পশ্চাদমুখী বামপন্থা
"পশ্চাদমুখী বামপন্থা হচ্ছে একটি নব্যসৃষ্ট শব্দ এবং রাজনৈতিক উপাধি, যা মর্যাদাহানিকরভাবে বামপন্থী রাজনীতির একটি অংশের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যারা বহুসংস্কৃতিবাদ এবং সাংস্কৃতিক আপেক্ষিকতাবাদের জন্য বাকস্বাধীনতার বিরোধিতা করা,[১] পরিচয়বাদী রাজনীতিকে (ব্যক্তির উপর জোর না দিয়ে দলীয় পরিচয় যেমন জাতি, বর্ণ ও লিঙ্গের উপর জোর দেয়া)[২] ধারণ করা ইত্যাদির মত অনুদারপন্থার প্রতি সহনশীলতা দেখানোর মাধ্যমে আপাতবিরোধীভাবে প্রতিক্রিয়াশীল মতাদর্শ ধারণ করে।
ব্রিটিশ রাজনৈতিক সক্রিয় কর্মী মাজিদ নাওয়াজ, [note ১][৪] যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক টক-শো এর নিমন্ত্রণকর্তা বিল মার[৫] এবং ডেভ রুবিন,[note ২] এবং নব্য নাস্তিক্যবাদী লেখকগণ যেমন স্যাম হ্যারিস[note ৩] এবং রিচার্ড ডকিন্স[৫] প্রমুখ এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
ধারণা
সম্পাদনাধর্মনিরপেক্ষ ইসলামের পক্ষ নেওয়ার খাতিরে; ২০০৭ সালে মাজিদ নাওয়াজ ইসলামী দল হিসেবে পরিচিত হিযবুত তাহরীর সাথে পূর্ববর্তী সমস্ত সম্পর্ক অস্বীকার করেন। ২০০৭ সালে মাজিদ নাওয়াজ সহ আরো দুজন প্রাক্তন হিজবুত তাহরীর সদস্য মিলে কুইলিয়াম (থিংক ট্যাংক) নামক গবেষণা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। লন্ডন ভিত্তিক এ সংস্থার মুল লক্ষ্য হলো যেকোনো প্রকার মৌলবাদী ভাবনা বিশেষ করে ইসলামিক মৌলবাদী ভাবনা যাতে সমাজের রন্ধ্রে প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য জনগণকে সচেতন করা।[৮][৯]
যেসব বামপন্থী বা বামধারার ব্যক্তি ইসলামবাদের পক্ষে অবস্থান নেয়, তাদের উদ্দেশ্যেই নাওয়াজ "রিগ্রসিভ লেফট" শব্দসমষ্টি ব্যবহার করেছেন। মৌলবাদী ইসলামপন্থীদের মধ্যে "ইসলামের যেকোন ব্যাখ্যা সমাজে আইন হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার" প্রবণতা কাজ করে[১০] বামধারার মানুষের মধ্যে এই প্রবণতার প্রতি সহনশীল অবস্থা দেখে তিনি একে "বৈশ্বিক সর্বগ্রাসী ধর্মীয়-রাজনৈতিক কর্মসূচী" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন এবং এর বিরোধিতা করে তিনি বলেন, "ইসলামের যেকোন সংস্করণ যেকোন ব্যক্তির উপর যেকোন স্থানে চাপিয়ে দেবার ইচ্ছা পোষণ করা হচ্ছে আমাদের মৌলিক নাগরিক স্বাধীনতার মৌলিক লঙ্ঘণ"।[১১] নাওয়াজের মতে, ইসলামবাদের উপর এরকম সহানুভূতিশীলদের মধ্যে "নাস্তিকরাও আছেন যারা ইসলামবাদীদের পক্ষ নেন, এবং সাংস্কৃতিক সহনশীলতার নামে ইসলামের হয়ে লড়াই করেন।"[১২]
২০১৫ সালের অক্টোবরে উপস্থাপক ডেভ রুবিনের সঞ্চালনায় রাজনৈতিক টক শোতে নাওয়াজ "রিগ্রেসিভ" বা পশ্চাদগামী শব্দটি ব্যবহার করার কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, বামপন্থীদের মধ্যে একটি অংশ "সত্যিকার অর্থেই বিশ্বাস করেন" যে তারা পাশ্চাত্যের সরকারের নব্যরক্ষণশীল এবং নব্যঔপনিবেশিকতাবাদী বৈদেশিক নীতির বিরুদ্ধে একটি "মতাদর্শগত যুদ্ধ" করছেন, যেখানে সেই পাশ্চাত্যের সরকারগুলো যুদ্ধ এবং সামরিক আক্রমণের আকারে রাষ্ট্র-নির্মিত হিংস্রতা এবং বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি করছে। নাওয়াজ দাবি করেন, এরকম বামপন্থীরা ধর্মতান্ত্রিক মৌলবাদীদের যেমন ইসলামবাদীদের হিংস্র কার্যগুলোর