নীলমণিলতা
নীলমণিলতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Petrea volubilis) হচ্ছে ভার্বেনেসি (Verbenaceae) পরিবারের পেট্রিয়া (Petrea) গণের একটি লতানো গুল্ম।
নীলমণিলতা | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | উদ্ভিদ (প্লান্টি) |
গোষ্ঠী: | সংবাহী উদ্ভিদ ট্র্যাকিওফাইট |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
ক্লেড: | ইউডিকটস |
গোষ্ঠী: | অ্যাস্টেরিডস (Asterids) |
বর্গ: | Lamiales |
পরিবার: | ভার্বেনেসি (Verbenaceae) |
গণ: | পেট্রিয়া (Petrea) এল. |
প্রজাতি: | P. volubilis |
দ্বিপদী নাম | |
Petrea volubilis এল. |
বর্ণনা সম্পাদনা
নীলমণিলতা আরোহী গুল্ম। উচ্চতায় প্রায় ৬ মিটার পর্যন্ত হয়। ফুল নীল বা ফিকে বেগুনি রঙের।[১] অনেকগুলো ফুল একসাথে থোকা আকারে ফোটে। ফুলের বৃতি ৬ মিমি পর্যন্ত লম্বা। এর বংশ বিস্তার হয় শাখা কলম, গুটি কলমের মাধ্যমে।[২]
নামকরণ সম্পাদনা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্ধু পিয়ার্সন বিশ্বভারতীর উত্তরায়ণের বাড়িতে এই লতাটি রোপন করেছিলেন। একসময় নীল ফুলে ভরে উঠেছিল গাছটি। রবীন্দ্রনাথ উষ্ণমণ্ডলীয় আমেরিকার এই ফুলের নাম দিয়েছিলেন নীলমণিলতা।[৩]
বিস্তৃতি সম্পাদনা
উষ্ণমন্ডলীয় আমেরিকার স্বদেশী লতা। ঔষধি লতা হিসাবে স্থানীয়রা চাষ ও ব্যবহার করে।[৪] বাংলাদেশে চাষ করা হয় বাগানে আলংকারিক লতা হিসাবে।
বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ সম্পাদনা
নীলমণিলতা প্রজাতিটি শীঘ্র কোনো সংকটের পরার সম্ভবনা নেই বলে এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত।[২]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "Petrea volubilis - Purple Wreath"। www.flowersofindia.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১২।
- ↑ ক খ খাতুন, বি এম রিজিয়া (অক্টোবর ২০০৯)। "বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১০ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৪৭৬–৪৭৭। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)। - ↑ "রবীন্দ্রনাথের নাম রাখা ফুলগুলো"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৬।
- ↑ "Tropicos | Name - !Petrea volubilis L."। www.tropicos.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১২।