নৃসিংহপ্রসাদ সরকার

নৃসিংহপ্রসাদ সরকার, ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।[১]

অগ্নিযুগের বিপ্লবী

নৃসিংহপ্রসাদ সরকার
জন্ম
নদীয়া জেলার বল্লাদিঘি গ্রামে
জাতীয়তাভারতীয়
পরিচিতির কারণবাঙালি বিপ্লবী
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
পিতা-মাতা
  • অশ্বিনীকুমার সরকার (পিতা)

জন্ম ও শিক্ষা সম্পাদনা

অশ্বিনীকুমার সরকারের পুত্র নৃসিংহপ্রসাদের জন্ম অবিভক্ত নদীয়া জেলার বল্লাদিঘি গ্রামে। তবে বেশিরভাগ সময় থাকতেন কৃষ্ণনগরে। তিনি দেবনাথ স্কুল এবং কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল এবং তারপরে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯২৮ সালে বিএসসি ডিগ্রি অর্জনের জন্য পড়াশোনা করেন।[২]

স্বাধীনতা সংগ্রামে সম্পৃক্ততা সম্পাদনা

স্কুল ছাত্র থাকাকালীন তিনি শহীদ অনন্তহরি মিত্র দ্বারা জাতীয়তাবাদী আদর্শে দীক্ষিত হন; আর তাঁর মাধ্যমেই সুভাষচন্দ্র বসুবিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায় সঙ্গে পরিচয় হয়। ১৯২৩ সালে কৃষ্ণনগর অ্যাথলেটিক ক্লাবের নেতৃত্বে আড়ংঘাটা গ্রামে একটি সমাজকল্যাণমূলক কাজে অংশ নেন। পরের বছর তারাদাস মুখোপাধ্যায় ও প্রমোদরঞ্জন সেনগুপ্তের সঙ্গে নিয়ে রাতের অন্ধকারে এক্সহস্টের ছিদ্র দিয়ে ঢুকে কলেজের ল্যাবরেটরি থেকে পটাশিয়াম, ক্লোরেট ও অন্যান্য অ্যাসিড পাচার করেন। এসব রাসায়নিক দিয়ে তৈরি করা বোমা নিক্ষেপ করা হয় পুলিশ সুপার, গোয়েন্দা পরিদর্শক রবি রায়ের বাসভবন ও শহরের থানা এলাকায়। গ্রেফতারের আগে শহিদ অনন্তহরি মিত্রের কাছ থেকে পাওয়া রিভলভার দিয়ে যুবককে প্রশিক্ষণ দেন তিনি।[৩]


নদীয়ার বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে নিজেকে পুরোপুরি নিয়োজিত করার জন্য তিনি সোনপুরের চাকরি ছেড়ে দেন। বাবা সরকারি চাকরিজীবী হওয়ায় কৃষ্ণনগরের কংগ্রেস নেতা নির্মললিনী ঘোষের বাড়িতে থাকতেন বলে বাড়ি ছাড়তে হয় তাঁকে।

গ্রেফতার সম্পাদনা

১৯৩০ সালে বঙ্গীয় ফৌজদারি আইন সংশোধনী আইনের অধীনে তিনি গ্রেপ্তার হন, যা সরকারকে যে কাউকে বিনা বিচারে কারারুদ্ধ করার ক্ষমতা দেয়। সাত বছর বাংলার বিভিন্ন কারাগারে রাখার পাশাপাশি কারাগারে নিয়ম ভাঙার দায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করেন তিনি।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. নারায়ন সান্যাল (১৯৭৯)। আমি রাসবিহারীকে দেখেছি। কলকাতা: করুনা প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ১৭০। 
  2. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৫৩৯। আইএসবিএন 81-85626-65-0 
  3. নদীয়া জেলা নাগরিক পরিষদ, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস রচনা সমিতি (১৯৭৩)। স্বাধীনতা সংগ্রামে নদীয়া। কৃষ্ণনগর: নদীয়া জেলা নাগরিক পরিষদ। পৃষ্ঠা ২৫৪। 
  4. https://amritmahotsav.nic.in/district-reopsitory-detail.htm?4500