নেপাল-বাংলাদেশ মৈত্রী শিখর

নেপাল-বাংলাদেশ মৈত্রী শিখর হিমালয় পর্বতমালার একটি পর্বতশৃঙ্গের নাম। এই পর্বত শৃঙ্গটির প্রচলিত নাম চেকিগো। এই পর্বতশৃঙ্গটি নেপাল-তিব্বত সীমান্তের কাছে ২০,৫২৮ ফুট (৬২৫৭ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত। [১] ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ অক্টোবর এই পর্বত শৃঙ্গটি প্রথম বিজিত হয়। [২]

নামকরণ সম্পাদনা

হিমালয় পর্বতমালায় এমন কিছু পর্বতশৃঙ্গ আছে যা উচ্চতায় এভারেস্টের চেয়ে কম হলেও আরোহণের জন্য বিপজ্জনক ও কঠিন। নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন (এনএমএ) হিসাব মতে, চেকিগো পর্বতশৃঙ্গে আরোহণের উদ্দেশ্যে পরিচালিত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১৩টি অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। চেকিগো তথা নেপাল-বাংলাদেশ মৈত্রী শিখর পর্বতশৃঙ্গটি একটি দুর্গম লক্ষ্যমাত্রা। চেকিগো পর্বতশৃঙ্গ বিজয়ের পর ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে হোটেল ইয়াক এন্ড ইয়েতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনবাংলাদেশ পর্যটন মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে চেকিগো পর্বতশৃঙ্গের নাম নেপাল-বাংলাদেশ মৈত্রী শিখর রাখার ঘোষণা দেন। [১]

বিজয় অভিযানের প্রস্তুতি সম্পাদনা

বাংলাদেশ থেকে ছয়জন ও নেপাল থেকে সাতজন পর্বতারোহী নিয়ে নেপাল-বাংলাদেশ মৈত্রী শিখরে আরোহণের অভিযাত্রী দল গঠন করা হয়। বাংলাদেশ পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন এম. এ. মুহিত এবং নেপালি পক্ষের নেতৃত্বে ছিল পেম্বা দর্জি শেরপা। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে হিমালয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ পর্বতাভিযান উপলক্ষে পতাকা-প্রদান অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।[১] ২০১০-এর ৪ঠা অক্টোবর অভিযাত্রী দল কাঠমুণ্ডু ছেড়ে বাসে চড়ে যাত্র শুরু করে চেকিগোর উদ্দেশ্যে। [২]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা