পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা

বাংলাদেশে গবেষণা প্রতিষ্ঠান

পরমাণু শক্তি কেন্দ্র বাংলাদেশের প্রাচীনতম পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র।[১][২][৩] এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থিত। বর্তমানে বাংলাদেশ পারমাণু শক্তি কমিশনের অধীনে এ কেন্দ্রটি রয়েছে।[৪]

পরমাণু শক্তি কেন্দ্র
ঢাকায় কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের মূল কার্যালয়।
গঠিত১৯৬৪
উদ্দেশ্যপারমাণবিক গবেষণা
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
ওয়েবসাইটপরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা

ইতিহাস সম্পাদনা

পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রটি ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয় এবং পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তি কমিশন দ্বারা ১৯৬৫ সালের ২৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানটির একটি ৫০০০ ক্যুরি কোবাল্ট-৬০ গামা বিকিরণ উৎস, একটি আইবিএম-১৬২০ কম্পিউটার, এবং একটি ভ্যান ডি গ্রাফ অ্যাক্সিলারেটর ছিল। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হয় এবং বাংলাদেশ স্বাধীন দেশে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালের ৩ মার্চ একজন বিজ্ঞানীকে পারমাণবিক বিষয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। ১৯৭৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশন গঠন করা হয় এবং কেন্দ্রটি এর অধীনে রাখা হয়। কেন্দ্রটি ইরাটম-২৪ এবং ইরাটম-৩৮, দুটি উচ্চ ফলনশীল ধানের বৈচিত্র্য এবং হাইপ্রোসোলা নামে একটি উচ্চ ফলনশীল ডালের বীজ তৈরি করেছে। কেন্দ্রটি বিকিরণ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের বন্ধ্যাকরণের মাধ্যমে খাদ্য সংরক্ষণের উপায়গুলি নিয়ে গবেষণা করেছিল।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. মিয়া মোঃ সিরাজুল হক (২০১২)। "পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  2. "Forty one years of Bangladesh Atomic Energy Commission"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  3. Murshed, C Z। "An academic visit to Atomic Energy Centre"The Daily Star। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  4. "Powerless for 3 weeks!"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