ফিলিস্তিন সরকার

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সরকার

এই নিবন্ধটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বর্তমান সরকার সম্পর্কে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পূর্ববর্তী সরকারের জন্য, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সরকার দেখুন।

ফিলিস্তিন সরকার হচ্ছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সরকার। ২০০৭ সালের জুন থেকে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার রয়েছে, একটি পশ্চিম তীরে এবং অপরটি গাজা উপত্যকায়পশ্চিম তীরের সরকার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সরকার হিসাবে সাধারণত স্বীকৃত ছিল। অপরদিকে, গাজা উপত্যকার সরকার নিজেদেরকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বৈধ সরকার বলে দাবি করে। জুন ২০১৪ নাগাদ ফিলিস্তিনি ঐক্য সরকার গঠিত হওয়ার আগে পশ্চিম তীরে সরকার ছিল ২০১৩ সালের ফাতাহ নিয়ন্ত্রণাধীন ফিলিস্তিনি সরকার। গাজা উপত্যকার সরকার ছিল ২০১২ সালের হামাস সরকার। ২০১৪ সালের দুটি ফাতাহ-হামাস চুক্তি অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তে হামাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সরকারকে গাজা উপত্যকা এবং মিশর ও ইস্রায়েলের সীমান্তের সাথে এর সীমান্ত এলাকা  নিয়ন্ত্রণ করতে দিতে রাজি হয়, কিন্তু রাষ্ট্রপতি আব্বাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সরকার গাজা উপত্যকায় পরিচালনা করতে অক্ষম বলার পর এই চুক্তিটি জুন ২০১৫ সালের মধ্যে ভেঙে যায়।

ইতিহাস সম্পাদনা

নিম্নলিখিত সংগঠনগুলি অতীতে ফিলিস্তিনি জনগণের কর্তৃপক্ষ বলে দাবি করে বা বৈধ কর্তৃপক্ষ ছিল:

ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের সরকার সম্পাদনা

মূল নিবন্ধ: ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের রাজনীতি

আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৩ সালের অসলো ঐকমত অনুসারে পিএলও কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনিক সংস্থা হলো ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষঅসলো চুক্তির অনুসারে, কেবল মাত্র পশ্চিম তীরের অঞ্চল এ এবং বি আর গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের কিছু নাগরিক অধিকারের উপর এবং অঞ্চল এ এবং গাজার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সরকারের কর্তৃত্ব ছিল। নিরাপত্তার কাজগুলির মধ্যে একটি হ'ল ইস্রায়েল এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ে সহযোগিতা, যা ছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং বসতি স্থাপনকারীদের উপর ফিলিস্তিনিদের আক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে আন্তঃসংযোগ। ২০০৭ সাল পর্যন্ত এটি পশ্চিম তীরের এ এবং বি অঞ্চল এবং গাজা উপত্যকার জনবহুল এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে ব্যবহার করা হয়:

ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে বিভক্তি সম্পাদনা

২০০৭ সালের জুন থেকে ফাতাহ-নেতৃত্বাধীন সরকার পশ্চিম তীরের রামাল্লায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সরকার হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে; ২০০৭ সালের জুনে হামাস গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয়, ‍সেখানে তারা অভ্যুত্থান ঘটায়, ফাতাহ পিএনএ প্রতিনিধিদের বহিষ্কার করা হয়।

  • পশ্চিম তীরে ফাতাহ সরকার
  • গাজা উপত্যকার প্রশাসন
    • প্রথম হামাস সরকার ২০০৭-১২ (গাজায় হামাস প্রশাসন)
    • দ্বিতীয় হামাস সরকার সেপ্টেম্বর ২০১২-১৪ (গাজায় হামাস প্রশাসন)
    • তৃতীয় হামাস সরকার ২০১৬ – বর্তমানে বিদ্যমান, গাজায় গাজা-ভিত্তিক হামাস-অধীন সরকারই বাস্তবিক পক্ষে কার্যরত। এটি উপ মন্ত্রী, মহাপরিচালক এবং অন্যান্য উচ্চ-স্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত, এটি সরাসরি রামাল্লাহ প্রশাসনের অধিনে নয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয় যে ২০১৬ সালের ইসমাইল হানিয়ার হামাস সরকার গাজা ছিটমহলের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার একটি প্রচেষ্টা গ্রহণ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান এবং ইস্রায়েল হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে এবং সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রামাল্লাহর প্রশাসন হামাস সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
  • ফিলিস্তিনি ঐক্য সরকার
    • ফিলিস্তিনি ঐক্য সরকার ২৩ শে এপ্রিল ২০১৪ এর ফাতাহ-হামাস পুনর্মিলন চুক্তি অনুসারে ২ জুন ২০১৪ সালে গঠিত হয়। তবে, আইন পরিষদে অনুমোদনের জন্য সরকারকে উপস্থাপন করা হয়নি, যার ফলে এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধতা আছে। মন্ত্রীরা নামেমাত্র স্বাধীন ছিলেন, তবে রাষ্ট্রপতি আব্বাস ও তাঁর ফাতাহ আন্দোলন বা ছোট বামপন্থী দলগুলির প্রতি তাদের অত্যধিকভাবে অনুগত হিসাবে দেখা যায়, তাদের কারও হামাসের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে মনে হয় না। এই সরকারের একটি বৈশিষ্ট্য হ'ল উপ-মন্ত্রী, মহাপরিচালক এবং গাজার জন্য অন্যান্য উচ্চ-স্তরের কর্মকর্তাদের নিয়োগ, এবং তারা সরাসরি রামাল্লাহ প্রশাসনের কাছে দায়বদ্ধ নয়। ২০১৪ সালের সরকার হামাসের সাথে পরামর্শ না করায় হামাসের প্রতিবাদের মুখে ২০১৪ সালের ১৭ জুন পদত্যাগ করে।[৬][৭] ২০১৫ সালের জুলাই ও ডিসেম্বর মাসে আব্বাস মন্ত্রিসভা পরিবর্তন করেন এবং হামাসের পরামর্শ না নিয়ে নতুন মন্ত্রীর নিয়োগ করেন, হামাস এর নিন্দা জানায়। যদিও হামাস নতুন মন্ত্রীদের স্বীকৃতি না দিয়ে পরিবর্তনগুলি প্রত্যাখ্যান করে, তবুও এই পরিবর্তনকে "কৌশলগত এবং রাজনৈতিক নয়" বলে বলা হয়,[৮] এবং নতুন মন্ত্রিসভা কিছুটা পরিবর্তিত বিদ্যমান সরকার হিসাবে উপস্থাপিত হয়েছিল, তাকে তখনও "ঐক্যমত্যের সরকার" বলা হয়।[৯]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Abbas confirms resignation from PLO Executive Committee ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে. The Middle East Monitor, 24 August 2015
  2. Sayigh, Yezid (১৯৯৯)। Armed Struggle and the Search for State: The Palestinian National Movement, 1949–1993 (illustrated সংস্করণ)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 624। আইএসবিএন 9780198296430. 
    "The Palestinian National Council also empowered the central council to form a government-in-exile when appropriate, and the executive committee to perform the functions of government until such time as a government-in-exile was established."
  3. Status of Palestine in the United Nations ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে. UNGA Resolution A/RES/67/19, 29-11-2012
    "Taking into consideration that the Executive Committee of the Palestine Liberation Organization, in accordance with a decision by the Palestine National Council, is entrusted with the powers and responsibilities of the Provisional Government of the State of Palestine"
  4. PLO vs. PA ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে. Passia, September 2014
  5. New Palestinian government was sworn in
  6. Palestinian unity government resigns. Al Jazeera, 17 June 2015
  7. Hamas Rejects 'One-sided' Dissolution of Palestinian Government. Haaretz, 17 June 2015
  8. Abbas to reshuffle Palestinian gov't. Xinhua, 1 July 2015
  9. New cabinet reshuffle on consensus government ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ জুলাই ২০১৮ তারিখে. Ma’an, 1 July 2015

টেমপ্লেট:ফিলিস্তিন সরকার

টেমপ্লেট:ফিলিস্তিনের নির্বাচন