৭ কিলোমিটার। কক্সবাজারের পর এটিই বাংলাদেশের ২য় দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।[১]
বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত | |
---|---|
অবস্থান | বাঁশখালী উপজেলা, চট্টগ্রাম |
স্থানাঙ্ক | ২২°০৩′৩৮″ উত্তর ৯১°৫২′২৬″ পূর্ব / ২২.০৬০৬৮৭° উত্তর ৯১.৮৭৩৮০২° পূর্ব |
সৈকতের দৈর্ঘ্য | ৩৭ কিলোমিটার (বাংলাদেশের ২য় দীর্ঘতম) |
অবস্থান
সম্পাদনাচট্টগ্রাম শহর থেকে এই সৈকতের দুরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া, গন্ডামারা, সরল, বাহারছড়া, খানখানাবাদ এলাকার উপকূলজুড়ে এই সৈকত অবস্থিত। সৈকতের পশ্চিম দিক জুড়ে পুরোটাই কুতুবদিয়া চ্যানেল। আর কাছেই কুতুবদিয়া দ্বীপ।[২] বাঁশখালীর গুণাগরি বাজার থেকে সরাসরি এই সৈকতে আসা যায়। সাড়ে চারশো বছরের পুরনো বকশি হামিদ মসজিদও এই সৈকত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
পরিবেশ
সম্পাদনা২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর সৈকতটিতে ঝাউ গাছ রোপন করা হয়েছে এবং তৈরি হয়েছে ঝাউ বাগান। এই সৈকতে পাওয়া যায় লাল কাঁকড়া। বিশেষ করে সকালে এই কাঁকড়াগুলো বেশি চোখে পড়ে। খুব ভালোভাবে এই সৈকত থেকে সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। শহর থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় এখানে পর্যটকের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে। বর্ষায় সৈকতটির প্রশস্ততা কিছুটা কমে যায়।[২]
চিত্রশালা
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বাঁশখালীতে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা"। কালের কন্ঠ। ১৪ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ "বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২০।