নীতিশ কুমার

ভারতীয় রাজনীতিবিদ

নীতিশ কুমার (জন্ম ১ মার্চ ১৯৫১, বখতিয়ারপুর, বিহার) ২০০৫ থেকে এখন পর্যন্ত তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল আছেন। তিনি জনতা দল (সংযুক্ত ) দলের একজন বরিষ্ঠ নেতা ও বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী

নীতিশ কুমার
২২তম বিহারের মুখ্যমন্ত্রী
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
ডেপুটিতেজস্বী যাদব
পূর্বসূরীজিতনরাম মাঞ্ঝি
কাজের মেয়াদ
২৪ নভেম্বর ২০০৫ – ১৭ মে ২০১৪
ডেপুটিসুশীল মোদি
পূর্বসূরীরাষ্ট্রপতি শাসন
উত্তরসূরীজিতনরাম মাঞ্ঝি
কাজের মেয়াদ
৩ মার্চ ২০০০ – ১০ মার্চ ২০০০
পূর্বসূরীরাবড়ি দেবী
উত্তরসূরীরাবড়ি দেবী
ভারতের রেলমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২০ মার্চ ২০০১ – ২১ মে ২০০৪
পূর্বসূরীমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তরসূরীলালুপ্রসাদ যাদব
কাজের মেয়াদ
১৯ মার্চ ১৯৯৮ – ৫ অগাস্ট ১৯৯৯
পূর্বসূরীরামবিলাশ পাশওয়ান
উত্তরসূরীরাম নাইক
কৃষি মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৭ মে ২০০০ – ২১ জুলাই ২০০১
কাজের মেয়াদ
২২ নভেম্বর ১৯৯৯ – ৩ মার্চ ২০০০
পরিবহণ মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৩ অক্টোবর ১৯৯৯ – ২২ নভেম্বর ১৯৯৯
কাজের মেয়াদ
১৪ এপ্রিল ১৯৯৮ – ৫ অগাস্ট ১৯৯৯
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1951-03-01) ১ মার্চ ১৯৫১ (বয়স ৭৩)
বখতিয়ারপুর, পাটনা, ভারত
জাতীয়তাভারতীয়
রাজনৈতিক দলজনতা দল (সংযুক্ত)
দাম্পত্য সঙ্গীমঞ্জু কুমারী সিন্হা
সন্তাননিশান্ত কুমার
প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাষ্ট্রীয় প্রকৌশল সংস্থা, পাটনা
জীবিকারাজনীতিজ্ঞ
সমাজ সেবা
কৃষি
প্রকৌশলী
ধর্মহিন্দু
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ অনুযায়ী

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

জনতা দল থেকে রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করে নীতীশ কুমার বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কৃষিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী হিসাবে ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৩৯ সালে জর্জ ফার্নান্দেসের সাথে ইক্যুয়ালিটি পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার পর থেকে তিনি রেলমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, পরিবহনমন্ত্রী ইত্যাদি সহ কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

১৯৯০ সাল থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকা নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী ও জেডিইউ পদে ভারতীয় জনতা পার্টির নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষণার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে জনতা দলের খারাপ পারফরম্যান্সের পরে নৈতিক দায়িত্ব গ্রহণের পরে নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে ফেব্রুয়ারিতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসেন। নভেম্বরে বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমার লালু প্রসাদ যাদবের জাতীয় জনতা দলের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি বড় দলকে ঐক্যবদ্ধ করে বিজেপিকে পরাজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে তিনি জয়ী ও মুখ্যমন্ত্রী হন।

২০১০ সালে নিতিশ কুমার সরকার ভারত বিভাগের পরে বিহারে বসতি স্থাপনকারী বাঙালি হিন্দু শরণার্থীদের ভূমি মালিকানার অধিকার, বর্ণ সনদ এবং কল্যাণমূলক পরিকল্পনা সমস্যাগুলি সমাধান করার এবং রাজ্যে ভাষা হিসাবে বাংলার মর্যাদা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন[১]। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি তিনি পালন করেন নি।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Oct 26, Madhuri Kumar; 2010; Ist, 2:48। "JD(U) Bangla bait for Bengalis in Bihar"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৫