বরসোদা রাজ্য

বরসোদা রাজ্য বা বরসোড়া ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি অ-তোপ সেলামী চতুর্থ শ্রেণীর ক্ষুদ্র দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ ব্রিটিশ ভারতে এটি বোম্বে প্রেসিডেন্সির বরোদা, পশ্চিম ভারত ও গুজরাত রাজ্য এজেন্সির মহীকাণ্ঠা এজেন্সিতে অবস্থিত রাজ্যগুলির মধ্যে একটি ছিলো। রাজ্যটির রাজধানী ছিলো বরসোদা গ্রামে মাণসা শহরের নিকট, যা বর্তমানে গুজরাত রাজ্যের গান্ধীনগর জেলায় অবস্থিত৷ রাজ্যে জলের উৎস সবরমতী নদী৷

বরসোদা রাজ্য વરસોડા
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য
অজ্ঞাত–১৯৪৮
ডানদিকের চিত্রাংশটিতে নীল বর্ণে‌ চিহ্নিত মাণসা রাজ্যের ডানদিকে তুলনামুলক গাঢ় নীলবর্ণে অচিহ্নিত রাজ্যটি বরসোদা রাজ্য
আয়তন
• ১৮৯২	২৮ বর্গকিলোমিটার (১১ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা
• ১৮৯২	৪,০৫১
ইতিহাস
• প্রতিষ্ঠিত	অজ্ঞাত
• ভারতীয় অধিরাজ্যে যোগদান	১০ জুন ১৯৪৮
উত্তরসূরী ভারত

ইতিহাস

রাজ্যটি ২৮ বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্রফল জুড়ে বিস্তৃত ছিলো এবং ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে এর জনসংখ্যা ছিলো ৪০৫১ জন৷ রাজ্যটির রাজভাতার পরিমাণ ছিলো ১২,৫০০ ভারতীয় মুদ্রা৷ ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর বরসোদা রাজ্যের শেষ শাসক ভারতীয় অধিরাজ্যে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে একীভূতকরণের দলিল স্বাক্ষর করলে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১০ই জুন তারিখে রাজ্যটিকে ভারতের বম্বে রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে বোম্বে রাজ্য দ্বিখণ্ডিত হয়ে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত প্রদেশ গঠন করলে পূর্বতন এই দেশীয় রাজ্যটি গুজরাত প্রদেশের অংশীভূত হয়।

শাসকবর্গ

বরসোদা দেশীয় রাজ্যের শাসকগণ ঠাকুর উপাধিতে ভূষিত হতেন৷

• সুরজমলজী
• .... বেশ কিছুজন উত্তরসূরী
• কিষণসিংজী
• .... বেশ কিছুজন উত্তরসূরী
• .... – .... গম্ভীরসিংজী (প্রতিষ্ঠাতা ঠাকুর শ্রী সুরজমলজীর চতুর্দশতম উত্তরপুরুষ)
• .... – ১৮৫৮ মোতিসিংজী
• ১৮৫৮ – ১৯১৯ কিশোরসিংজী মোতিসিংজী
• ১৮ জুলাই ১৯১৯ – ১৯৪৭ জোরাবরসিংজী দ্বিতীয় সুরজমলজী