পারশে মাছ

মাছের প্রজাতি

পারশে মাছ (বৈজ্ঞানিক নাম: Chelon subviridis) মুজিলিডি (Mugilidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি মাছের প্রজাতি। এটি চেলন গণের সাতটি মাছের প্রজাতির মধ্যে একটি। অগভীর উপকূলীয় জলাশয়, খাড়ি অঞ্চলে এবং প্যারাবনের জলাশয়ে এ মাছ পাওয়া যায়। এটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া যায় এরকমের স্বাদু পানির মাছ।

পারশে মাছ
Chelon subviridis
পারশে মাছ
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: অ্যানিম্যালিয়া
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: অ্যাক্টিনোপ্টেরিজি
(Actinopterygii)
বর্গ: মুজিলিফরমস
(Mugiliformes)
পরিবার: মুজিলিডি (Mugilidae)
গণ: চেলন (Chelon)
প্রজাতি: সি. পারসিয়া (C. parsia)
দ্বিপদী নাম
চেলন সাবভিরিডিস
Chelon subviridis

(হ্যামিল্টন, ১৮২২)
প্রতিশব্দ
  • Liza subviridis (হ্যামিল্টন, ১৮২২)
 
পারশে বা পার্শে মাছ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

দেহ সরু ও লম্বা।দেহের উপরিভাগ কালো এবং নিচের অংশ রুপালি।সম্পূর্ণদেহ আঁশযুক্ত।লেজ,উপর দুইটি, পাশে দুইটি এবং নিচে দুইটি মিলে মোট সাতটি পাখনা থাকে। লেজের রঙ কালচে ।চোখ জোড়া দেহের তুলনায় বড়।সাধারণত ওজন ১৫০-২০০ গ্রাম হয়।

পূর্ণ বয়স্ক পারশে মাছ অপ্রাণীভোজী হলেও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মাছের প্রধান খাদ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী কণা।প্রাপ্তবয়স্ক হলে এরা শেওলা, ডায়াটম সহ নানা জৈব পদার্থ খেয়ে থাকে।

রন্ধনপ্রণালী

সম্পাদনা

দক্ষিণের মানুষের কাছে পারশে যেন এক সুখানুভূতির নাম।কমফোর্ট ফুড যাকে বলে।ভুনা, ভাঁপা,বেগুন দিয়ে মাখা ঝোল-পারশের মিঠে স্বাদ মন ভরিয়ে দেয়।

পুষ্টিগুণাগুণ

সম্পাদনা

স্বাদু পানির মাছের তুলনায় লোনা পানির মাছ বেশি পুষ্টিকর। এ মাছ উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ, ক্ষতিকারক চর্বি নেই।

বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক মৎস্য চাষী বাগদা চিংড়ির পরিবর্তে পারশে মাছ চাষ করছেন। কারণ এ মাছ চাষে ঝুঁকি কম। ঘেরে পোনা মজুদ করার ৪-৫ মাস পর এক একেকটা মাছের ওজন হয় ১৫০-২০০ গ্রাম। এ মাছ বাজারে বিক্রি হয় বেশ চড়া দামে এবং বাজারে বেশ চাহিদা আছে।মাছের ওজন ৪০-৮০ গ্রাম হলেই বাজারজাত করা যায়।

প্রজনন

সম্পাদনা

এরা উচ্চ প্রজননকারী। ১৫ মাসের মধ্যে এদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। পারশে মাছ প্রাকৃতিক পরিবেশে ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শীতকালে প্রজনন করে। পারশে মাছ সাধারণত অধিক লোনাপানিতে ডিম দেয়। ডিসেম্বরের শেষ দুই সপ্তাহ ও ফেব্রুয়ারির শেষ দুই সপ্তাহে এ মাছ সবচেয়ে বেশি ডিম দেয়।এ মাছের প্রজনন স্বভাব অন্য মাছ হতে কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী।

আরো পড়ুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. আইইউসিএন বাংলাদেশ, ভলিউম ৫, মিঠা পানির মাছ