বলিভিয়ায় শিশুশ্রম

বলিভিয়ায় শিশুশ্রম সেখানকার একটি সাধারণ ঘটনা। মার্কিন শ্রম বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত ২০১৪ সালের একটি নথিতে দেখা যায় যে বলিভিয়ায় ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রায় ২০.২% বা ৩৮৮৫৪ জন শিশু সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে কাজে অংশগ্রহণ করে।[১] শহরাঞ্চলে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় আদিবাসী শিশুরা শ্রমের সাথে বেশি জড়িত।[১] শিশুশ্রমিকরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে, তবে বেশিরভাগ শিশুশ্রমিক কৃষি শ্রমের সাথে জড়িত। তারা শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে এই শ্রম বিতরন করে।[২] বলিভিয়া ১৯৯০ সালে শিশু অধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘের কনভেনশন অনুমোদন করেছে।[৩] বলিভিয়া ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের ন্যূনতম বয়স কনভেনশন, ১৯৭৩ (১৩৮) এবং আইএলও'র সবচেয়ে খারাপ শিশুশ্রম কনভেনশন (১৮২) অনুমোদন করেছে।[৪] জুলাই ২০১৪ সালে বলিভিয়ার সরকার নতুন করে শিশু ও কিশোর আইন করেছে, সেখানে নির্দিষ্ট কাজের পরিবেশ দেখা সাপেক্ষে ন্যূনতম কাজের বয়স দশ বছর করেছে।[৫] এ নতুন আইনে শর্ত করা হয়, দশ থেকে বারো বছরের শিশুশ্রমিক হিসাবে কাজ করতে পারে। পড়াশুনায় বাধা সৃষ্টি না হলে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের শিশুরা চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে পারে অথবা তারা নিজেদের পিতামাতার তত্ত্বাবধানে কাজ করতে পারে।[৬]

সংজ্ঞা সম্পাদনা

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা শিশুশ্রমকে এমন কাজ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে, যা "শিশুদের শৈশব, সম্ভাবনা ও মর্যাদা থেকে তাদের বঞ্চিত করে এবং এই শ্রম তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য ক্ষতি করে।"[৭] ইউনিসেফ শিশুশ্রমের সাথে জড়িত শিশুদেরকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করে যে, পাঁচ থেকে এগারো বছর বয়সী যে শিশুরা এক ঘন্টা অর্থনৈতিক কাজ করে বা সপ্তাহে ২৮ ঘন্টা গার্হস্থ্য কাজে অংশ নেয় এবং বারো থেকে চৌদ্দ বছরের মধ্যে যারা কমপক্ষে ১৪ ঘন্টা অর্থনৈতিক কাজে অংশ নেয় বা সপ্তাহে ২৮ ঘন্টা গৃহস্থালি কাজ করে তারা শিশুশ্রমিক।[৮]

কাজের ধরন সম্পাদনা

শিশুশ্রমিকদের একটি বড় অংশ অর্থাৎ প্রায় ৭০.৯% শিশু কৃষি খাতে নিযুক্ত থাকে। তারা ভুট্টা রোপণ ও ফসল তোলার মতো কাজ করে। এছাড়াও তারা গবাদি পশুর খামারে কাজ করে, বাদাম চাষ, আখ রোপণ ও ফসল কাটার কাজ করে।[১] গ্রামাঞ্চলের শিশুরা অল্প বয়সে কাজ শুরু করে। তারা ছোট খামারে শ্রম দেয়। তারা মাঝারি ও বড় বাগানে কাজ করে, যেমন বপন, ফসল কাটা, আগাছা কাটা এবং গবাদি পশুর যত্ন নেওয়া ইত্যাদি।[৯] যেসব শিশুরা জীবিকা নির্বাহে কাজ করে তারা ক্ষতিকারক রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসে এবং দীর্ঘ সময় ধরে এ কাজ করতে বাধ্য হয়, যা তাদের শিক্ষা গ্রহণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।[২] এটা জানা কথা যে, ক্ষুদ্র খামারে কাজ করার চেয়ে বৃক্ষরোপণের কাজ করা কঠিন। কেননা শিশুরা এতে কীটনাশক ও বিপজ্জনক অবস্থার মুখোমুখি হয়। বিশেষ করে যখন তারা খামারে কীটনাশক স্প্রে করার সরঞ্জাম ব্যবহার করে। এতে বিষের দ্বারা তাদের শরীর সংক্রমিত হয়।[৯] বলিভিয়ার গ্রামাঞ্চলে শিশুশ্রমিকদের দ্বারা খনন পরিচালিত করা একটি সাধারণ কার্যকলাপ বটে। আইএলও অনুমান করেছে যে, প্রায় ১৩,৫০০ জন শিশু খনির সাথে জড়িত।[২] খনিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিশুদের নিযোগ দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে কাজের ধরন, শিশুর বয়স ও লিঙ্গ দেখা হয়। মেয়ে ও ছোট বাচ্চারা কম বিপজ্জনক কাজের সাথে জড়িত থাকে, যেমন কাপড় ধোয়া ও খনির বাইরে খনিজদ্রব্য অনুসন্ধান করা। আর এ সময় ছেলেরা আসল খনিতে বিপজ্জনক কাজে জড়িত থেকে কাজ করে বা তারা খনিজ দ্রবীভূত করার মত আরও বিপজ্জনক কাজ করে থাকে।[৯] শহরাঞ্চলে শিশুরা কৃষির সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি শিল্প ও সেবার চাকরিতে কাজ করে থাকে। যেমন গৃহকর্মী, কাঠের কাজ, বিক্রয় প্রতিনিধি এবং পতিতাবৃত্তিও এর অন্তর্ভুক্ত।[২] শহরাঞ্চলে কাজগুলি লিঙ্গের ভিত্তিতে বিভক্ত করা হয়। যেখানে মেয়েরা বেশিরভাগ বাজারে বা গৃহকর্মে কাজ করে। তবে ছেলেরা নির্মাণ কাজে বা গ্যারেজে কাজ করার সময় শারীরিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করে। যেসব শিশু গৃহকর্মী এবং রাস্তায় কাজ করে তারা শারীরিক, মৌখিক এবং যৌন নির্যাতনের জন্য বেশি সংবেদনশীল হয়, কারণ এই শিশুদের জন্য খুব কম সুরক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।[৯] খনন, শিশু পতিতাবৃত্তি এবং কঠোর বৃক্ষরোপণের মতো শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুরা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় জড়িত থাকে। এ শিশুরা সমাজে শোচনীয় জীবনযাপন করে। তারা স্বাস্থ্যসম্মত পানি এবং ভাল স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে সীমিত সুবিধা পায়।[১০]

কারণসমূহ সম্পাদনা

দারিদ্র্য সম্পাদনা

বলিভিয়া দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম দরিদ্র দেশ, যার ৪৫% জনসংখ্যা দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।[১১] বলিভিয়ায় শিশুশ্রমের প্রধান কারণ হচ্ছে দারিদ্র্যতা। দরিদ্র পরিবারের শিশুরা তাদের পরিবারের কল্যাণ ও বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদাগুলি পূরণ করার জন্য কাজ করে।[১২] নিম্ন শিক্ষা অর্জনের সাথে নিম্ন জীবনযাত্রার মান দেশটির দারিদ্র্যতার হার ও শিশুশ্রমের বিস্তার বৃদ্ধি করে।[২] ইউনিসেফ রিপোর্ট করেছে যে, একটি পরিবারের আর্থিক উপার্জনের জন্য শিশুদের অতিরিক্ত কাজ করার সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে। কারণ অধিক অর্থ উপার্জনের জন্য শিশুরা অতিরিক্ত কাজ করে এবং বিপজ্জনক পেশায় কাজ করার ক্ষেত্রে শিশুদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা হ্রাস করে না।[১৩]

শিক্ষা সম্পাদনা

শিশুশ্রমের একটি প্রধান কারণ ও পরিণতি হচ্ছে, অধিক হারে শিক্ষার অভাব।[১৪] 'জিমনেজ' এবং 'ভেরা' দ্বারা বলিভিয়ায় শিক্ষা অর্জনের বৈষম্য নিয়ে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, শহুরে ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে একটি ব্যবধান বিদ্যমান রয়েছে। শহরাঞ্চলের শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির উচ্চতর হার ও শিক্ষার গুণগত মান রয়েছে।[১৫] আইএলও রিপোর্ট করে যে, স্কুলে ভর্তি হয় না এমন শিশুদের শতকরা হার ২.৫%, গ্রামীণ শিশুদের স্কুলের বাইরে থাকার হার বেশি।[১৬] জাপাতা, কন্ট্রেরাস ও ক্রুগার (২০১১) দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, বলিভিয়াতে শিশুশ্রম ও শিক্ষা অর্জনের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে লিঙ্গ ও জাতিগত ভূমিকা রয়েছে। তারা দেখেছে যে, মেয়েদের স্কুলে ভর্তি না হওয়া ও বেশিরভাগ গৃহস্থালি পেশায় কাজ করার সম্ভাবনা ৫১% বেশি এবং আদিবাসী শিশুদের ৬০% স্কুলে ভর্তি না হওয়া ও কাজ করার সম্ভাবনা বেশি।[১৭] উচ্চমানের শিক্ষার গুণগত মান খুব সীমিত। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা কম।[৯] পিতামাতার শিক্ষা অর্জন শিশুদের কাজ করার সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে। মাতার শিক্ষাগত অর্জনের মাত্রা যত বেশি, অর্থনৈতিক কাজে শিশুদের অংশ গ্রহণের সম্ভাবনা তত কম।[১৩]

সাংস্কৃতিক সম্পাদনা

শিশুশ্রমের কারণগুলি কেবল অর্থনৈতিক দুর্বলতার জন্যই নয়, সাংস্কৃতিক কারণেও হয়। ভারতীয় সংস্কৃতিতে, শিশুদের কাজকে সামাজিকীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ট হিসাবে দেখা হয়, কারণ এটি তাদের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি তাদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক মূল্যবোধ শিখতে সক্ষম করে।[৯] আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক সংগঠনের জন্য কাজ গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে শিশুরা পারিবারিক ইউনিটের সমন্বয় সাধনে অবদান রাখার জন্য কাজ করে এবং পুরো সম্প্রদায় শিশুদের সুরক্ষায় একসাথে কাজ করে।[১৮] শিশু ও শৈশবের সংজ্ঞার সাথে শিশুশ্রমের সাংস্কৃতিক কারণ নিহত। পশ্চিমা ধারণাগুলি শিশুদের দুর্বল ও অসহায় দিকগুলোকে শৈশব হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে। তারা শিশুদের রক্ষা করার জন্য শিশুশ্রম বন্ধের প্রচেষ্টার দিকে নিজেদেরকে পরিচালিত করে।[১৯] হ্যানসন এবং ভান্ডাইলের (২০০৩) মতে, শিশুশ্রমিকরা শৈশবের সংজ্ঞার ক্ষেত্রে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত নন। তারা সমাজে সামাজিক এজেন্ট হিসাবে শিশুদের মর্যাদায় কাজ করার অধিকার দাবি করেন।[২০]

শিশুশ্রম প্রতিকারে উদ্যোগ সম্পাদনা

ইউনিসেফ বলিভিয়া কান্ট্রি প্রোগ্রামে (২০১৩-২০১৭) ম্যানেজমেন্ট ও মনিটরিং সিস্টেমের সামাজিক পরিষেবাগুলিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা শিশুদের অপব্যবহার ও যৌন শোষণ থেকে রক্ষা করে।[২১] এই কর্মসূচীটি সামগ্রিকভাবে শিশুদের সামাজিক সেবার উন্নতি এবং শিশুদের অধিকারের প্রতিবাদ করতে চায়।[১] আইএলও'র ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম অন দ্য এলিমিনেশন অব চাইল্ড লেবার (আইপিইসি) বলিভিয়ায় শিশুশ্রম মোকাবিলার জন্য শিক্ষায় ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার প্রচারের মাধ্যমে কাজ করে। তারা গবেষণা ও পরিসংখ্যানের মাধ্যমে শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ রূপ পর্যবেক্ষণের উপর প্রভাব বিস্তার করে।[৭] বলিভিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুলে পিছিয়ে থাকা শিশুশ্রমিকদের জন্য "এক্সিলারেটেড লেভেলিং প্রোগ্রাম" সহ শিশুশ্রমিকদের শিক্ষাগত উন্নতির উদ্যোগ নিয়েছে।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "2014 Findings on the worst forms of child labor" (পিডিএফ)www.dol.gov। US Department of Labor। ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  2. Nam, Soo (Fall ২০১৩)। "Child labor in Latin America": 523–549। 
  3. "UNICEF-Bolivia Legislation"unicef.org। UNICEF। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  4. "ratifications of Bolivia, Plurinational State of"ilo.org। International Labour Organization। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  5. "Bolivia law allows 'self-employed children' aged 10 to work"। BBC News। ১৮ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  6. "Codigo del Niño, Niña, y Adolescente" (পিডিএফ)unicef.org। UNICEF। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  7. "What is child labour (IPEC)"ilo.org। International Labour Organization। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  8. "Unicef-Definitions"unicef.org। UNICEF। ২৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  9. editor, Hugh D. Hindman (২০০৯)। The world of child labor : an historical and regional survey ([Online-Ausg.] সংস্করণ)। M.E. Sharpe। পৃষ্ঠা 329–338। আইএসবিএন 978-0765617071 
  10. editor, G.K. Lieten (২০১১)। Hazardous child labour in Latin America (1. সংস্করণ)। Springer। আইএসবিএন 978-9400701762 
  11. "Bolivia Data"data.worldbank.org। The World bank। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  12. (compilador), Luis Felipe López Calva (২০০৬)। Trabajo infantil : teoría y lecciones de la América Latina (1. সংস্করণ)। Fondo de Cultura Económica। আইএসবিএন 9681681207 
  13. "Magnitud y Características del trabajo Infantil en Bolivia- Informe Nacional 2008" (পিডিএফ)unicef.org। UNICEF। ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  14. "Child labor and education in Bolivia"ilo.org। ILO। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  15. Jiménez, Wilson; Vera, Miguel। "Indigenous Population and Differences in Access to Primary Education in Bolivia" (পিডিএফ)www.focal.ca। FOCAL। ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  16. "Child labour and Education in Bolivia"ilo.org। ILO। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  17. Zapata, Daniela; Contreras, Dante (এপ্রিল ২০১১)। "Child Labor and Schooling in Bolivia: Who's Falling Behind? The Roles of Domestic Work, Gender, and Ethnicity" (পিডিএফ): 588–599। ডিওআই:10.1016/j.worlddev.2010.08.022 
  18. Ruiz, Domic (১৯৯৯)। Niños trabajadores : la emergencia de nuevos actores sociales। Programa de Investigación Estratégica en Bolivia। 
  19. Burman, Erica (১৯৯৪)। Deconstructing developmental psychology (1st publ. সংস্করণ)। Routledge। আইএসবিএন 0415064384 
  20. Hanson, Karl; Vandaele, Arne (১ মার্চ ২০০৩)। "Working children and international labour law: A critical analysis": 73–146। ডিওআই:10.1163/092755603322384038 
  21. "Bolivia-country programme document 2013-2017" (পিডিএফ)unicef.org। UNICEF। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