নোনা কোনার বা নোনা মোসেল কোনার (জন্ম ১২ ডিসেমেবর ১৯৮৩ - ১৩ মে ২০২১) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির একজন সমাজকর্মী। যিনি যৌনকর্মী, কৃষ্ণাঙ্গ নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের নারীদের অধিকার আদায়ে লড়াই করেছেন।

নোনা মোসেল কোনার
জন্ম(১৯৮৩-১২-১২)১২ ডিসেম্বর ১৯৮৩
মৃত্যু১৩ মে ২০২১(2021-05-13) (বয়স ৩৭)

ব্য়ক্তিগত জীবন সম্পাদনা

নোনা ছিলেন একই সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গ, সমকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, অর্থাৎ এমন তিনটি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত যারা নিয়মিত ভাবে সামাজিক বৈষম্য ও নিগ্রহের শিকার। নোনা দরিদ্র পরিবারের মেয়ে, পারিবারিক নিরাপত্তার অভাবে তিনি কিশোরী বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন ও যৌনকর্মীর বৃত্তি গ্রহণ করেন।[১] অসহায় অবস্থায় তিনি নানা অত্যাচার ভোগ করেন যার মধ্যে এক দুর্বৃত্তের তাঁকে আটচল্লিশবার ছুরিকাঘাতের ঘটনা তিনি বিশেষভাবে স্মরণ করেন। কিন্তু নোনা নিজেকে অত্যাচারের "শিকার" বলা পছন্দ করতেন না, বলতেন আমি অত্যাচারকে জয় করেছি[২]

কর্মজীবন সম্পাদনা

এই সময় হুইটম্য়ান ওয়াকার হেলথ নামের একটি দাতব্য সেবা কেন্দ্রে এক পরিচিত বন্ধুর মাধ্য়মে সমাজসেবিকা জেসিকা রাভেনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়[৩]। জেসিকা রাভেন ছিলেন “নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সংগঠিত প্রয়াস” (কালেক্টিভ অ্যাকশন ফর সেফ স্পেসেস) সংস্থার কর্মকর্তা। সংস্থাটি নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। জেসিকা নোনাকে সংস্থার সদস্য করে নেন ও ২০১৬ সাল থেকে এর বেতনভোগী পদে নিয়োগ করেন।[৪] সংস্থায় থাকাকালীন প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসাবে নোনা এর একাধিক প্রকল্প পরিচালনার ভার নেন ও তাঁর কর্মদক্ষতা সকলের প্রশংসা অর্জন করে।[৫] প্রকল্পগুলির মধ্যে যৌনকর্মীপেশাকে অপরাধমুক্ত করার জন্য “ডিক্রাইম-নাও”, তৃতীয় লিঙ্গের নরনারীদের কর্মক্ষেত্রে নিযুক্তিকরণে বৈষম্য দূর করার জন্য “সেফ বার সেফ জব”, লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডার—এই চার গোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুবিচার দাবী করে “নো জাস্টিস নো প্রাইড” প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।[৬] তার পূর্ব অভিজ্ঞতা ও সহমর্মিতা তাঁকে প্রকল্পের অধীনে সমাজের নীচুতলার মানুষগুলির সমস্যা বুঝতে ও তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যেতে সাহায্য করত। করোনা জনিত লকডাউনের সময়ে কর্মহারা যৌনকর্মীদের নিয়ে তিনি গল্পকথনের এক অভিনব প্রকল্প চালু করেন। তার নিজের জীবনের কাহিনী বলে তিনি তাদের প্রেরণা যোগাতেন। দারিদ্র্য ও সুচিকিৎসার অভাবে তার স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটছিল। মৃত্যুর কিছু আগে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে একটি পরিচ্ছন্ন বাসস্থানের আশায় তিনি অর্থসংগ্রহে নেমেছিলেন। [৭]১৩ মে ২০২১ তাঁর মৃত্যু হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Vargas, Theresa (May 22, 2021). "Before she died, a Black transgender woman wrote she was 'tired of being not heard.' Her loved ones hope people now listen". The Washington Post
  2. washingtoncitypaper.com/article/196298/trans-women-face-extreme-harassment-and-violence-thats-why-this-nonprofit-wants-to-hirenona
  3. Hughes, Sarah Anne (June 1, 2016). "Trans Women in D.C. Face Extreme Harassment and Violence. That's Why This Nonprofit Wants to #HireNona". Washington City Paper.
  4. Hughes, Sarah Anne (June 1, 2016). "Trans Women in D.C. Face Extreme Harassment and Violence. That's Why This Nonprofit Wants to #HireNona". Washington City Paper
  5. https://www.them.us/story/nona-conner-a-black-trans-activist-who-fought-for-sex-workers-has-die[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. DeLoach, Jordan N. (March 2, 2019). "Decriminalizing Sex Work Is a Matter of Survival". Truthout.
  7. https://www.them.us/story/nona-conner-a-black-trans-activist-who-fought-for-sex-workers-has-died