সমালোচনা করা ত্যাগ করেছে, এবং একই সাথে তারা সর্বাধিক পশ্চাদগামী ধর্মতান্ত্রিক এবং খুনী শাসন এবং সংগঠনের কোনো কোনোটির সাথে "মৈত্রী স্থাপন" করেছেন। তিনি উদাহরণ হিসেবে ব্রিটিশ লেবর পার্টির নেতা জেরেমি করবিন এর কথা বলেন, "যিনি ঐতিহাসিকভাবে হামাস এবং হিজবুল্লাহ এর মত ইসলামবাদী সংগঠনগুলোর খুব ঘনিষ্ঠ"। নাওয়াজ এর মতে, একই সাথে নব্যরক্ষণশীল বৈদেশিক নীতি যেমন ইরাক যুদ্ধ (যার বিরোধিতা তিনি নিজেই করেন) এবং ধর্মতান্ত্রিক মৌলবাদ এর সমালোচনা করা সম্ভব। কিন্তু তিনি তাদেরকেই "পশ্চাদমুখী বামপন্থি" বলেন যারা এই কাজটি করতে ব্যর্থ হন।[১৩]
নাওয়াজ এর মতে, "মুসলিমরা ইসলামের সমালোচনা এবং উপহাস এর সাথে সামলে উঠতে পারবে না এবং কেবল হিংস্রতার সাথে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে"- এই ধারণাটি মুসলিমদের জন্য "অনুগ্রহমূলক, আত্মকরুণামূলক এবং প্রশ্রয়দানমূলক"। মুসলিমদের জন্য এটি একধরনের উদ্ধারমূলক বা শাসন থেকে মুক্তিদানমূলক আচরণ যেখানে মুসলিমদের থেকে সভ্য হওয়ার বা তারা নিজেদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করবে এরকমটার আশাই করা হয় না।[১২] এই "নিম্ন প্রত্যাশার বর্ণবাদ" ("racism of low expectations") সংখ্যালঘুদের মধ্যকার নৈতিক আদর্শকে নিচে নামিয়ে দেয়, এবং মুসলিমরা যদি নারী বিদ্বেষ, সমকামীবিদ্বেষ, উগ্র জাতীয়তাবাদ, ধর্মান্ধতা বা ইহুদি-বিদ্বেষ প্রকাশ করে তাহলে এটি তাদেরকে রক্ষা করার জন্য অজুহাত খুঁজে বের করে, যেখানে এই "নিম্ন প্রত্যাশার বর্ণবাদী" বামপন্থীদের বেশিরভাগই "বিশ্বজনীন উদারনৈতিক আদর্শ" ধারণ করেন।[১৪]
কুইলিয়াম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারাস রফিক তার দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, কিছু বামপন্থীদের মধ্যে ইসলামবাদের পক্ষে অজুহাত দেখাবার প্রবণতা রয়েছে: "আমরা ইসলামবাদী এবং অতি ডানপন্থার ঘৃণকারীদের সাথে; ইসলামবাদকে প্রশ্রয় দেবার জন্য প্রস্তুত পশ্চাদমুখী বামপন্থার আতাঁতের এ সম্পর্কের ব্যাপারটা বুঝতে পারিনা।"[১৫]
পদটির ব্যবহার
সম্পাদনা২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে, স্যাম হ্যারিস এবং মাজিদ নাওয়াজ হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ পলিটিক্স নিমন্ত্রণে একটি পাবলিক ফোরামে অংশগ্রহণ করেছিলেন,[১৬] যেখানকার সাক্ষাতকার একটু পুস্তিকায় ছাপানো হয়েছিল। পুস্তিকাটির শিরোনাম ছিল ইসলাম এন্ড দ্য ফিউচার অফ টোলারেন্স (২০১৫)। ন্যাশনাল রিভিউ অনলাইন পত্রিকায় বইটির একটি পর্যালোচনা ছাপা হয়, যেখানে রাজনৈতিক লেখক ব্রায়ান স্টুয়ার্ট উল্লেখ করেন যে, নাওয়াজ এবং হ্যারিস এর মতে পাশ্চাত্যের "পশ্চাদমুখী বামপন্থারা" এই বিষয়ে "ইচ্ছাকৃতভাবে অন্ধ" যে, জিহাদি এবং ইসলামবাদীগণ বৈশ্বিক মুসলিম সম্প্রদায় এবং এমনকি পাশ্চাত্যের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ে উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে (স্যাম হ্যারিসের হিসাবে ২০%) রয়েছে, যদিও এই অংশটি ব্যক্তিস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, নারী অধিকার, সমকামী অধিকার ইত্যাদি উদারনৈতিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে। নাওয়াজ এবং হ্যারিস এই সামাজিক প্রপঞ্চের যেকোন সমালোচনার প্রতি আপাতবিরোধী অনুদারপন্থী, আইসোলেশনিস্ট এবং নিন্দা করার প্রবণতার নিন্দা করেন। এবং একে তারা বিশ্বজনীন উদারনৈতিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে থাকা সবচেয়ে বেশি সংকটাপন্ন মানুষ যেমন নারী, সমকামী এবং ধর্মত্যাগীদেরকে সমর্থন না করা এবং তাদের পক্ষ ত্যাগ করার সামিল হিসেবে উল্লেখ করেন।[১৭]
