নিম্ফিয়া পিউবেসেন্স

গাছ

নিম্ফিয়া পিউবেসেন্স (ইংরেজি: Nymphaea pubescens; বৈজ্ঞানিক নাম: Nymphaea pubescens) শাপলাজাতীয় পুষ্প বৃক্ষ পরিবারের এক ধরনের প্রজাতিবিশেষ। এ প্রজাতিরও কয়েকটি পৃথক প্রতিশব্দ রয়েছে। তন্মধ্যে সাধারণ নাম হিসেবে রয়েছে Nymphaea rubra। এটি লাল রঙের হয়ে থাকে যা বাণিজ্যিকভাবে লাল শাপলা নামে পরিচিত। এ প্রজাতিরও বেগুনী রঙের গোলাকৃতি পাতা রয়েছে।

নিম্ফিয়া পিউবেসেন্স
ন্যমফাইয়া পিউবসেন্স
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
শ্রেণীবিহীন: Angiosperms
বর্গ: Nymphaeales
পরিবার: Nymphaeaceae
গণ: Nymphaea
প্রজাতি: N. pubescens
দ্বিপদী নাম
Nymphaea pubescens
উইল্ড.
প্রতিশব্দ

Nymphaea rubra Roxb. ex Andrews
Nymphaea edulis (Salisb.) DC.
Nymphaea esculenta Roxb.
Nymphaea lotus L. var. pubescens (Willd.) Hook. f. & Thomson
Nymphaea magnifica (Salisb.) Conard
Nymphaea purpurea Rehnelt & F. Henkel
Nymphaea rosea (Sims) Sweet

অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখার জন্য খুব জনপ্রিয় একটি উদ্ভিদ হিসেবে শাপলার বাণিজ্যধর্মী ব্যবহার রয়েছে। এ প্রজাতির উদ্ভিদের জলের নিচের পাতাগুলো দেখতে খুবই নয়ন মনোহর। তাই অ্যাকোয়ারিস্টগণ প্রায়শঃই এর পাতাগুলো ছেঁটে ফেলেন এবং উদ্ভিদটিকে পরিপূর্ণভাবে উপ-জলজ উদ্ভিদে রূপান্তর করতে সক্ষমতা প্রদর্শন করেন।[১]

বিবরণ সম্পাদনা

প্রাকৃতিক পরিবেশ ও চাষাবাদ - উভয়ভাবেই এ শাপলা উৎপাদিত হয়। অম্লক্ষারবিহীন জলেই এটি ভাল জন্মে। তবে ১৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে এটি জন্মে না। জলজ উদ্ভিদ হিসেবে এটির শিকড় পানিতে কাদার নিচে প্রবেশ করে। শাপলা ফুল সরাসরি কাণ্ডমূলের সাথে যুক্ত থাকে। মূল যুক্ত থাকে মাটির সঙ্গে এবং পাতা পানির উপর ভেসে থাকে। কিছু পাতা পানির নিচে থাকে। মূল থেকেই নতুন পাতার জন্ম নেয়। পাতাগুলো গোল এবং সবুজ রঙের হয় কিন্তু নিচের দিকে কালচে রঙের হয়ে থাকে। ভাসমান পাতাগুলোর চারদিক ধারালো হয়। কাগজের ন্যায় হালকা পাতাগুলোর আকার ১৫ থেকে ২৬ সেন্টিমিটার এবং এদের ব্যাপ্তি প্রায় ০.৯ থেকে ১.৮ মি। ফুলগুলো যখন পূর্ণাঙ্গভাবে বিকশিত হয়, তখন এর ব্যাস প্রায় ১৫ সে.মি হয়। শাপলা ফুল দিনের বেলায় সঙ্কুচিত হয় এবং রাতে পূর্ণাঙ্গভাবে ফুঁটে। ন্যমফাইয়া পিউবসেন্স’র ভিন্নতাজনিত ও সঙ্করায়ণের ফলে এদের রঙ সাদা থেকে গোলাপী, পটলবর্ণ, বেগুনী, ফিকে লাল হয়ে থাকে।

প্রাপ্তিস্থান সম্পাদনা

এ প্রজাতির উদ্ভিদকে বাংলা ভাষায় শাপলা, হিন্দিতে কোকা এবং সংস্কৃত ভাষায় কুমুদা নামে ডাকা হয়ে থাকে।[২] এটি স্বল্প গভীর জলের হ্রদপুকুরে জন্মে। নাতিশীতোষ্ণ ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকা হিসেবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, চীনের ইউনান প্রদেশ, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশে দেখতে পাওয়া যায়।

এছাড়াও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অস্ট্রেলিয়া এবং পাপুয়া নিউগিনিতেও নিম্ফিয়া পিউবেসেন্সের সন্ধান পাওয়া গেছে।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Nymphaea pubescens
  2. Names
  3. "Taxonomy"। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা