প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী
ব্যবহার
সম্পাদনাএই উপপাতাগুলোতে প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/ছাঁচ ব্যবহৃত হয়।
- পরবর্তী উপপাতায় নতুন নির্বাচিত জীবনী যোগ করুন।
- মূল প্রবেশদ্বার পাতার গঠন ঠিক রাখতে উপপাতার লেখা আনুমানিক দশ লাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন।
- প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন-এর {{Random portal component}} টেমপ্লেটের "max=" পরামিতিটি হালনাগাদ করে দিন।
নির্বাচিত জীবনীর তালিকা
সম্পাদনাপ্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/১
মুহাম্মাদ আবদুর রহমান আবদুর রউফ আল-কুদওয়া আল-হুসাইনী (২৪ আগস্ট ১৯২৯ – ১১ নভেম্বর ২০০৪; যিনি ইয়াসির আরাফাত নামেই বেশি পরিচিত) ছিলেন একজন নোবেল জয়ী ফিলিস্তিনী রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৬৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা (পিএলও)-এর চেয়ারম্যান এবং ১৯৯৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আদর্শগতভাবে আরব জাতীয়তাবাদী এই নেতা ছিলেন ফাতাহর প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য এবং ১৯৫৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি দলটির নেতৃত্ব দেন।
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/২
ইজ্জদ্দীন আবদুল কাদির ইবনে মুস্তাফা ইবনে ইউসুফ ইবনে মুহাম্মদ আল-কাস্সাম (১৯ ডিসেম্বর ১৮৮২ – ২০ নভেম্বর ১৯৩৫) ছিলেন ১৯২০ ও ১৯৩০ এর দশকের একজন সিরীয় ইসলাম প্রচারক, লেভান্টে ব্রিটিশ ও ফরাসি মেন্ডেট শাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রতিরোধে নেতৃত্বদানকারী এবং জায়নবাদের সশস্ত্র প্রতিরোধকারী নেতা। আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তন ছাত্র উসমানীয় শাসনের শেষের দিকে সিরিয়ায় নিজ শহর জাবলাহতে একজন ইসলামি পুনর্জাগরণবাদি হিসেবে কাজ শুরু করেন। লিবিয়ায় ইতালীয় শাসনের সময় তিনি লিবিয়ান মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে কাজ করেন। ১৯১৯-২০ সালে উত্তর সিরিয়ায় ফরাসি বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি সশস্ত্র লড়াইয়ে যোগ দেন।
পরবর্তীতে তিনি ফিলিস্তিনে যান এবং ওয়াকফ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৩০ এর দশকে তিনি স্থানীয় যোদ্ধাদের নিয়ে দল গঠন করে ব্রিটিশ ও ইহুদি লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেন। একজন ব্রিটিশ পুলিশ নিহত হওয়াতে তার ভূমিকার রয়েছে সন্দেহ হওয়ায় গ্রেপ্তার অভিযানে তিনি নিহত হন। ১৯৩৬-৩৯ সালে ফিলিস্তিনের আরব বিদ্রোহে তার মৃত্যু ও অভিযান ভূমিকা রেখেছে।
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/৩
শায়খ আহমাদ ইসমাইল হাসান ইয়াসিন (১ জানুয়ারি ১৯৩৭ – ২২শে মার্চ ২০০৪) একজন ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় নেতা। তিনি গাজা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং হামাস নামক রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৪৮ সালের যুদ্ধের পর পরিবারের সাথে গাজার শরণার্থী শিবিরে আসেন। মাত্র বারো বছর বয়সে খেলতে গিয়ে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে চলন ক্ষমতা হারান তিনি। পড়াশোনার জন্য আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও শারীরিক অক্ষমতার জন্য পড়াশোনা শেষ করা হয়নি। ১৯৬৭ সালের আরব ইসরাইল যুদ্ধের পর তিনি তার বক্তব্যে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধের দিকে উদ্বুদ্ধ করতে শুরু করেন। ইসরাইলের বিরুদ্ধে জনগণকে উস্কানী দেয়ার অভিযোগে ১৯৮৩ সালে তাকে গ্রেপ্তার করে ১৩ বছরের জেল দেওয়া হলেও ১৯৮৫ সালেই তিনি ছাড়া পান এবং ১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম দিকে সেবামূলক কাজ করলেও ধীরে ধীরে হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনে রূপ নেয়। ১৯৯১ সালে তিনি আবারও গ্রেপ্তার হন। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পেয়ে পুনরায় প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দিলে তাকে গৃহবন্দি করা হয়। একাধিক ব্যর্থ হত্যাচেষ্টার পর ২০০৪ সালের ২২ মার্চ ভোরে ইসরাইলী বাহিনী হেলিকপ্টার থেকে মিসাইল ছুঁড়ে তাকে হত্যা করে। তার জানাযায় দুই লক্ষাধিক ফিলিস্তিনীর সমাগম হয়।
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/৪
খলিল ইবরাহিম আল-ওয়াজির (১০ অক্টোবর ১৯৩৫ – ১৬ এপ্রিল ১৯৮৮) ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ ও যোদ্ধা। তিনি রাজনৈতিক দল ফাতাহর সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সংগঠনটির সামরিক শাখা আল-আসিফার কমান্ডার ছিলেন।
