প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র

প্রাকৃতিক গ্যাসের পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ

ভূপ্রাকৃতিক তাপীয় ফাটলের মাধ্যমে কেরোজেন থেকে পরিবর্তিত হয়ে পেট্রোলিয়ামে রূপান্তরিত হওয়ার মতো প্রাকৃতিক গ্যাসও একই প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। ফলে, তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস একই সাথে পাওয়া যায়। সাধারণ অর্থে, পর্যাপ্ত পরিমাণ তেলের মজুদকে তৈল ক্ষেত্র, এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদকে প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র বলে।

ইরানের গ্যাসক্ষেত্রের অবস্থান
ভুকোভেক গ্যাসক্ষেত্র, ক্রোয়েশিয়া

সাধারণত, ১,০০০ মিটার থেকে ৬,০০০ মিটার গভীরে (৬০°C থেকে ১৫০°C তাপমাত্রায়) জৈব তলানি চাপা পড়ে তেল তৈরি হয়, যেখানে অধিক গভীরে এবং তাপমাত্রায় তলানি চাপা পড়ে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপন্ন করে। এগুলোর উৎস যতই গভীরতর হয়, গ্যাস তত "শুষ্ক" হয় (অর্থাৎ, গ্যাসে ঘনীভূত অংশ হয়)। তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস পানি থেকে হালকা হওয়ার কারণে, উৎস থেকে এগুলো ভূপৃষ্ঠে চুইয়ে বের হয়ে আসা বা অ-বেধগম্য স্ট্রাটিগ্রাফিক ট্র্যাপে জমা না হলে ছড়িয়ে পড়তে চায়। এগুলোকে ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে ট্র্যাপ থেকে নিষ্কাশন করা যেতে পারে।

সবথেকে বড় প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র হচ্ছে সাউথ পার্স/আসালোয়েশ গ্যাসক্ষেত্র, যা ইরান এবং কাতারের মধ্যে অংশীদারত্বের মাধ্যমে পরিচালিত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র হচ্ছে উরেঞ্জয় গ্যাসক্ষেত্র, এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ বড় প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র হচ্ছে ইয়ামবুর্গ গ্যাসক্ষেত্র, যার উভয় দুটিই রাশিয়ায় অবস্থিত।

উপকূলীয় গ্যাসক্ষেত্র সম্পাদনা

 
নতুন একটি উপকূলীয় গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের সময় ড্রিলশীপ ডিসকভার এন্টারপ্রাইজ দেখানো হয়েছে।

তেলের মতোই, প্রাকৃতিক গ্যাসও প্রায়শই উত্তর সাগর, আয়ারল্যান্ডের করিব গ্যাসক্ষেত্র, এবং স্যাবল দ্বীপের নিকটবর্তী স্কটিশ এলাকার স্যাবল অফশোর এনার্জি প্রোজেক্টের মতো উপকূলীয় গ্যাসক্ষেত্রের জলতলে পাওয়া যায়। খরচ এবং পানিতে অনপুকুল পরিবেশে কাজ করার জন্য উপকূলীয় প্রাকৃতিক গ্যাস আহরণ ও পরিবহনে ভূমি-ভিত্তিক গ্যাসের তুলনায় অনেক বৈচিত্র্যতা রয়েছে।

২১শ শতাব্দীর প্রথম দিকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য উত্তোলনকারীরা পূর্বে যেসব গ্যাসক্ষেত্রকে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করত না, তারা সেগুলো আবার পরিদর্শন করতে শুরু করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৮ সালে মেক্সিকো উপদ্বীপের ব্ল্যাকবিয়ার্ড এলাকাটিতে ম্যাকমোরান এক্সপ্লোরেশন ৩২,০০০ ফুটের (৯৭৫৪ মিটার) (গ্যাস উৎপাদনের ইতিহাসে সবচেয়ে গভীরতম পরীক্ষাধীন কূপ) অধিক ড্রিলিং গভীরতার একটি গ্যাসক্ষেত্রের অনুমোদন দেয়।[১] ক্ষেত্রটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করার আগে, ২০০৬ সাল নাগাদ এক্সন মবিল ৩০,০০০ ফুট পর্যন্ত খনন করেও কোন গ্যাস পায় নি।

আরো দেখুন সম্পাদনা

সাধারণ
উপকূলীয়
অন্যান্য

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. A Famed Dry Hole Gets a Second Shot, Wall Street Journal, 21 July 2008, p.B1

আরো পড়ুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা