প্রকৌশল ও বস্ত্র কারিগরি সরকারি কলেজ, শ্রীরামপুর
প্রকৌশল ও বস্ত্র কারিগরি সরকারি কলেজ, শ্রীরামপুর (জিসিইটিটিএস) হল শ্রীরামপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত-এর একটি সুপ্রাচীন প্রকৌশল কলেজ।[3]
Government College of Engineering & Textile Technology Serampore | |
ধরন | শিক্ষা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান |
---|---|
স্থাপিত | ৩০ নভেম্বর ১৯০৮[১] |
অবস্থান | ১২, উইলিয়াম কেরী রোড, শ্রীরামপুর - ৭১২২০১, পশ্চিমবঙ্গ , |
ওয়েবসাইট | www.gcetts.org |
ইতিহাস
সম্পাদনাভারতে এই বস্ত্র শিল্প স্থাপিত হয়েছিল উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় নাগাদ। তখনকার অবিভক্ত বঙ্গদেশে শিল্পের জন্যে কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীগোষ্ঠীর প্রয়োজনে এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার তাগিদ অনুভূত হয়। প্রকৌশল ও বস্ত্র কারিগরি সরকারি কলেজ, শ্রীরামপুর, প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটা দু-বছরের পাঠক্রমে শংসাপত্র দানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানরূপে; যাত্রা শুরু হয় ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে একটা ভাড়া বাড়িতে সরকারি কেন্দ্রীয় বয়ন শিক্ষায়তন হিসেবে। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে একটা ত্রি-বার্ষিক বস্ত্র কারিগরি ডিপ্লোমা পাঠক্রম আরম্ভ হয়, যেটা ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত স্নাতক স্তরের পাঠক্রমে উন্নীত হয়। পূর্ব ভারতে বস্ত্র কারিগরি শিক্ষার অগ্রসরে শিক্ষার্থীদের কাছে একটা আদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছিল এই প্রকৌশল ও বস্ত্র কারিগরি সরকারি কলেজ। পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুরের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং তথ্য প্রযুক্তির সব শাখাতেই শিক্ষার সম্ভাবনাকে বিষয়ভিত্তিকভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুরর্নামকরণ হয় বস্ত্র কারিগরি কলেজ, শ্রীরামপুর[২], যা বদল করে তার বর্তমান পরিবর্তিত নাম হয়েছে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এপিএম-এ বিটেক এবং বস্ত্রের রসায়ন প্রণালীতে এমটেক শিক্ষাক্রম চালু হয়।
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাপ্রাক-স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষাক্রমগুলো হল:
- বস্ত্র কারিগরিতে বিটেক
- কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলে বিটেক
- তথ্য প্রযুক্তিতে বিটেক
- পোশাক প্রস্তুত এবং প্রবন্ধনে বিটেক
- বস্ত্র কারিগরিতে এমটেক
- বস্ত্রের রসায়ন প্রণালীতে এমটেক
বস্ত্র কারিগরি বিভাগ
সম্পাদনাএটা কলেজের সবচেয়ে পুরোনো বিভাগ। প্রথম দিকে এটা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ছিল, এই কলেজ দেশের বস্ত্র শিল্পে কারিগরি দক্ষতাপূর্ণ মানব সম্পদের উন্নয়ন ধারায় বিরাট অবদান রেখেছিল। এই বিভাগ স্নাতকোত্তর শিক্ষাক্রম (এমটেক) প্রদান করে। এই বিভাগের শৈল্পিক যন্ত্রসহ সুতোকাটা, বয়ন, বস্ত্র প্রণালী ল্যাবরেটরি এবং পরীক্ষাগার আছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে সুতো কাটা এবং বস্ত্র বয়নের সব পাঠ শিখে নিতে পারে।
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ
সম্পাদনাকম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ এবং তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ চালু হয়েছিল যথাক্রমে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দ এবং ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে।[২] পশ্চিমবঙ্গ কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, বিধাননগর, কলকাতায় চালু হওয়ার ফলে, শ্রীরামপুর বস্ত্র কারিগরি সরাকরি কলেজ এর পাঠক্রমে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল এবং তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করে এবং নাম বদল করে বর্তমান নামে করা হয়। সমস্ত বিষয়কে খুব সমগোত্রীয় করে সিএসই এবং তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ সব ল্যাবরেটরি প্রয়োজন মতো ব্যবহার করে থাকে।
ল্যাবরেটরির মধ্যে আছে: ইলেক্ট্রনিক্স, মাইক্রোপ্রসেসর্স, যোগাযোগ প্রকৌশল, সফটওয়্যার ল্যাবরেটরি [চালনা পদ্ধতিসমূহ, তথ্যভিত্তিক পরিচালন পদ্ধতি (ডিবিএমএস), মাধ্যম, নিয়ন্ত্রণ এবং পদ্ধতি অনুসরণ], বেসিক প্রোগ্রামিং (জাভা, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)। পদার্থবিজ্ঞান ল্যাবরেটরি, রসায়ন ল্যাবরেটরি, এবং যান্ত্রিক কর্মশালা এবং বৈদ্যুতিক কর্মশালা, সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় ঘটিয়ে কাজকর্ম করে।