ফতিমা বানো
ফতিমা বানো হলেন একজন মহিলা কুস্তি (রেসলিং) প্রশিক্ষক। তিনি ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভোপালের একজন অধিবাসী। ঘর থেকে শুরু করে সমাজ পর্যন্ত বিরোধিতাকে গুরুত্ব না দিয়ে ফতিমা কুস্তিকে নিজের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছেন। তিনি দেশের প্রথম মহিলা কুস্তি প্রশিক্ষক।[১]
ফতিমা বানো একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কাবাডি খেলার মাধ্যমে তিনি খেলাধুলায় তাঁর খেলোয়াড় জীবন শুরু করেন। তিনি তিনটি জাতীয় পদক জিতেছিলেন। তিনি সৈয়দ নসরুল্লার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যিনি বিএইচএলে কাজ করতেন এবং তাঁর মা নিশা বেন ছিলেন একজন গৃহিণী। তিনি দেশের প্রথম এমন একজন মুসলিম মহিলা প্রশিক্ষক, যিনি নিজের খরচে আন্তর্জাতিক স্তরে ২০ জন খেলোয়াড়ের শক্তি বাড়িয়েছিলেন। তিনি গীতা-ববিতা ফোগাট এবং সাক্ষী মালিককেও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।[২] বর্তমানে, তিনি অলিম্পিক গেমসের জন্য ২৭ জন ছাত্রকে শেখাচ্ছেন যাদের মধ্যে ১২ জন মেয়ে এবং ১৫ জন ছেলে রয়েছে।[৩][৪]
১৯৯৭ সালে, তাঁর কাবাডি কোচের পরামর্শ অনুযায়ী, তিনি পাঞ্জাবের পাতিয়ালায় যান এবং কুস্তিগির হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। তাঁর প্রশিক্ষক শাকির নূরের নির্দেশনায়, তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেন এবং পুরস্কার জিতে নেন। তিনি ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের ক্রীড়া বিভাগে প্রশিক্ষক হিসাবে পরিষেবা দিয়ে এসেছেন।[১]
২০০৩ সালে, তিনি ভোপালে সরকার প্রদত্ত একটি জমিতে নিজের কুস্তির আখড়া শুরু করেছিলেন। তাঁকে মাসিক বেতন হিসেবে চার হাজার ভারতীয় টাকাও দেওয়া হত। তিনি শিশু, কিশোর, বালক, বালিকাদের প্রশিক্ষণ দেন। এছাড়াও তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাজাখস্তান এবং কিরগিজস্তানের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
২০০১ সালে, ফতিমা বানোকে মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত খেলাধুলার সর্বোচ্চ সম্মান বিক্রম পুরস্কার প্রদান করা হয়। তিনি এই অবস্থান অর্জনকারী প্রথম কুস্তিগির ছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "रूढ़ीवादी दीवारों को तोड़कर देश की पहली मुस्लिम कोच बनी फातिमा बानो"। punjabkesari। ২০২০-০৬-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৫।
- ↑ kanhaiya.pachauri (২০১৯-০৮-২৬)। "फातिमा बानो देश की पहली महिला मुस्लिम कुश्ती खिलाड़ी, जिसने तैयार किए 20 इंटरनेशनल प्लेयर"। Dainik Bhaskar (হিন্দি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২২।
- ↑ "The Indian Muslim woman teaching teens how to wrestle"। www.aa.com.tr। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২২।
- ↑ Shuriah Niazi (৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬)। "Wrestling Stiff Opposition"। Business Line।