বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ

বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ (ইংরেজি: Bangabandhu Inter University Sports Championship) হলো বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে আয়োজিত জনপ্রিয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।[১][২] বাংলাদেশের সকল সরকারি, বেসরকারি ও এফেলিয়েটিং স্নাতক কলেজের জন্য এই প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত রয়েছে।[৩] বাংলাদেশের তরুনদের কর্মোদ্দম, সুশৃঙ্খল ও উৎপাদনমুখী করতে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মত এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।[৪] অংশগ্রহণকারী সর্বোচ্চ স্বর্ণপদক বিজয়ী বিশ্ববিদ্যালয়কে এক বছরের জন্য চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সরকারযুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সর্বোচ্চ স্বর্ণপদক বিজয়ী পুরুষকে সেরা বিশ্ববিদ্যালয় পুরুষ ক্রীড়াবিদ, এবং নারীকে সেরা বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা ক্রীড়াবিদ আখ্যা দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতাটি সর্বমোট ৪৮ ইভেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, প্রতি ইভেন্টের সেরা তিনজনকে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের ১৫০ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থীর এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলা পরিচালনা, খেলার ছবি তোলা, সংবাদ তৈরি ও নিরাপত্তার কাছে প্রায় ৬০০+ শিক্ষার্থী জড়িত রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ
Bangabandhu Inter University Sports Championship
স্পোর্টস প্রতিযোগিতার লোগো
উপনামBIUSC, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস
প্রথম আয়োজন২০১৯
নিবন্ধিত খেলোয়াড়২৭০০
ক্লাব৬৫টি বিশ্ববিদ্যালয়
বৈশিষ্ট্যসমূহ
শারীরিক সংস্পর্শনা
দলের সদস্যএকাকী, স্মমিলিত, বিশ্ববিদ্যালয় দল
মিশ্রিত লিঙ্গহ্যা
ধরনইনডোর, আউটডোর, জলজ
খেলার সরঞ্জামক্রিকেট, ফুটবল, দাবা, দৌড়, সাতার
ভেন্যুদেশের ক্যাম্পাসসমূহ
প্রচলন
দেশ বা অঞ্চলবাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়

ইতিহাস সম্পাদনা

২০১৯ সালে এই আয়োজন প্রথম শুরু হয়, সেই সময় বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানসহ আরো ১২টি ক্রীড়া ফেডারেশন ও বোর্ড এই আয়োজনে সহযোগিতা করে। ২০১৯ সালে ৬৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮০০ জন ছেলে ও ৯০০ জন মেয়ে।

২০২০ সালে ১০৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৮০০ জন ছেলে ও ১৭০০ জন মেয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ১৩টি স্বাগতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ১২টি ইভেন্টে মোট প্রতিযোগী ছিলো ৬৫০০ জন। ২০২০ সালের এই আয়োজন ৭০% শেষ হবার পর করোনা ভাইরাসের প্রকোপের জন্য খেলা স্তগিত ঘোষণা করা হয়। এরপর বাকি খেলা ২০২১ সালে সমাপ্তি হয়। এইজন্য ২০২১ সালের আয়োজন আলাদা করে অনুষ্ঠিত করা সম্ভব হয়নি।

২০২২ সালে ১২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫২০০ জন ছেলে ও ১৮০০ জন মেয়ে সর্বমোট ৭০০০ জন প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এইবার ১২টি ইভেন্টে ইভেন্টের আয়োজন করেছিলো ১৩টি স্বাগতিক বিশ্ববিদ্যালয়।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পাদনা

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের অধীনে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার ব্যপারে সরকার কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কথা জানিয়েছে।[৫] সেগুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

  • শারীরিক ও মানসিক বিকাশ করা, সহিষ্ণুতা ও মনোবল বৃদ্ধি করা, খেলাধুলা ও ক্রীড়া ব্যপারে উৎসাহী করে গড়ে তোলা।
  • দেশের তরুণসমাজের শক্তিকে সামাজিক চালিকাশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা।
  • সারাদেশের প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক সেতু বন্ধন তৈরি করা।
  • বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে দেশের যুব সমাজকে অগ্রণী সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলা।
  • ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেধাবী মুখ খুঁজে বের করা।
  • বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে উৎসর্গীকৃত এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করা।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী"যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২১ 
  2. "বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের মশাল যাত্রা শুরু"দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২১ 
  3. নিউজ, সময়। "সেপ্টেম্বরে বসছে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ | খেলা"Somoy News। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২১ 
  4. Reporter, Senior। "আবার শুরু হচ্ছে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ"dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২১ 
  5. "ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে: রাষ্ট্রপতি"Ekushey TV (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা