অনন্তহরি মিত্র
অনন্তহরি মিত্র (১৯০৬ - ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯২৬) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী। ১৯২১ সনে অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন। বিপ্লবী দলে যোগ দিয়ে কৃষ্ণনগরে বিপ্লবী ক্রিয়াকলাপ সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকা নেন। মামলার সূত্রে দক্ষিণেশ্বরের একটি বাড়ি তল্লাশি চালাবার সময় রিভলভার, বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ ১৯২৫ সালের ১০ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন। বিচারে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়।[১] ২৮শে সেপ্টেম্বর ১৯২৬ সালে এই মহান বিপ্লবীর ফাঁসি হয়।[২]
অনন্তহরি মিত্র | |
---|---|
জন্ম | ১৯০৬ |
মৃত্যু | ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯২৬ |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
জন্ম
সম্পাদনাঅনন্তহরি মিত্রের জন্ম ব্রিটিশ নদিয়া জেলার, বর্তমানের বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলার বেগমপুরে। তার পিতার নাম রামপাল মিত্র।[১]
ভূপেন চট্টোপাধ্যায় হত্যা
সম্পাদনাঅনন্তহরি মিত্রকে বিপ্লবী দলের নেতাগণ গোপন পুলিস বিভাগের ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট ভূপেন চট্টোপাধ্যায়কে হত্যা করার নির্দেশ দেন। ভূপেন চট্টোপাধ্যায় মাঝে মাঝে আলীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে রাজবন্দীদের সাথে আলাপ আলোচনা করতেন। তার উদ্দেশ্য ছিলো রাজবন্দিদের দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে বিপ্লবী দলের গোপন সংবাদ সংগ্রহ করা। ১৯২৬ সনের ২৮ মে দক্ষিণেশ্বর বোমার মামলায় দন্দিত অনন্তহরি মিত্র ও প্রমোদরঞ্জন চৌধুরী লোহার ডাণ্ডা দ্বারা ভূপেন চট্টোপাধ্যায়কে জেলের মধ্যে আক্রমণ করে হত্যা করেন। বিচারে অনন্তহরি মিত্র ও প্রমোদ চৌধুরীর ফাঁসি হয়। তাদের সাহায্য করার জন্য ধ্রুবেশ চট্টোপাধ্যায়, অনন্ত চক্রবর্তী, নিখিলবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাধিকার যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর হয়।[১][৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ১৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ রায়, প্রকাশ (২০২১)। বিস্মৃত বিপ্লবী। চেন্নাই: নোশনপ্ৰেস, চেন্নাই, তামিলনাড়ু।
- ↑ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গণ, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৮২।