ফরিদ খান (রাজনীতিবিদ)

পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ

ফরিদ খান (পশতু: فرید خان) একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ। তিনি পাকিস্তানের ২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হন। খান হঙ্গু জেলার পিকে-৪২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তিনি নির্বাচনে জমিয়ত উলেমায়ে ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে ১৬,১২৯ ভোট পেয়ে আসনটি জিতেন। প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফে যোগ দেন। [১][২] তাকে ২০১৩ সালের ৩ জুন হঙ্গুতে হত্যা করা হয়। [৩]

রাজনৈতিক পেশা সম্পাদনা

খান স্বল্প আয়ের পরিবার থেকে এসেছিলেন। তিনি যখন নির্বাচনের আগে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তখন তার পকেটে ছিল মাত্র ১০০ রুপি। তার আদি নিবাস আদিবাসী এলাকার ওরাকজাই জেলায়[৪]

গুপ্তহত্যা সম্পাদনা

২০১৩ সালের ৩ জুন, ফরিদ খান হঙ্গুতে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তার গাড়িতে গুলি চালায়। ফলে খান ঘটনাস্থলে মারা যান এবং তার চালক ও নিরাপত্তারক্ষী আহত হন। [৫] হামলার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে এবং হঙ্গুর স্থানীয় টিটিপি কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করে। [৪]

২০১৩ সালের ২৫ জুন, পুলিশ ইসলামাবাদে আসিফুল্লাহ নামে একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করে, যে ফরিদ খানকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পুলিশ জানায়, আসিফুল্লাহকে ৪ বছর ধরে সন্ত্রাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "হঙ্গুতে পিটিআই এমপিএকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে"ডন পত্রিকা (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ জুন ২০১৩। ২১ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৩ 
  2. "হঙ্গু হামলায় পিটিআইয়ের নির্বাচিত এমপি ফরিদ খান নিহত হয়েছেন" (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৩ 
  3. "ইমরান খান ফরিদ খান হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন"বিজনেস রেকর্ডার (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৩ 
  4. "আজ ফরিদ খানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে"দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ জুন ২০১৩। ৪ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৩ 
  5. "হঙ্গুতে এমপিএ ফরিদ খানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে"দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ জুন ২০১৩। ৩ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৩ 
  6. "গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজন পিটিআই এমপিএকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে"দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ জুন ২০১৩। ২৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৩