প্যাটসি ক্লাইন (ইংরেজি: Virginia Patterson Hensley) (৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৩২-৫ মার্চ, ১৯৬৩) ছিলেন একজন মার্কিন কান্ট্রি সঙ্গীতশিল্পী যে ১৯৬০ এর দিকে কান্ট্রি সঙ্গীতের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য লাভ করে। ১৯৬৩ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে বিমান দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। প্যাটসি ক্লাইনকে বিশ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী এবং সফল নারী কন্ঠশিল্পী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সমৃদ্ধ কন্ঠস্বর এবং আবেগতাড়িত প্রকাশভঙ্গির জন্যে তিনি সুপরিচিত ছিলেন। এ কারণে কান্ট্রি সঙ্গীতের ক্ষেত্রে তাকে অনেক শিল্পীই অনুসরণ করে। তাকে নিয়ে অনেক বই, চলচ্চিত্র, নিবন্ধ এবং নাটক রচনা করা হয়েছে।

প্যাটসি ক্লাইন
নাশভিল, টেনেসীর এক স্টুডিওতে প্যাটসি ক্লাইন
নাশভিল, টেনেসীর এক স্টুডিওতে প্যাটসি ক্লাইন
প্রাথমিক তথ্য
জন্মনামভার্জিনিয়া প্যাটারসন হেন্সলি
উপনামগিনি, প্যাটসি
জন্ম৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৩২
উদ্ভবভার্জিনিয়া
মৃত্যু৫ মার্চ, ১৯৬৩
ধরনকান্ট্রি সঙ্গীত, পপ সঙ্গীত
পেশাকন্ঠশিল্পী, গীতিকার
বাদ্যযন্ত্রকন্ঠশিল্পী, পিয়ানো
কার্যকাল১৯৫৫–১৯৬৩
লেবেলফোর স্টার রেকর্ড (১৯৫৫-১৯৬০)
ডেকা রেকর্ডস্‌ (১৯৬০-১৯৬৩)
সদস্যকান্ট্রি মুজিক হল অফ ফেইম
হলিউড অয়াক অফ ফেইম
ওয়েবসাইটPatsified.com

তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে “ওয়েকিং আফটার মিডনাইট”, “আই ফল টু পিসেস”, "শি হ্যাস গট ইউ”, “ক্রেজি”, “সুইট ড্রিমস্‌”। মরণোত্তরকালে তার প্রায় ৪৬ মিলিয়ন অ্যালবাম বিশ্বব্যাপী বিক্রয় হয়েছে এবং তিনি অগণিত সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন যা তাকে জন ক্যাশ, এলভিস প্রেসলির মত কিংবদন্তিতুল্য করেছে। প্যাটসি ক্লাইনের মৃত্যুর দশ বছর পর তাকে কান্ট্রি মিউজিক হল অফ ফেইমে অধিষ্ঠিত করা হয়; তিনিই প্রথম একক নারী সঙ্গীতশিল্পী যিনি এ বিরল সম্মানে সম্মানিত হন।

২০০২ সালে কান্ট্রি সঙ্গীতের শিল্পী এবং শ্রোতাদের এক জরিপে প্যাটসি ক্লাইন সিএমটি টেলিভিশনের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান “কান্ট্রি সঙ্গীতের ৪০ জন সেরা নারী শিল্পী”-তে প্রথম স্থান লাভ করেন। এছাড়া ১৯৯৯ সালে “রক এন্ড রোল সঙ্গীতের সেরা ১০০”-তে তিনি ১১তম স্থান লাভ করেন।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা