ফুগডি একটি মহারাষ্ট্রীয়গোয়াই লোকনৃত্যকোঙ্কণ অঞ্চলে গণেশ চতুর্থী এবং ব্রতের মতো বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় উৎসবে অন্যান্য নাচের (যেমন- ধালো) শেষদিকে মহিলারা এই নাচটি পরিবেশন করে থাকে। কিছু ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে, এই নাচের রীতিটি কয়েকটি প্রাচীন গোয়াই ঐতিহ্য থেকেই তৈরি হয়েছিল বলে জানা যায়। এছাড়াও, এই নাচটি মূলত হিন্দু বর্ষপঞ্জির "ভাদ্রপাদ" মাসে পরিবেশিত হয়, যেসময় মহিলারা সাধারণত তাদের প্রতিদিনের কাজকর্ম থেকে উদ্ভূত একঘেয়েমি থেকে বাঁচতে বিরতি নেয়। তদ্ব্যতীত এটি ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের সময়ও পরিবেশিত হয়।

প্রচলিত উৎস সম্পাদনা

ফুগডি একটি শিল্পরূপ যা দিয়ে মহারাষ্ট্র এবং গোয়ার প্রাথমিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সন্ধান করা যেতে পারে। এটি বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের সময় পরিবেশিত হয়। ফুগডি সাধারণত ভাদ্রপাদ মাসে পরিবেশিত হয়। ধঙ্গর (রাখাল সম্প্রদায়) মহিলাদের মধ্যে ফুগডির একটি স্বতন্ত্র ধাঁচ বা স্টাইলের দেখা পাওয়া যায়। ব্রত চলাকালে মহালক্ষ্মী দেবীকে অর্ঘ্য অর্পণ করার আগে কলসী ফুগডি পরিবেশন করা হয়।

কৌশল সম্পাদনা

মহিলারা একটি বৃত্তে বা সারিতে বিভিন্ন রকমফেরে গান ও নাচ করে। সাধারণত গ্রামের মহিলারা বৃত্তাকারে এবং বনবাসী মহিলারা সারি করে ফুগডি নাচ উপস্থাপন করে।[১] নাচ শুরু হয় হিন্দু দেবদেবীদের কাছে প্রার্থনা করা দিয়ে। নাচের গতি শুরুর দিকে ধীর, তবে শিগগিরই গতি দ্রুত গতি হয়ে যায় এবং শেষে চূড়ান্তে পৌঁছায়। সর্বাধিক গতিতে নৃত্যশিল্পীরা মুখ দিয়ে বাতাস প্রবাহিত করে তাল মেলায় যা "ফু" এর মতো শোনায়। তাই এই নৃত্য ফুগডি বা ফুগদি নামে পরিচিত। এই নাচে কয়েকটি স্থির পদক্ষেপ এবং হাতের তালু ও অঙ্গভঙ্গিই প্রধান উপাদান। নাচের সাথে কোনও উপকরণ বা বাদ্যযন্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায় নি, তবে অগণিত বিশেষ ফুগডি গান রয়েছে।

উপরূপ সম্পাদনা

ফুগডির জনপ্রিয় উপরূপগুলোর মধ্যে রয়েছে গিরকি, চক্র, রহত, জিম্মা, কারভার, বুস ফুগডি, কোম্বদা, ঘুমা এবং পাখোয়া। অনেক দূর থেকে জল নিয়ে আসার সময় একঘেয়েমি ভাঙার মাধ্যম হিসাবে কলসী ফুগডি শুরু হয়েছিল। জলের উৎস থেকে জল আনতে যাওয়ার সময় মহিলারা খালি কলসী দুলিয়ে নৃত্য করত। কাট্টি ফুগডি আরেকটি জনপ্রিয় রূপ, এতে হাতে নারকেলের শাঁস নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করা হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Goan Folk Arts"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১১