পাণ্ডি মেলম
পান্ডি মেলাম একটি শাস্ত্রীয় ঘাতবাদ্য সঙ্গীতানুষ্ঠান বা মেলাম (ঐকতান-সঙ্গীত)। এই সমবেত সঙ্গীতের নেতৃত্বে থাকে কেরলের জাতিগত বাদ্য চেন্দা। এর সাথে সঙ্গত করে ইলাথালম (করতাল জাতীয় বাদ্য), কুঝাল এবং কোম্বু।[১]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/b0/%E0%B4%B6%E0%B4%BF%E0%B4%99%E0%B5%8D%E0%B4%95%E0%B4%BE%E0%B4%B0%E0%B4%BF_%E0%B4%AE%E0%B5%87%E0%B4%B3%E0%B4%82_1.jpg/220px-%E0%B4%B6%E0%B4%BF%E0%B4%99%E0%B5%8D%E0%B4%95%E0%B4%BE%E0%B4%B0%E0%B4%BF_%E0%B4%AE%E0%B5%87%E0%B4%B3%E0%B4%82_1.jpg)
বর্ণনা
সম্পাদনাকেরালার চেন্দামেলামে (ঐকতান-সঙ্গীত) পান্ডি মেলাম বাদ্য পঞ্চারি মেলামের মতই একটি গুরুত্বপূর্ণ বাদ্যযন্ত্র। যদিও নামটি তামিল ভাষাগত বলে মনে হয়, এই মেলার সঙ্গে তামিলনাড়ুর কোনও সম্পর্ক নেই। অন্যান্য চেন্দা ঐকতানে ব্যবহৃত যন্ত্র এখানে বাজানো হয়।[২]
একটি নিচু ধ্বনিতে বাদ্য শুরু হয়ে পরবর্তী সময়ে এটি গতি লাভ করে এবং দণ্ডায়মান বাদকদের অঙ্গবিন্যাসের সঙ্গে দ্রুত তালে চলে আসে। একেবারে শেষের দিকে তালের পূর্ণ শক্তি প্রকাশিত হয়।অন্যথায়, অন্যান্য চেন্দা মেলার সাথে এটির মিল রয়েছে। তবে ওই সামান্য পার্থক্যটি পান্ডিকে আলাদা করে দেয়।[২]
একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের পান্ডি হল একটি তালমের (তাল) সাতটি স্বরকম্পের উপর ভিত্তি করে একটি মেলা। এটি আড়াই ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়। এটি সাধারণভাবে মন্দিরের বাইরে স্বতন্ত্রভাবে সম্পাদিত হয়। এই বাদ্যের মূলত চারটি স্তর রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের যথাক্রমে মোট ৫৬টি, ২৮টি, ১৪টি এবং ৭টি ছন্দযুক্ত চক্র (তালবাদ্যম) রয়েছে।
সর্বাধিক বিখ্যাত পান্ডি মেলামটি মধ্য কেরালার ত্রিশূর শহরের ভাদাক্কুন্ননাথন মন্দিরের চত্বরের ভিতরে মঞ্চস্থ হয়েছিল। গত বেশ কয়েক বছর ধরে, পেরুভানাম কুট্টান মারার ড্রামের এই ঐকতানটির নেতৃত্বদানকারী এলানজিথারা মেলাম। অন্য কোথাও, ত্রিশূরের নিকটবর্তী আরাট্টুপুঝা এবং পেরুভানমের পুরাম উৎসবগুলির মতো এবং মধ্য এবং উত্তর কেরালার বাকী অংশগুলিতে, এটি মন্দিরের বাইরে সম্পাদিত হয়।
পাঞ্চারি মেলাম নামে আরও একটি ঐকতান-সঙ্গীত, যেখানে পান্ডির মত একই ধরনের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহৃত হয়, তবে এর ছন্দের ধরন এবং উপস্থাপক গুরুত্বের দিক দিয়ে আলাদা, মূলত মন্দিরের ভিতরেই বাজানো হয়। পান্ডি মেলামের মূল বাদক গুরুগণ (জীবিত এবং মৃত উভয়েই) পাঞ্চারী মেলামেরও বিশেষজ্ঞ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Traditional orchestras of Kerala"। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২১।
- ↑ ক খ "Pandimelam"। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২১।