নুরুল হক (ক্যাপ্টেন)
ক্যাপ্টেন নুরুল হক (১২ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ২৫ জানুয়ারি ২০২১) বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম স্থায়ী প্রধান ছিলেন। তিনি পাকিস্তান নৌবাহিনীতে কমান্ডার পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
নুরুল হক | |
---|---|
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান | |
কাজের মেয়াদ ৭ এপ্রিল ১৯৭২ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৩ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ মুজিবুর রহমান |
উত্তরসূরী | এম এইচ খান |
বাংলাদেশের নৌ-পরিবহন মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৪ জুলাই ১৯৭৮ – ২৭ নভেম্বর ১৯৮১ | |
রাষ্ট্রপতি | জিয়াউর রহমান |
উত্তরসূরী | এম. মজিদুল হক |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ঢাকা, পূর্ববঙ্গ | ১২ জানুয়ারি ১৯৩৬
মৃত্যু | ২৫ জানুয়ারি ২০২১ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স ৮৫)
সমাধিস্থল | বনানী সামরিক কবরস্থান, ঢাকা |
সামরিক পরিষেবা | |
শাখা | পাকিস্তান নৌবাহিনী (১৯৫২–৭০) বাংলাদেশ নৌবাহিনী (১৯৭১–৭৩) |
কাজের মেয়াদ | ১৯৫২ থেকে ১৯৭৩ |
পদ | ক্যাপ্টেন |
কমান্ড | নৌবাহিনী প্রধান অপারেশনস পরিচালক - বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনানুরুল হক ১৯৩৬ সালের ১২ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালের ১ মে তিনি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েটায় প্রি-ক্যাডেট ট্রেনিং স্কুলে ক্যাডেট হিসেবে ভর্তি হন। তারপর একই বছরের অক্টোবরে তিনি পাকিস্তান নেভি ক্যাডেট ট্রেনিং স্কুলে যোগদান করেন। পরবর্তীতে, ১৯৫৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের ডার্টমাথে অবস্থিত ব্রিটানিয়া রয়েল নেভাল কলেজে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ঈগল ও ট্রাম্প নামক দুটি জাহাজে তার সামরিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়। ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি তিনি যুক্তরাজ্য থেকে কমিশন পান। পরবর্তীকালে, যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ১৯৫৮ সালে বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স এবং ১৯৬১ সালে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং স্পেশালাইজেশন কোর্স সম্পন্ন করেন তিনি।[১][২]
কর্মজীবন
সম্পাদনাপ্রশিক্ষণ শেষে নুরুল হক দেশে ফিরে আসেন এবং তৎকালীন পাকিস্তান নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার অফিসার, নৌ-ঘাঁটির ইঞ্জিনিয়ার অফিসার, ডেস্ট্রয়ার জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার অফিসার, ট্রেইনিং স্কুলের স্টাফ অফিসার ইত্যাদি পদে কাজ করেন।[৩]
দেশ স্বাধীনের পর ৭ এপ্রিল ১৯৭২ সাল থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত নৌবাহিনী প্রধান ছিলেন।[৪][৫][৬]
১৯৭৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশের নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। ১৯৭৮ সালের ৪ জুলাই তিনি নৌ-পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৮১ সালের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।[৭]
মৃত্যু
সম্পাদনা২৬ জানুয়ারি ২০২১ সালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[৩] জোহরের নামাজের পর নৌ সদর দফতর মসজিদে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এবং এরপর তাকে বনানীর সামরিক কবরস্থান সমাহিত করা হয়।[৮]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "দেশের প্রথম নৌপ্রধান ক্যাপ্টেন নুরুল হক আর নেই"। এনটিভি। ২০২১-০১-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৬।
- ↑ "Bangladesh's first chief of naval staff Nurul Huq dies"। প্রথম আলো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৬।
- ↑ ক খ "নৌবাহিনীর প্রথম প্রধান ক্যাপ্টেন নুরুল হক আর নেই"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৬।
- ↑ "Bangladesh Navy"। www.navy.mil.bd। ২০১৬-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-০৯।
- ↑ News Review on South Asia and Indian Ocean (ইংরেজি ভাষায়)। Institute for Defence Studies & Analyses.। ১৯৮২-০৭-০১।
- ↑ Suhrawardi, Ghulam M. (২০১৫-১২-০২)। Bangladesh Maritime History (ইংরেজি ভাষায়)। FriesenPress। আইএসবিএন 9781460272794।
- ↑ "বর্তমান ও প্রাক্তন মন্ত্রীবর্গ"। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "দেশের প্রথম নৌ-প্রধান ক্যাপ্টেন নুরুল হক আর নেই"। বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর
- বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে
সামরিক দপ্তর | ||
---|---|---|
নতুন পদবী | বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান ১৯৭২–১৯৭৩ |
উত্তরসূরী রিয়ার অ্যাডমিরাল এম এইচ খান |