২০১৫ সালের অক্টোবরে, দ্য ওয়াশিংটন টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কমেডিয়ান এবং টিভি শো এর নিমন্ত্রণকর্তা বিল মার এবং ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানী এবং নব্য নাস্তিক্যবাদী রিচার্ড ডকিন্স পশ্চাদমুখী বামপন্থাদের সমালোচনা করে বলেছিলেন, "তারা এটা বুঝতে ব্যর্থ হন যে ইসলামের প্রসঙ্গ সামনে আসলে তারা আর উদারপন্থী থাকেন না।"[১৮] বিল মার উল্লেখ করেন, পশ্চাদমুখী বামপন্থাদের মধ্যে ইসলামকে সমালোচনা না করার একটি প্রবণতা কাজ করে, এবং এটাকে তারা নিজেদের সংস্কৃতি বলে অজুহাত দাঁড়া করান। সেসময় ডকিন্স উত্তর দেন, "ঠিকাছে, চুলোয় যাক তাদের সংস্কৃতি"।[১৯][২০] ক্যাম্পাসে প্রাক্তন-মুসলিম বক্তাদেরকে আসতে না দেয়াকে ডকিন্স "১৯৬০ এর দশকের বাকস্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে প্রতারণা" বলে উল্লেখ করেন।[২১]
২০১৫ সালের অক্টোবর এবং নভেম্বরে, স্যাম হ্যারিস বারবার গণমাধ্যমের সামনে এই শব্দটির উল্লেখ করেন। তিনি বলেন সবচেয়ে বড় বিপদ এই যে "পশ্চাদমুখী বামপন্থা" "সংখ্যালঘুদেরকে আক্রমণ করা হবে এই ভয়ে" বাকস্বাধীনতা ত্যাগ করতে চায়, যার ফলে সেই সংখ্যালঘুর দ্বারা সেন্সরশিপ তৈরি হবে। তিনি উদাহরণ হিসেবে শার্লি হেবদো শুটিং নিয়ে যুক্তরাষ্টের সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ড এর মন্তব্যের উদাহরণ টানেন।[২২][২৩] হ্যারিস রেজা আসলান[২২][২৩] এবং নোম চম্স্কিকে পশ্চাদমুখী বামপন্থা হিসেবে বিবেচনা করেন।[২৪][২৫]
২০১৫ সালের নভেম্বরে দ্য হিউম্যানিস্ট আওয়ার নামে একটি টক রেডিও শোতে লেখক এবং দার্শনিক পিটার বঘোসিয়ান এই শব্দটির দ্বারা মর্যাদাহানিকর অর্থে সেইসব বামপন্থীদেরকে বুঝিয়েছেন যারা ইসলামবাদীদের সাথে "অদ্ভুততম মৈত্রী" তৈরি করেছেন। তার মতে, "রিগ্রসিভ" (পশ্চাদ্গমণ) শব্দটি "প্রোগ্রেসিভ" (প্রগতিশীল) শব্দের বিপরীতে হিসেবে আনা হয়েছে, যেখানে "প্রোগ্রেসিভ" দ্বারা সেই দলকে বোঝায় যারা সমাধিকার চায় এবং আইনের শাসনব্যবস্থা এবং জাতিগত সমতা চায়, যেখানে "রিগ্রেসিভ" দ্বারা সেই সব দলকে বোঝায় যারা মানুষের জন্য ক্ষতিকর হয়... তারা পিছিয়ে থাকা মানুষের জন্য দানশীলতাকে সমর্থন করে না, অথবা দানের সাথে জড়িয়ে থাকা কোন ব্যাখ্যাকে মানুষের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করে"। এছাড়াও বঘোসিয়ান বিশ্বাস করেন যে, "পশ্চাদমুখী বামপন্থারা" যাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত বলে মনে করেন তাদের প্রতি তারা "অতি-নৈতিক" হয়ে গেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দাসপ্রথা এবং ঔপনিবেশিকতাবাদ এর মত ঐতিহাসিক অনৈতিক কার্য নিয়ে বৈধ উদ্বিগ্নতার কথা বলেন, যা যেকোন পাশ্চাত্য এবং পুঁজিবাদী বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করেছে। তিনি এও বলেন যে, "এখনও মানুষ বর্ণবাদ, সমকামীবিদ্বেষ ইত্যাদির কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সমস্যাটা এখানে যে সবসময় "বর্ণবাদী" শব্দটিকে এত বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে যে শব্দটি এর অর্থ হারিয়ে ফেলেছে। এই শব্দটির মধ্যে শক্তি থাকা উচিৎ, শব্দটি ভয়ঙ্কর থাকা উচিৎ।"[২৬]
২০১৫ সালের শেষের দিকে, দ্য রুবিন রিপোর্ট এর বিভিন্ন অংশে টকশো এর নিমন্ত্রণকর্তা ডেভ রুবিন "পশ্চাদমুখী বামপন্থা" এর আলোচনা নিয়ে আসেন।[২৭] রুবিন পশ্চাদমুখী বামপন্থাকে যুক্তরাষ্ট্রের টি পার্টি আন্দোলনের বামপন্থী সংস্করণ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি এও বলেন যে পশ্চাদমুখী বামপন্থা ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ধ্বংস করবে ঠিক যেমনটা টি পার্টি আন্দোলন রিপাবলিকান পার্টিকে ধ্বংশ করেছিল।[২৮]
রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার ডেভিড প্যাকম্যান এই ধারণাটিকে তার টক শোতে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, এই শব্দটি সব উদারপন্থীদেরকে অপমান করার জন্য উদারপন্থীরা ভুলভাবে ব্যবহার করেন।[২৯][৩০] প্যাকম্যান সুপারিশ করেন, আসল পশ্চাদমুখী বামপন্থি তারাই যারা প্রগতিবাদ জারি করার জন্য স্বৈরাচারী হয়ে থাকেন।[৩১]
সমালোচনা
সম্পাদনা২০১৫ সালের নভেম্বরে দ্য হাফিংটন পোস্ট থেকে মানসিক রোগের চিকিৎসক খাওয়াজা খসরু তারিক এই শব্দটিকে গুরুত্বহীন এড হোমিনেম আক্রমণ (ব্যক্তি আক্রমণ) বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে উদারপন্থী ও রক্ষণশীল উভয়ের মধ্যেই ইসলামের কঠোর সমালোচনাকারীরা আছে। খসরু এও বলে যে গ্লেন গ্রিনওয়াল্ড এবং নোম চম্স্কির উপর পশ্চাদমুখী বামপন্থা শব্দটির প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু তারিকের মতে এই দুজন কখনোই সহিংসতা সমর্থন করেন না, এবং ইসলামের নীতির পক্ষে মত দেন না। তিনি বলেন যে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য কোন সত্যিকারের বাধা নেই।[৩২]
২০১৬ সালের মার্চে, জোসেফ বার্নস্টিন নামে বাজফিড-এর একজন সাংবাদিক লেখেন যে "পশ্চাদমুখী বামপন্থা" শব্দটি নাওয়াজ, বিল মার এবং ডকিন্সের মত স্বঘোষিত উদারপন্থীদের দ্বারা উদ্ভাবিত হলেও, এই শব্দটিকে অল্ট-রাইট কর্মীরা এবং অন্যান্য এস.জে.ডব্লিউ-বিরোধী (এস.জে.ডব্লিউ. দ্বারা সোশ্যাল জাস্টিস ওয়ারিয়র বোঝায়) দলগুলো ইন্টারনেট ফোরামে এবং সামাজিক গণমাধ্যমে তাদের আলঙ্কারিক যুদ্ধবিগ্রহের একটি অংশ হিসেবে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করছে।[৩৩]
আরও দেখুন
সম্পাদনাটীকা
সম্পাদনা- ↑ According to an article published in New York Times Magazine, "A term that you will hear with frequency from Nawaz is 'the regressive left'...".[৩]
- ↑ According to an article published in The Guardian, "David Rubin is convinced that the regressive left is the equivalent of America’s Tea Party – dangerous for progressive politics, whose purpose should be to champion reason and debate to achieve greater equality and improve human rights."[৬]
