পশ্চিম চম্পারণ জেলা

বিহারের একটি জেলা

পশ্চিম চম্পারণ জেলা (হিন্দি: पश्चिम चंपारण ज़िला, উর্দু: مغرِبی چمپارن ضلع‎‎ Maġribī Čaṃpāraṇ Zilā) হল ভারতের বিহার রাজ্যের ৩৮টি জেলার অন্যতম। এই জেলার সদর শহর বেতিয়া। সমস্তিপুর জেলা বিহারের তিরহূত বিভাগের অন্তর্গত।

পশ্চিম চম্পারণ জেলা
पश्चिमी चंपारण ज़िला,مغربی چمپارن
বিহারের জেলা
বিহারে পশ্চিম চম্পারণের অবস্থান
বিহারে পশ্চিম চম্পারণের অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যবিহার
প্রশাসনিক বিভাগতিরহূত
সদরদপ্তরবেতিয়া
সরকার
 • লোকসভা কেন্দ্রপশ্চিম চম্পারণ, বাল্মীকি নগর
 • বিধানসভা আসনবাল্মীকি নগর, রামনগর, নরকাটিয়াগঞ্জ, বাগাহা, লাউরিয়া, নউতন, চানপাতিয়া, বেতিয়া, সিকতা
আয়তন
 • মোট৫,২২৯ বর্গকিমি (২,০১৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৩৯,২২,৭৮০
 • জনঘনত্ব৭৫০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল)
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৫৮.০৬%
 • লিঙ্গানুপাত৯০৬
প্রধান মহাসড়ক২৮খ নং জাতীয় সড়ক
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
গন্ডক নদী

ভূগোল সম্পাদনা

পশ্চিম চম্পারণ জেলার আয়তন ৫,২২৮ বর্গকিলোমিটার (২,০১৯ মা)।[১] এই জেলার আয়তন কানাডার অ্যামান্ড রিংনেস দ্বীপের আয়তনের প্রায় সমান।[২]

উদ্ভিদজগৎ সম্পাদনা

১৯৮৯ সালে পশ্চিম চম্পারণ জেলায় বাল্মীকি জাতীয় উদ্যান গঠিত হয়। এই জাতীয় উদ্যানের আয়তন ৩৩৬ কিমি (১২৯.৭ মা)।[৩] এছাড়াও এই জেলায় দুটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য আছে। এগুলি হল: বাল্মীকি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (বাল্মীকি জাতীয় উদ্যানের পাশে অবস্থিত) ও উদয়পুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য[৩]

বিভাগ সম্পাদনা

পশ্চিম চম্পারণ জেলা তিনটি মহকুমায় বিভক্ত। এগুলি হল: বেত্তিয়া, বাগাহা ও নরকাটিয়াগঞ্জ।

জনপরিসংখ্যান সম্পাদনা

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, পশ্চিম চম্পারণ জেলার জনসংখ্যা ৩,৯২২,৭৮০।[৪] এই জেলার জনসংখ্যা লাইবেরিয়া রাষ্ট্র[৫] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৬] জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ৬৩তম।[৪] জেলার জনঘনত্ব ৭৫০ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৯০০ জন/বর্গমাইল)।[৪] ২০০১-২০১১ দশকে এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২৮.৮৯%।[৪] পশ্চিম চম্পারণ জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯০৬ জন মহিলা[৪] এবং সাক্ষরতার হার ৫৮.০৬%।[৪]

ভাষা সম্পাদনা

এই জেলায় বিহারী ভাষাগোষ্ঠীর ভোজপুরি ভাষা প্রচলিত। এই ভাষা দেবনাগরীকইঠি হরফে লেখা হয়।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Srivastava, Dayawanti et al. (ed.) (২০১০)। "States and Union Territories: Bihar: Government"। India 2010: A Reference Annual (54th সংস্করণ)। New Delhi, India: Additional Director General, Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting (India), Government of India। পৃষ্ঠা 1118–1119। আইএসবিএন 978-81-230-1617-7। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১ 
  2. "Island Directory Tables: Islands by Land Area"United Nations Environment Program। ১৯৯৮-০২-১৮। ২০১৫-১২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১Amund Ringnes Island 5,255km2  horizontal tab character in |উক্তি= at position 21 (সাহায্য)
  3. Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Bihar"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১ 
  4. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  5. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Liberia 3,786,764 July 2011 est.  line feed character in |উক্তি= at position 8 (সাহায্য)
  6. "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১১-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০Oregon 3,831,074  line feed character in |উক্তি= at position 7 (সাহায্য)
  7. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bhojpuri: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

টেমপ্লেট:Tirhut Division