পীরপুকুর ঢিবি
পীরপুকুর ঢিবি বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের তাহেরপুর সড়ক থেকে ১০০ মিটার দক্ষিণে অবস্থিত।[১]
পীরপুকুর ঢিবি | |
---|---|
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা |
জেলা | ঝিনাইদহ জেলা |
উপজেলা | কালীগঞ্জ উপজেলা |
আয়তন | |
• মোট | .৫৭ বর্গকিমি (০.২২ বর্গমাইল) |
মাত্রা | |
• দৈর্ঘ্য | .০৩০ কিলোমিটার (০.০১৯ মাইল) |
• প্রস্থ | .০১৯ কিলোমিটার (০.০১২ মাইল) |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯৩-৯৪ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই স্থানে খনন করে একটি প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষের অস্তিত্ব খুঁজে পায়। মসজিদের গম্বুজগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। শুধু চারপাশের দেয়ালগুলো কয়েক ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বিদ্যমান।[২][৩] প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা মসজিদটি পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল।[৪]
নামকরণ
সম্পাদনাঢিবিটির পাশে রয়েছে একটি বড় দিঘী, যার নাম পীরপুকুর। এই পীরপুকুরের নামে ঢিবিটির নামকরণ করা হয় পীরপুকুর ঢিবি ও পাশে মসজিদটি পীরপুকুর মসজিদ নামে পরিচিত।[৩]
বিবরণ
সম্পাদনাপীরপুকুর ঢিবিটি আয়তাকৃতির। এর দৈর্ঘ্য উত্তর-দক্ষিণে ৩০ মিটার ও প্রস্থ পূর্ব-পশ্চিমে ১৯ মিটার। পাশের ভূমি থেকে ঢিবির সর্বোচ্চ স্থানের উচ্চতা ২ মিটার।[১] ঢিবিটির পশ্চিমদিকে আয়তাকৃতির মসজিদের অবস্থান। মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে ১৮.৪০ মিটার দীর্ঘ ও পূর্ব-পশ্চিমে ১০.৮৫ মিটার প্রশস্ত এবং দেয়ালের পুরুত্ব ১.৪০ মিটার। ভূমি থেকে উচ্চতা ৪৩ মিটার। মসজিদটি ১৫ গম্বুজ বিশিষ্ট ও লাল ইটের তৈরি। এতে বিভিন্ন রকমের ইট ব্যবহৃত হয়েছে। ইটের পিলারগুলো বর্গাকার ও কোণাগুলো গোলাকার। ভিতরের দেয়ালে রয়েছে ১২টি স্তম্ভ। ভেতরে পশ্চিম দিকে কেন্দ্রীয় মেহরাবটি ১২ ধাপ সিড়ি যুক্ত ও উচ্চতা ১.৮৩ মিটার।[৫] মসজিদের চার কোণায় রয়েছে অষ্টভুজাকৃতির বুরুজ ছিল, যার নিচে ভূমির সাথে বাঁধন ছিল।[২] উত্তরদিকে রয়েছে দুটি খিলানাকৃতির প্রবেশপথ, যার একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে গেছে। দক্ষিণদিকে ত্রিকোণাকৃতির নকশা করা জানালা বিদ্যমান। মসজিদের সামনে রয়েছে পীরপুকুর দিঘি এবং দুই পাশে রয়েছে দুইটি কবরস্থান।[৫]
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
পীরপুকুর জামে মসজিদ ১
-
পীরপুকুর জামে মসজিদ ২
-
পীরপুকুর জামে মসজিদ ৩
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "ঝিনাইদহ জেলার ঐতিহ্য"। যশোর ইনফো। ১৫ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ শফিকুল আলম। "বারোবাজার"। বাংলাপিডিয়া। ২৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ মুস্তাফিজ মামুন (ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫)। "প্রাচীন শহর মোহাম্মদাবাদ"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ আব্দুর রহমান মিল্টন (৩০ এপ্রিল ২০১৬)। "গড়ে উঠতে পারে পর্যটন কেন্দ্র : বিলুপ্ত নগরী বারোবাজারে প্রত্নতাত্ত্বিক মসজিদ"। ভোরের কাগজ। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ জাহিদুর রহমান। "ঐতিহ্য পীরপুকুর মসজিদ!"। জনতার নিউজ। ২৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬।