ফাতমা গাদরি

নায়িকা / অভিনেত্রী

ফাতমা গাদির ক্বিজি গাদরি  (আজারবাইজানি: Fatma Qədri), ক্বাদরি, কাদরি, কাদরিই হিসেবেও উচ্চারিত হয় (১ এপ্রিল ১৯০৭ – ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮) ছিলেন একজন আজারবাইজানি থিয়েটার অভিনেত্রী। 

ফাতমা গাদরি
গুলবাহার চরিত্রে ফাতমা গাদরি (নাটক "আমার মায়ের ডায়েরী" , জলিল মামেদকুলিযাদে)
জন্ম
ফাতমা গাদির ক্বিজি গাদরি

(১৯০৭-০৪-০১)১ এপ্রিল ১৯০৭
মৃত্যুফেব্রুয়ারি ২৯, ১৯৬৮(1968-02-29) (বয়স ৬০)

কর্মজীবন   সম্পাদনা

ফাতমা গাদরি অডেসা ( বর্তমান নাম ইউকরেইন) এর এক  ব্যবসায়ীর অনুচরের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ বছর বয়সে, তিনি একটি ধনী পরিবারের শিশু পালনের কাজ করে রোজগার শুরু করেন। তার মা এর জোরে, তিনি একটি স্থানীয় মাদরাসায় (ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান) এ ভর্তি হন শিক্ষা গ্রহণ করার লক্ষ্যে। ১৯২২ সালে, তিনি একযোগে দুইটি (আজারবাইজান থিয়েটার স্কুল এবং শিক্ষকের কলেজ) উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন, এবং দু'খান থেকেই ১৯২৬ সালে শিক্ষালাভ শেষ করেন। গাদরি শৈল্পিক কর্মজীবন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন, গাদরি বাকু'র ও গাঞ্জা'র তুর্কিক লেবার থিয়েটারে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। তার ঘাঁড়ের এক অসফল অস্ত্রোপাচারের পর, তাকে সুস্থ হওয়ার জন্য চাকরি থেকে অব্যাহতি মঞ্জুর করা হয়।  

বাকু রাশিয়ান থিয়েটার এ অভিনয়ের উপর সংক্ষিপ্ত সময় কাটানোর পর, ১৯৩৫ সালে তাকে আজারবাইজান স্টেট ড্রামা থিয়েটারে নিয়ে আনা হয়, যেখানে তিনি পরবর্তী ২৪ বছর কাজ করেন। শিঘ্রই তিনি বাকু সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত হন এবং আজারবাইজান থিয়েটার স্কুল ও বাকু এর একটি গানের স্কুল এ শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে, তিনি আজারবাইজানের জনগণের শিল্পী (সম্মাননা পুরস্কার) তে পরিণত হন। দৈহিক দুর্বলতা এবং অসুস্থতার কারণে, তিনি প্রায় সময়ই তিনি শারীরিক ব্যাথা সত্ত্বেও অভিনয় করে যেতেন। ১৯৫৮ সালে তিনি অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে পড়েন, মস্কো এর একটি দলীয় ট্যুরে পুস্কিন মস্কো ড্রামা থিয়েটারে, যুদ্ধ ও শান্তি অপেরার তার শেষ অভিনয় চলাকালীন তিনি হঠাত্‌ অচেতন হয়ে পড়েন। সাত মাসের চিকিৎসা সেবা এর পর, ডাক্তাররা তাকে তার শরীরের কথা ভেবে আবার মঞ্চে যেতে নিষেধ করেন।     [১]

ব্যক্তিগত জীবন  সম্পাদনা

মঞ্চের বাইরে, ফাতমা গাদরি কষ্টের সাথে জীবন যাপন করতেন। ১৯২০ সালে তিনি প্রথম বিবাহ করেন যা বেশি দিন টিকেনি। তার একমাত্র পুত্র সন্তান কিশোর বয়সে মারা যায়। ১৯৩২ সালে গাদরি'র দ্বিতীয় স্বামী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এসব দুঃখজনক ঘটনার কারণে তার মানসিক এবং শারীরিক অসুস্থতার জন্ম দেয়। থিয়েটারের নিষেধাজ্ঞা'র পর তিনি হতাশা থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেননি, ১৯৬৮ সালে ৬০ বছর বয়সি তার ঘরে আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করেন। 

তথ্যসূত্র  সম্পাদনা

  1. Fatma Gadri: The Aftermath and the Eternal Silence ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ আগস্ট ২০০৭ তারিখে by Z.Farajova. EL Jurnali. January 2007. Retrieved 6 April 2007