পন্টিয়ানকের জামে মসজিদ

পন্টিয়ানাকের জামে মসজিদ, সুলতান সাইরিফ আবদু্র রহমান মসজিদ নামে পরিচিত। এটি ইন্দোনেশিয়ার কালিমান্তানের পন্টিয়ানাকের প্রাচীনতম মসজিদ। এটি একটি বিশাল কাঠের মসজিদ। ১৭৭১ সালে ক্র্যাটন কাদরিয়াহর রাজপ্রাসাদ প্রতিষ্ঠার পরে নগরীতে নির্মিত প্রথম বিল্ডিংগুলির মধ্যে একটি ছিল এই মসজিদটি।

পন্টিয়ানাকের জামে মসজিদ
Masjid Jami' Pontianak
সুলতান সাইরিফ আব্দুর রহমান মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানপন্টিয়ানাক, কালিমান্তান, ইন্দোনেশিয়া
স্থানাঙ্ক০°০১′৩৬″ দক্ষিণ ১০৯°২০′৫২″ পূর্ব / ০.০২৬৭৩৮° দক্ষিণ ১০৯.৩৪৭৬৭৮° পূর্ব / -0.026738; 109.347678
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীMalay[১][২] (with additional Middle Eastern, European and Javanese influences)[৩]
সম্পূর্ণ হয়১৮২৭
ধারণক্ষমতা১৫০০

ইতিহাস সম্পাদনা

পন্টিয়ানাকের জামে মসজিদটি পন্টিয়ানাকের প্রতিষ্ঠাতা সাইরিফ আবদুর রহমান আলকাদরি দ্বারা নির্মিত। আলকাদরী ছিলেন আল হাবিব হোসেনের পুত্র। তিনি ছিলেন সেমারাংয়ের একজন মুসলিম পণ্ডিত। ১৭৩৩ সালে পশ্চিম কালিমান্তানে চলে এসেছিলেন। মাতানের সুলতান, কামালউদ্দিনের তাঁকে গ্রহণ করেছিলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা দিয়ে। তারপর তাকে ধর্মীয় বিষয়গুলির সমাধান করার জন্য মুফতি নির্বাচিত করা হয়। তিনি সুলতানের মেয়ে নয় তুয়াকে বিয়ে করেছিলেন। এই বিবাহ থেকেই সাইরিফ আবদুর রহমান আলকাদরি জন্মগ্রহণ করেন। [৪]

হোসেন ও সুলতান কামালউদ্দিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব হওয়ার কারণে হোসেন মেম্পাওয়াহ কিংমেম্পাওয়াহডমে চলে যান। তিনি মেম্পাওয়াহতে মারা যান। তাই রাজ্যে মুসলিম স্কলারের ভূমিকা তাঁর পুত্র আলকাদরী দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। কালিমান্তানে মুসলিম সালতানাত প্রতিষ্ঠার জন্য আল-কাদরি তাঁর চৌদ্দটি নৌকো নিয়ে একসাথে কাপুয়াস নদীতে যাত্রা করেছিলেন। আল-কাদরি ২৩ শে অক্টোবর, ১৭৭১ এই কাপুশ নদী এবং ল্যান্ডাক নদীর সঙ্গমে পৌঁছেছিল। এই জায়গা থেকে আল-কাদরি একটি নতুন সালতানাত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পন্টিয়ানাক সালতানাত। যেখানে তিনি একটি রাজবাড়ী এবং একটি রাজকীয় মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। [৪]

মূল মসজিদটি ছিল একটি ছোট আকারের কাঠের মসজিদ । ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে শরীফ উসমান নামে এক পুত্রকে রেখে আল-কাদরি মারা যান। আল-কাদরি মারা যাওয়ার সময় শরীফ উসমান একজন শিশু ছিলেন। তিনি তাঁর বাবার রাজত্ব চালিয়ে যেতে পারেন নি। রাজকীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, রাজ্যটির নেতৃত্ব শরীফ কাসিম নামে সাইরিফ আবদুর রহমানের ভাইয়ের দ্বারা পরিচালিত হবে। সাইরিফ উসমান যখন প্র্রাপ্তবয়ষ্ক হোন, ১৮২২ থেকে ১৮৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি পন্টিয়ানাকের সুলতান হিসাবে তাঁর চাচার স্থলাভিষিক্ত হন। সাইরিফ উসমান ১৮২৭ সালের মুহররম মাসে মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করেন। [৫] নির্মাণ সমাপ্তির পরে, তিনি তার পিতার শ্রদ্ধা হিসাবে এটির নাম রাখেন আবদুর রহমান মসজিদ। । [৪]

স্থাপত্য সম্পাদনা

ইন্দোনেশিয়ান মসজিদের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্যে হলো, মসজিদগুলো বহুস্তরের ছাদ বিশিষ্ট হয়। এই মসজিদের ছাদটি ছিল ছয় স্তর বিশিষ্ট। বাইরে তৈরি করা হয়েছে স্থানীয় বেলিয়ান কাঠ দিয়ে উচ্চ মানের একটি স্তর। [৬]

মসজিদটির সর্বাধিক বৈশিষ্ট্য হল- এর বহু-স্তরযুক্ত পিরামিড ছাদ। একটি ছয় পার্শ্বযুক্ত কাপোলা মসজিদের মিহরাব । ছাদটি বেলিয়ান কাঠের টুকরা দিয়ে আবৃত। [৬]

পশ্চিম কালিমান্তানের আদর্শ স্থাপত্যে মসজিদটি কাঠের প্ল্যাটফর্মের উপরে নির্মিত। এটি পশ্চিম কালিমান্তানের নদীর পাশের বসতিগুলির একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য। এই পর্যায়টি প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার (২০ ইঞ্চি) মাটির উপরে অবস্থিত। বর্তমানে মসজিদটি সিমেন্ট বেস দিয়ে উন্নত করা হয়েছে। [৪] [৬]

আরও দেখুন সম্পাদনা

  • ইন্দোনেশিয়ার মসজিদগুলির তালিকা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Anton Surya (২০১৭)। "Masjid Jami Pontianak"Kompasiana। Kompasiana। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০২০ 
  2. Nathasi (২০১৭)। [Jadi Ikon Destinasi Wisata Religi, Ini Tiga Masjid Bersejarah di Kalimantan Barat "Jadi Ikon Destinasi Wisata Religi, Ini Tiga Masjid Bersejarah di Kalimantan Barat"] |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)gomuslim.co.id। gomuslim.co.id। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০২০ 
  3. "Masjid Jami Sultan Syarif Abdurrahman - Masjid Tua Simbol Eksistensi Sejarah"Dunia Masjid। Dunia Masjid। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৪, ২০২০ 
  4. Zein 1999
  5. "Masjid Jami' - Pontianak, Kalimantan Barat"Pontinesia। Pontinesia। ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২২, ২০১৭ 
  6. "Masjid Sultan Abdurrahman Pontianak"Melayu Online। Balai Kajian dan Pengembangan Budaya Melayu। ২০০৭। নভেম্বর ১৬, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২২, ২০১৭  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "mly" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা