প্রত্ন ভূগোল হলো ঐতিহাসিক ভূগোলের অধ্যয়ন; সাধারণতঃ প্রাকৃতিক ভূদৃশ্য নিয়ে আলোচনা করা হয় যেখানে। প্রত্ন ভূগোলে মানবিক পরিবেশ বা সাংস্কৃতিক পরিবেশ সংক্রান্ত অধ্যয়নও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ভূদৃশ্যগুলির অধ্যয়নের উপর যখন বিশেষভাবে দৃষ্টিনিবন্ধ করা হয়, তখন মাঝে মাঝে প্রত্ন ভূগোলের পরিবর্তে প্রত্ন ভূমিরূপবিদ্যা শব্দটি ব্যবহৃত হয়। প্রত্ন ভূগোল এমন তথ্য দেয় যা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গ বুঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, পললবহুল অববাহিকাগুলির প্রত্ন ভৌগোলিক বিশ্লেষণ খনিজ তেল সম্পর্কিত ভূতত্ত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রাচীন ভূতাত্ত্বিক পরিবেশগুলি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য স্তরীভূত শিলাতে সংরক্ষিত রয়েছে। প্রত্ন ভূগোলবিদেরা বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বিবর্তনীয় বিকাশের সূত্রের জন্য জীবাশ্মের সাথে যুক্ত পলল পরিবেশ নিয়েও অধ্যয়ন করে থাকে। এবং প্রত্ন ভৌগোলিক প্রমাণগুলি মহাদেশীয় প্রবাহের তত্ত্বের বিকাশে অবদান রেখেছে এবং বর্তমান ভাসমান প্লেট তত্ত্বগুলির ক্ষেত্রেও তা অব্যাহত রয়েছে, যেমনঃ প্যানগিয়া এবং পান্থলেসার মতো প্রাচীন মহাসাগরগুলির অক্ষাংশ ও অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দেয়, ফলে প্রাগৈতিহাসিক মহাদেশ এবং মহাসাগরগুলির চিত্র পুনর্গঠনে সক্ষম হয়।

মধ্য ডেভোনিয়ান সময়কালে অ্যাপোলেশিয়ান ‌উপত্যকা অঞ্চলটিতে ঘটা প্রত্ন ভৌগোলিক পুনর্গঠন দেখানো হয়েছে।[১]
সুবৃহত্‌ মহাদেশ প্যানগিয়া ভাঙার এবং মহাদেশীয় প্রবাহের এ্যানিমেশন চিত্রে পূর্ব ট্রায়াসিক থেকে সাম্প্রতিক কাল (২৫০ মিলিয়ন বছর থেকে ০) অবধি কালের গঠন প্রক্রিয়া।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Blakey, Ron। "Paleogeography and Geologic Evolution of North America"Global Plate Tectonics and Paleogeography। Northern Arizona University। ২০০৮-০৬-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-০৪ 

অধিক পঠন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

টেমপ্লেট:ভূতত্ত্ব