পিএস জিনা
জিনা পালানিল্কুমকালাইল স্কারিয়া (জন্ম ৯ই জানুয়ারি ১৯৯৪) হলেন একজন ভারতীয় পেশাদার বাস্কেটবল খেলোয়াড় এবং অনুশীলনকারী খ্রিস্টান। তিনি পি এস জিনা নামেও পরিচিত। তিনি ভারতের মহিলা জাতীয় বাস্কেটবল দলের অধিনায়ক।[১][২] তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি অস্ট্রেলীয় এ ডিভিশন বাস্কেটবল লিগে খেলেছেন।
পিএস জিনা | |
---|---|
জন্ম | ৯ই জানুয়ারি ১৯৯৪ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
উচ্চতা | ১৭৯ সেমি |
খেলোয়াড়ি জীবন
সম্পাদনাজিনা তাঁর সহকর্মী কেরালীয় বাস্কেটবল খেলোয়াড় গীথু আনা জোসকে তাঁর আদর্শ হিসাবে বিবেচনা করেন।[৩] জিনা কান্নুরের স্পোর্টস ডিভিশনের হয়ে বাস্কেটবল খেলেন। ২০০৯ সালে অনূর্দ্ধ ১৬ ফিবা (এফআইবিএ) এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক ডাক পান।[৪] পরে তিনি কান্নুরের কৃষ্ণমেনন কলেজ, এবং কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে কলেজ বাস্কেটবল খেলেন। জিনা, যিনি ১৬ বছর বয়সে রাজ্য দলের হয়ে খেলেছিলেন, ২০০৯ সালে এশিয়ান বাস্কেটবল টুর্নামেন্টে তাঁর ভারতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল।[৫] ২০১২ সালে, তিনি মালয়েশিয়ার জোহর বাহুরে মহিলাদের জন্য অনূর্দ্ধ ১৮ ফিবা এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়া ভারতের জুনিয়র মহিলা দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এটি ছিল তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের একটি "অভূতপূর্ব মুহূর্ত"। তিনি পুরো টুর্নামেন্টে গড়ে প্রতি খেলায় ২০.২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। তাঁর সামনে ছিলেন একমাত্র চীনের ওয়াং কেওয়াই। জিনা প্রতি গেমে গড়ে ১৩.৬ রিবাউন্ড করে রিবাউন্ডে টুর্নামেন্টে নেতৃত্ব দেন।[৪] ২০১৭ সালে কেরালায় দলকে তাদের প্রথম সিনিয়র ন্যাশনাল জেতাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান বাস্কেটবল দল রিংউড লেডি হকস জিনাকে স্বাক্ষর করিয়ে তাঁর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল[৬] তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি অস্ট্রেলীয় এ ডিভিশন লিগে খেলেছেন।[৭] তিনি কেরালা স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডে সিনিয়র সহকারী হিসেবে কাজ করেন।[৮]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাতিনি বয়নাড় জেলার প্যান্টিপয়িল, বাপ্পানামালায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা ও মায়ের নাম যথাক্রমে পালানিলকুমকালা স্কারিয়া জোসেফ এবং লিজি।[৫]উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; নামবিহীন ref সমূহের অবশ্যই বিষয়বস্তু থাকতে হবে তাঁর স্বামী হলেন জ্যাকসন জনসন, যিনি চালকুড়ির একজন বাসিন্দা এবং কেএসবি-এমএনসি-তে একজন ক্রয় প্রকৌশলী।[৯] ২০২০ সালের ৪ঠা জুলাই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল।[৯]
পুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনা২০২০: জাতীয় সিনিয়র বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট - সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের পুরস্কার।[১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Jeena and Albin to lead Kerala at the 66th Basketball Senior Nationals - Ekalavyas"। Ekalavyas (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০১-০৭। ২০১৮-০৪-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৭।
- ↑ "Jeena PS out to provide the offensive firepower for the hosts"। FIBA.basketball (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৭।
- ↑ "In Jeena PS, a new leader emerges for the future of Indian basketball"। নভেম্বর ২০১২।
- ↑ ক খ Hoopistani (২০১২-১১-০১)। "In Jeena PS, a new leader emerges for the future of Indian basketball"। Sportskeeda। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৭।
- ↑ ক খ "അപ്പ്, അപ്പ് ജീന, മൂന്നാം തവണയും ഇന്ത്യൻ നായിക"। Mathrubhumi (মালায়ালাম ভাষায়)। ২২ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২৩।
- ↑ Scroll Staff। "Basketball: India captain PS Jeena signed up by Australian team Ringwood Lady Hawks"। Scroll.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২২।
- ↑ ഡെസ്ക്, വെബ് (২০১৯-১২-২৯)। "ദേശീയ സീനിയർ ബാസ്കറ്റ്ബാൾ: കേരളത്തിെൻറ പി.എസ്. ജീന മികച്ച താരം"। www.madhyamam.com (মালায়ালাম ভাষায়)।
- ↑ Das, Ria (২০১৮-০৮-১০)। "Kerala's Jeena PS To Lead Women's Basketball Team At Asiad"। SheThePeople TV (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২২।
- ↑ ক খ "പ്രതീക്ഷയോടെ ; പി എസ് ജീന അനുഭവങ്ങൾ പങ്കുവയ്ക്കുന്നു"। Deshabhimani (মালায়ালাম ভাষায়)।
- ↑ കാസിം, സിറാജ്। "മോസ്റ്റ് വാല്യുബിള് പ്ലെയര് 'ജീന'"। Mathrubhumi (মালায়ালাম ভাষায়)।