১৯৪৮-এর আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় আল-ওয়াজির রামল্লাহ থেকে নির্বাসিত হয়ে গাজায় গিয়ে একটি ক্ষুদ্র ফেদাইন দলের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। ১৯৬০-এর দশকে ফাতাহর জন্য তিনি কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠী ও তৃতীয় বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। আলজেরিয়ায় তিনি দলটির প্রথম ব্যুরো চালু করেন। কালো সেপ্টেম্বরের যুদ্ধে তিনি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদেরকে অস্ত্র ও সহায়তা সরবরাহ করেন। যুদ্ধে পিএলও জর্ডানের কাছে পরাজিত হলে তিনি লেবাননে চলে যান। ১৯৮২ সালে ইসরায়েল কর্তৃক লেবাননে আক্রমণের সময় ও এর আগে তিনি ইসরায়েলে কয়েকটি হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে তিনি লেবানন ত্যাগ করে প্রথমে আম্মানে ও দুই বছর পর তিউনিসে যান। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনি তরুণদের সংগঠিত করেন এবং তারা প্রথম ইন্তিফাদার মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে। ১৯৮৮ সালের ১৬ এপ্রিল তিউনিসে ইসরায়েলি কমান্ডোরা তাকে হত্যা করে।
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/৫
মাহমুদ দারউইশ (১৩ মার্চ ১৯৪১ – ৯ আগস্ট ২০০৮) ছিলেন একজন ফিলিস্তিনী কবি, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ। তিনি ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি হিসেবে বিবেচিত হন।
১৯৪১ সালে আল-বিরওয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করা মাহমুদকে ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে শরণার্থী হয়ে লেবাননে আশ্রয় নিতে হয়। পরের বছর দেশে ফিরে এসে তিনি দাইরুল আসাদে প্রাথমিক ও কাফার ইয়াসিফে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি ইসরাইলী কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা আল জাদিদের সম্পাদক হিসাবেও কাজ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য মস্কো যান। ১৯৭৩ সালে তিনি পিএলওতে যোগ দিলে ইসরাইল তার দেশে ফেরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। ১৯৮৭ সালে তিনি পিএলও'র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু অসলো চুক্তির পর ১৯৯৩ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। ফলে ১৯৯৫ সালে তিনি রামাল্লায় বসবাসের অনুমতি পান। ৩০টিরও বেশি পদ্য ও ৮টি গদ্য গ্রন্থ রচয়িতা এই সাহিত্যিক বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও সাময়িকীতে সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন, পেয়েছেন লোটাস পুরস্কার, লেনিন পুরস্কার সহ অসংখ্য সম্মাননা। ২০০৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে হৃদরোগে জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/৬
এডওয়ার্ড সাঈদ ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি মার্কিন তাত্ত্বিক ও বুদ্ধিজীবী। তিনি উত্তর উপনিবেশবাদ ধারণার সৃষ্টিতে অবদান রাখেন। সাঈদ মেন্ডেটরি ফিলিস্তিনে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার দিক থেকে তিনি একজন মার্কিন নাগরিক ছিলেন। তিনি জেরুজালেম ও কায়রোতে তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেন। সেখানে তিনি অভিজাত ব্রিটিশ বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। সেখানে তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ১৯৯১ সালে তিনি সেখানে ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপক হন। সাংস্কৃতিক সমালোচক হিসাবে, সাঈদ প্রাচ্যবাদ (১৯৭৮) বইয়ের জন্য পরিচিত, এটি সাংস্কৃতিক উপস্থাপনার সমালোচনা যা প্রাচ্যবাদের ভিত্তি — পশ্চিমা বিশ্ব কীভাবে প্রাচ্যকে দেখে তা ব্যাখ্যা করেন।
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/৭
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/৭
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/৮
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/৮
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/৯
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/৯
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/১০
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/১০
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/১১
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/১১
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/১২
প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন/নির্বাচিত জীবনী/১২