- ↑ According to an article published in theHumanist.com, "In an interview on Lawrence O’Donnell’s television show, [Harris] went even further, accusing regressive leftists of 'denying the link between beliefs and behavior across the board' and 'follow[ing] Noam Chomsky off the edge of the world.'"[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ https://quillette.com/2017/02/03/free-speech-and-the-regressive-left-the-road-back-to-reason/
- ↑ https://www.nytimes.com/2018/05/08/opinion/intellectual-dark-web.html
- ↑ Thomas Chatterton Williams (২৮ মার্চ ২০১৭)। "Maajid Nawaz's Radical Ambition"। New York Times Magazine। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ Hemant Mehta (৯ নভেম্বর ২০১৫)। "Activist Maajid Nawaz Criticizes the "Regressive Left" for Allowing Bigotry in Religious Contexts"। Patheos। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ Kellan Howell (৩ অক্টোবর ২০১৫)। "Bill Maher, Richard Dawkins blast 'regressive liberals' giving a 'free pass' to Islam"। The Washington Times। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ Gay Alcorn (২৬ এপ্রিল ২০১৬)। "Conservatives love to hate political correctness, but the left should rail against it too"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ Mark Dunbar (২২ ডিসেম্বর ২০১৫)। "Review of Islam and the Future of Tolerance: A Dialogue"। theHumanist.com। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ Nawaz, Maajid (২০১২)। Radical: My Journey out of Islamist Extremism। WH Allen। পৃষ্ঠা 210। আইএসবিএন 9781448131617। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Maajid Nawaz (Quilliam)"। Quilliam। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ Nawaz, Maajid (২০১২)। Radical: My Journey out of Islamist Extremism। WH Allen। আইএসবিএন 9781448131617।
- ↑ Tony Jones (২৮ অক্টোবর ২০১৫)। "Lateline: An atheist and a Muslim on the future of Islam"। Lateline। Australian Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ ক খ Maajid Nawaz (৮ আগস্ট ২০১৫)। "The British Left's Hypocritical Embrace of Islamism"। The Daily Beast। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Rubin, Dave (২ অক্টোবর ২০১৫)। "Maajid Nawaz and Dave Rubin Discuss the Regressive Left and Political Correctness"। Rubin Report। ১০ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Maajid Nawaz (১৮ নভেম্বর ২০১৫)। "Je Suis Muslim: How Universal Secular Rights Protect Muslim Communities the Most"। Big Think। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Adam Lebor (১৪ ডিসেম্বর ২০১৫)। "Donald Trump: The America Stereotype Europeans Love To Hate"। Newsweek। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ Harvard's Institute of Politics hosting Sam Harris and Maajid Nawaz। "Islam and the Future of Tolerance"। Harvard’s Institute of Politics। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Stewart, Brian (৭ অক্টোবর ২০১৫)। "A Liberal Atheist and a Liberal Muslim Discuss the Problems of Contemporary Islam"। National Review Online। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Kellan Howell (৩ অক্টোবর ২০১৫)। "Bill Maher, Richard Dawkins blast 'regressive liberals' giving a 'free pass' to Islam"। The Washington Times। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Real Time with Bill Maher: Richard Dawkins – Regressive Leftists (HBO)"। Real Time with Bill Maher। HBO। ২ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ John Worthing (২৭ অক্টোবর ২০১৫)। "'To hell with their culture' - Richard Dawkins in extraordinary blast at Muslims"। The Independent। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Tyler Kingkade (৩ অক্টোবর ২০১৫)। "Richard Dawkins: College Students Are Betraying The Free Speech Movement"। Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ Chris Beck (২১ অক্টোবর ২০১৫)। "Sam Harris Unloads on the Regressive Left"। Splice Today। Russ Smith। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ ক খ Sean Illing (২৫ নভেম্বর ২০১৫)। "Sam Harris talks Islam, ISIS, atheism, GOP madness: "We are confronting people, in dozens of countries, who despise more or less everything that we value""। Salon.com। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "Sam Harris is still mad about 'liberals who followed Noam Chomsky off the edge of the world'"। Rawstory.com। ১৬ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ The Last Word with Lawrence O'Donnell, 15 October 15, 2015, MSNBC.
- ↑ Bo Bennett, Kim Ellington (৪ নভেম্বর ২০১৫)। "The Humanist Hour #175: The "Regressive Left" and Safe Spaces, with Dr. Peter Boghossian"। thehumanist.com (পডকাস্ট)। The Humanist Hour। event occurs at 4:08, 9:48, 0:10। ১১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Milo Yiannopoulos and Dave Rubin Discuss Gay Rights and Cultural Libertarians"। Ora TV। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Dave Rubin: Regressives are the Left's Tea Party"। The Rubin Report। ৭ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Pakman, David (১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Would David Appear on Drunken Peasants or Illiberal Podcasts?"। The David Pakman Show।
- ↑ Pakman, David (১৪ এপ্রিল ২০১৬)। "The Truth About the Regressive Left"। The David Pakman Show।
- ↑ Pakman, David (২১ জুন ২০১৬)। "Authoritarian Leftism: The Actual "Regressive Left""। The David Pakman Show।
- ↑ Tariq, Khwaja (১১ নভেম্বর ২০১৫)। ""Regressive Liberals": The New Mantra of Islamophobia"। Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Bernstein, Joseph (১৬ মার্চ ২০১৬)। "The Rise Of The #Regressiveleft Hashtag"। Buzzfeed। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৬।