নিষিদ্ধ বৃক্ষ

কুরআন ও বাইবেলে বর্ণিত স্বর্গীয় বৃক্ষ

নিষিদ্ধ বৃক্ষ হলো জান্নাতে বিদ্যমান একটি বৃক্ষ, যার ফল ভক্ষণ করতে আল্লাহ আদমহাওয়াকে নিষেধ করেছিলেন। আদমহাওয়া আল্লাহর আদেশ অমান্য করে এ নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল খেয়েছিলেন। ফলে তারা জান্নাত থেকে বিতারিত হন। এ বৃক্ষের অপর নাম ‘শাজারাতুল হায়াত شجرة الحياة (الكتاب المقدس) বা জীবন বৃক্ষ’ ও ‘শাজারাতুল খুলদ (شجرة الخلد) বা চিরস্থায়ী বৃক্ষ’।

নিষিদ্ধ বৃক্ষ
ইতালীয় শিল্পীর চিত্রে আদম, হাওয়া ও নিষিদ্ধ বৃক্ষ

বিভিন্ন ধর্মে সম্পাদনা

ইসলাম সম্পাদনা

নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল এ ফল কি ছিল বা কোন বৃক্ষ ছিল, তা নিয়ে বিস্তর মতভেদ পাওয়া যায়। কুরআনে শুধু বলা হয়েছে, এ বৃক্ষের নিকবর্তী হইও না, হলে অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।[১] তাফসীরকারকগণ বলেন,

  • আঙ্গুর ফল, এটা ইবন আব্বাস (রা.) এর মত।
  • গম, হাসান বসরী (র.) এর মত।
  • এমন একটি শস্যফল যা সমুদ্রের ফেনার চেয়ে কোমল ও মধুর চেয়ে মিষ্টি, আবুল আলীয়া (র.) এর মত।
  • খেজুর, সুফিয়ান সাওরী (র.) এর মত।
  • ডুমুর ফল, মুজাহিদ (র.) এর মত।
  • এটা এমন বৃক্ষ যা ভক্ষণে বাযু বের হত। [২]
  • ত্বীন ফল
  • কাফুর ফল[৩]

ইহুদি সম্পাদনা

ইহুদি ধর্মগ্রন্থ তাওরাতের সফরে তাকবিন বা সৃষ্টি অধ্যায়ের ২ ও ৩:৩ শ্লোকে এ বৃক্ষের নাম “ভালো-মন্দের বৃক্ষ” হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে।[৪] প্রথমে হাওয়া এ বৃক্ষের ফল ভক্ষণ করে, তারপর আদম ভক্ষণ করে।[৫][৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সুরা বাকারাহ আয়াত :৩৫।
  2. কাসাসুল আম্বিয়া, ইবন কাছির, দারুল কুতুবিল হাদিস, ১৯৬৪, পৃ. ২০-২১।
  3. তাফসির যা’আদুল মুইয়াসসার, জামালুদ্দীন, মাকতাবাতে শামেলা, খ. ১, পৃ. ৪৭।
  4. Rashi to Genesis 2:25
  5. Bereishit Rabbah 19:7
  6. Ramban to Genesis 3:8