পনজি স্কিম হচ্ছে এক ধরনের কূট কৌশল যেখানে নতুন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ পুরনো বিনিয়োগকারীদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। চার্লস পনজি নামের এক ব্যক্তির নাম থেকে এটা চালু হয়েছে।[]

চার্লস পনজি যার নামে পনজি স্কিম

বৈশিষ্ট্য

সম্পাদনা

এ ধরনের ফান্ডে নতুন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে পুরনো বিনিয়োগকারীদের মুনাফা পরিশোধ করা হয়। যখন অর্থপ্রবাহ কমে যায়, তখনই প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়ে।[]

ইতিহাস

সম্পাদনা

চার্লস পনজি প্রতারণার শিক্ষা নেন লুইজি জারোচ্চি নামের এক ইতালীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ব্যাংক মালিকের কাছে। ১৯০৭ সালে মন্ট্রিয়লে গিয়েছিলেন। সেখানে চাকরি নেন জারোচ্চির ব্যাংক—বানকো জারোচ্চিতে। এই ব্যাংক তাঁর আমানতকারীদের ৬ শতাংশ সুদ দিত। সেই সময় যেটি ছিল অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক অনেক বেশি। ফলে রাতারাতি এই ব্যাংকে আমানতকারীর সংখ্যা বেড়ে যায় এবং রিজার্ভ ফুলে-ফেঁপে ওঠে। নতুন যে আমানতকারীরা ব্যাংকে টাকা রাখছেন বেশি মুনাফার আশায়, তাঁদের টাকা থেকেই লাভ দেওয়া হচ্ছে পুরোনো গ্রাহকদের। আসলে ব্যাংক তাঁর বিনিয়োগের লাভ থেকে এই কাজ করছে না। এভাবে বেশি দিন চলতে পারে না। নতুন গ্রাহকের সংখ্যা কমে আসতে বাধ্য। ব্যাংকে ধস নেমে এল। গ্রাহকদের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলেন জারোচ্চি। এই বুদ্ধিটা পনজি পরে কাজে লাগিয়েছেন পনজি স্কিমে।[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. যুক্তরাষ্ট্রের 'হুন্ডি কাজল' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ জুলাই ২০১৪ তারিখে,আকরাম হোসেন, দৈনিক সমকাল। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০১ জুলাই, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ।
  2. পনজির ‘স্মরণে’ পনজি স্কিম ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ মে ২০১৮ তারিখে,রাজীব হাসান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৫-০৩-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা