টাইগার চিংড়ি
টাইগার চিংড়ি (বৈজ্ঞানিক নাম: Marsupenaeus japonicus, পূর্বনাম Penaeus japonicas) হল মারসুপেনিয়াস গণভুক্ত চিংড়ির একটি প্রজাতি। এটি কুরুমা চিংড়ি, জাপানি টাইগার চিংড়ি নামেও পরিচিত। এটির স্থানীয় নাম লাল চিংড়ি, লালচে চিংড়ি। এটি চিংড়ির বৃহত্তম প্রজাতির একটি।
টাইগার চিংড়ি Marsupenaeus japonicus | |
---|---|
টাইগার চিংড়ি | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | অ্যানিম্যালিয়া |
পর্ব: | আর্থ্রোপোডা |
উপপর্ব: | ক্রাস্টেসিয়া (Crustacea) |
শ্রেণী: | মালাকোস্টারাকা (Malacostraca) |
বর্গ: | ডেকাপোডা (Decapoda) |
পরিবার: | পেনাইডি (Penaeidae) |
গণ: | মারসুপেনিয়াস (Marsupenaeus) |
প্রজাতি: | এম. জাপোনিকাস M. japonicus |
দ্বিপদী নাম | |
মারসুপেনিয়াস জাপোনিকাস Marsupenaeus japonicus (স্পেন্স বেট, ১৮৮৮) | |
প্রতিশব্দ | |
|
বিবরণ সম্পাদনা
এ চিংড়ির শরীর ফ্যাকাসে, পিঠজুড়ে বাদামী ডোরা কাটা যা দেখতে বাঘের মতো,পা গুলো ফ্যাকাসে হলুদ এবং পায়ের শেষ প্রান্ত নীল।
আকার সম্পাদনা
পুরুষ চিংড়ি লম্বায় ১৭ সে.মি.(৬.৭ ইঞ্চি),যেখানে স্ত্রী চিংড়ি লম্বায় ২৭ সে.মি.(১১ ইঞ্চি)পর্যন্ত হতে পারে।এ চিংড়ির ওজন ১৩০ গ্রাম পর্যন্ত হয়,যা পেনাইডি পরিবারের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম প্রজাতি।
বাসস্থান সম্পাদনা
টাইগার চিংড়ি সাধারণত সমুদ্রে বাস করে।বেশিরভাগ সময় পানির ২০-৫০ মিটার গভীরতায় চলাচল করে।[১]
প্রজনন সম্পাদনা
২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা টাইগার চিংড়ি প্রজনন শুরু করে। ডিম ছাড়ার সময় মহিলা চিংড়ি গভীর সমুদ্রে চলে যায় এবং গড়ে প্রায় ৭,০০,০০০ ডিম ছাড়ে।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পাদনা
প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকার টাইগার চিংড়ি ব্লে আসে যশোর,খুলনা, বাগেরহাটের বিভিন্ন মোকামে।সেখান থেকে চিংড়ি চলে যায় বিভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে।সে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে মান বজায় রেখে সে সকল চিংড়ি প্যাকেটজাত করে মংলা বন্দর দিয়ে নৌপথে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। যার ফলে আয় হচ্ছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।
কর্মসংস্থান সম্পাদনা
জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে সাগরে প্রচুর টাইগার চিংড়ি ধরা পড়ে।যার ফলে দরকার হয় নতুন জেলের।আবার সেই চিংড়ি আড়ৎে বিক্রির পর মাথা শরীর থেকে আলাদা করা হয়।এ কাজে শ্রম দেয় দরিদ্র মানুষ।
রন্ধনপ্রণালী সম্পাদনা
এমাছ স্যুপ তৈরি ব্যবহার করা হয়।এছাড়া এ মাছের ভুনা বেশ সুস্বাদু।
পুষ্টি গুণাগুণ সম্পাদনা
সামুদ্রিক চিংড়ি হওয়ায় এ মাছ প্রচুর পুষ্টিকর।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ডেইলি বাংলাদেশ অনলাইন পোর্টাল