পুরু (বৈদিক উপজাতি)
পুরু (আনু.১৭০০-১৪০০ খ্রীস্টপূর্ব) বৈদিক উপজাতির একটি দল ছিল। পুরুদের বেশ কয়েকটি উপদল ছিল, একটি হল ভারত। ঋগ্বেদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরু ও ভারত ছিল দুটি প্রধান উপজাতি।[১]
পুরুদের রাজা সুদাস এর বিরুদ্ধে অনেক দলকে সমবেত করেছিল, কিন্তু ঋগ্বৈদিক যুদ্ধ, দশরাজার যুদ্ধে[২][৩] [৪] পরাজিত হয়েছিল। পুরু নামটি সম্ভাব্য ইন্দো-আর্য বংশোদ্ভূত।[৫]
ইতিহাস
সম্পাদনাঋগ্বেদ মণ্ডল ৬-এ, এটি স্মরণ করা হয়েছে যে পুরুদের প্রধান পুরুকুৎস আফগান পর্বতমালায় শারদীয় দুর্গ ধ্বংস করেছিলেন।[১][৬] মণ্ডল ৪-এ বলা হয়েছে যে তার অশ্বমেধ ঘোড়া দৌরগাহের সাথে, তার পুত্র ত্রসাদস্যুর জন্ম হয়েছিল।[৭][১] মণ্ডল ৪-এ, ত্রসাদস্যু হলেন পুরুদের প্রধান। পুরুকুৎসের পুত্র হওয়ার পাশাপাশি, ত্রসাদস্যুরকে গাইরীক্ষিত নামেও বর্ণনা করা হয়েছে, যার অর্থ গীরিক্ষিতের বংশধর।[৭][১] ত্রসাদস্যু সিন্ধু নদের পশ্চিম দিকে বাস করতেন যখন মণ্ডল ৪ রচিত হচ্ছিল, কিন্তু তিনি সপ্তনদীর দেশেও চলে গিয়েছিলেন এবং অনু-দ্রুহ্যু ও যদু-তুর্বশুদের পরাজিত করেছিলেন। তিনি বিজিত উপজাতি ও পুরুদেরকে পঞ্চজনে (পাঁচ উপজাতি) ঢালাই করেছিলেন। তার বিজয় উদযাপনের জন্য তিনি তার ঘোড়া, দধরিক দিয়ে অশ্বমেধ পরিচালনা করেছিলেন। ঋগ্বেদ ৪.৩৮-৪০-এ দধরিককে উচ্চারিত করা হয়েছে, এবং এই স্তোত্রগুলিতে, দধরিককে ঐশ্বরিক সত্ত্বা, অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া এবং পুরু ও ইন্দো-আর্য আধিপত্যের প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ত্রসাদস্যুর পুত্র ছিলেন তৃক্ষি।[১]
ঋগ্বেদ ৭.৯২.২-এর হারমান গ্রাসম্যানের ব্যাখ্যা মেনে চলা পণ্ডিতরা বলেন যে মণ্ডল ৭ নাগাদ পুরু সরস্বতী নদীতে পৌঁছেছিল।[৮][১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Erdosy, George; Witzel, Michael (১৯৯৫)। Language, Material Culture and Ethnicity. The Indo-Aryans of Ancient South Asia: Rgvedic history: poets, chieftains and politics। De Gruyter। পৃষ্ঠা 237–242।
- ↑ The Rig Veda/Mandala 7/Hymn 18, Verses 5-21, Translated by Ralph T.H. Griffith, Wikisource
- ↑ Mandala 7, The battle of ten kings, Dharmapedia
- ↑ Rig Veda, translation and commentary, by H. H. Wilson
- ↑ Witzel, Michael (১৯৯৯)। "Aryan and non-Aryan Names in Vedic India. Data for the linguistic situation, c. 1900-500 B.C.." (পিডিএফ)। Harvard Oriental Series Opera Minora। 3: 19।
- ↑ Jamison ও Brereton 2014, পৃ. 801।
- ↑ ক খ Jamison, Stephanie; Brereton, Joel (২০১৪)। The Rigveda: The Earliest Religious Poetry of India। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 619–626, 699। আইএসবিএন 9780199370184।
- ↑ Jamison ও Brereton 2014, পৃ. 1004।