নীড়ত্যাগী প্রাণী
নীড়ত্যাগী প্রাণী (ইংরেজি: Nidifugous) বলতে সেসব প্রাণীকে বোঝায় যাদের নবজাতকেরা ডিম ফোটা বা জন্ম নেওয়ার পরে স্বল্প সময়ের মধ্যেই তাদের নীড় (পাখিদের ক্ষেত্রে) বা জন্মস্থল ছেড়ে চলে যায় ও স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে।
অতীতে নীড়ত্যাগী ও অকালপক্ক প্রাণীদেরকে একই বলে মনে করা হত। এটা ঠিক যে সব নীড়ত্যাগী প্রাণীই অকালপক্ক (অর্থাৎ তারা উন্মুক্ত চোখ ও স্বাধীনভাবে চলাচলের ক্ষমতা নিয়ে জন্ম নেয়)। কিন্ত সব অক্কালপক্ক প্রাণীই নীড়ত্যাগী নয়; এদের কেউ কেউ জন্মস্থল বা নীড়ে থেকে যেতে পারে এবং সেক্ষেত্রে এদেরকে নীড়বাসী প্রাণী হিসেবেই গণ্য করা হয়।[১]
জার্মান জীববিজ্ঞানী লোরেনৎস ওকেন ১৮১৬ সালে প্রথম পাখিদের শ্রেণীকরণ করতে গিয়ে নীড়বাসী (জার্মান: Nesthocker ‘’নেস্ট্হকা’’) ও নীড়ত্যাগী (জার্মান: Nestflüchter ‘’নেস্ট্ফ্ল্যুখ্টা’’) পরিভাষাদ্বয় ব্যবহার করেন।[২]
নীড়ত্যাগী প্রাণীদের মস্তিষ্ক সমগ্র জীবদ্দশায় প্রাথমিক আয়তন থেকে দেড় থেকে আড়াই গুণ বৃদ্ধি পায়। তুলনামূলকভাবে নীড়বাসী প্রাণীদের মস্তিষ্ক আয়তনে অনেক বেশি, প্রায় ৮-১০ গুণ বৃদ্ধি পায়। [৩][৪]
পানিকাটা পাখি, হাঁসজাতীয় পাখি ও মুরগীজাতীয় পাখির প্রজাতিরা সাধারণত নীড়ত্যাগী হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Peter P. Calow, সম্পাদক (২০০৯), Blackwell's Concise Encyclopedia of Ecology, John Wiley & Sons
- ↑ Starck, J. (১৯৯৮)। Avian Growth and Development। Oxford Oxfordshire: Oxford University Press। আইএসবিএন 0-19-510608-3।
- ↑ Grene, M. (1974). The understanding of nature: Essays in the philosophy of biology. Dordrecht: Reidel Pub.
- ↑ Sutter, E. (1951). Growth and differentiation of the brain in nidifugous and nidicolous birds. Uppsala: Almqvist & Wiksell.