নুহানি রাজবংশ ছিল ভারতের বিহারের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজবংশ। এটি সিকান্দার লোদির রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। সিকান্দার লোদি ক্ষমতা লাভের সাথে সাথে জৌনপুরের গভর্নর বিহারে পালিয়ে যান। তিরহুত ও সরনের জমিদাররা কেন্দ্রীয় শাসনের বিরোধিতা করেছিল। এই সবই লোদিকে বিহার আক্রমণ করতে পরিচালিত করেছিল। সিকান্দার লোদি শাহ শার্গীকে পরাজিত করেন এবং দারিয়া খান নুহানিকে বিহারের প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করেন,[১] যিনি ১৫২৩ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিহারের প্রশাসক ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর তার পুত্র বাহার খান নুহানি প্রশাসক হন। ১৫২৩ সালে বাহার খান নুহানি সিংহাসনে বসেন। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সুলতান মোহাম্মদ উপাধি গ্রহণ করেন। ইব্রাহিম লোদি পরে তার উপর আক্রমণ করেন। প্রাথমিকভাবে দিল্লি সেনাবাহিনী জিতেছিল কিন্তু পরে তারা পরাজিত হয়।

১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে বাবর ও সুলতান মুহাম্মাদের মধ্যে ঘাঘরের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিহারকে সংযুক্ত করার জন্য মুঘলদের লড়াই শুরু হয়। ১৫৩২ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট হুমায়ুন দোহা সারাতে আফগানদের পরাজিত করলে নুহানি রাজবংশের অবসান ঘটে। তিনি আল ১৫৩১ সালে চুনার দুর্গ আক্রমণ করেন।[২] পাকিস্তান সৃষ্টির পর কিছু নুহানি পরিবারও পাকিস্তানে চলে যায় এবং সিন্ধু প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করে আর কিছু ইরানে চলে যায়। ব্রিটিশ পর্যটক জন মার্শাল এবং বার্নিয়ার পাটনা, ভাগলপুর, মুঙ্গের, হাজিপুর পরিদর্শন করার সময়ে তাদের সমৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Exceptional Bihar: General Knowledge for PSC, SSC & Other Competitive Exams। Disha Publications। ২০২০। আইএসবিএন 9789389645316 
  2. Publication, Mocktime। "Noohani Dynasty" 
  3. "Medieval History of Bihar"Jagranjosh.com। ১৪ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০২২