নিমচন্দ্র ভৌমিক
নিমচন্দ্র ভৌমিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন নেতা।[১][২] ২০০৯ সালে তিনি নেপালে চুক্তিভিত্তিক রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ পান।[৩][৪][৫] এছাড়া তিনি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য[৬] এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি।[৭]
নিমচন্দ্র ভৌমিক | |
---|---|
অধ্যাপক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা বিভাগ |
রাষ্ট্রদূত | নেপালে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত |
সভাপতি | বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
শিক্ষা | পদার্থবিদ্যা |
পেশা | অধ্যাপক, রাষ্ট্রদূত |
পুরস্কার | মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক (২০১০) |
কর্মজীবন
সম্পাদনা২০০৭ সালে ভৌমিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা বিভাগের চেয়ারপারসন থাকাকালীন, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ছাত্র বিক্ষোভের সময় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।[৮][৯][১০] ২০০৮ সালের মার্চ মাসে আদালত তাকে নির্দোষ বলে মনে করেন।[১১]
২০০৯ সালে ২২ জুলাই, বাংলাদেশ সরকার ভৌমিককে নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করে।[১২] ২০১০ সালে ভৌমিক মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক লাভ করেন।[১৩]
জুলাই ২০১১ সালে, নেপাল বাংলাদেশকে জানায় যে তারা ভৌমিককে প্রত্যাহার করতে চায়। নেপালের অভিযোগে বলা হয়, ভৌমিক বেশ কয়েকটি অনিয়মে জড়িত ছিলেন, যেমন পেশাগত অসদাচরণ, কূটনৈতিক নিয়ম লঙ্ঘন এবং নেপালি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া। তাকে নেপালি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা ও ভারতীয় দূতাবাসের মুখপাত্রকে হয়রানির অভিযোগেও অভিযুক্ত করা হয়। ২০১০ সালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ভৌমিকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তোলা হয় এবং পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশে তার রাষ্ট্রদূত পদের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।[১৪][১৫] প্রতিবেদনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।[১৬] তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে গুরুতর কিছু না পেলে তাকে সম্মানের সাথে ক্ষমা করা হয়।[১৭]
নেতা
সম্পাদনানিমচন্দ্র ভৌমিক ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।[১৮] তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ছিলেন।[১২] তিনি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।[১২] ২০২২ সালের জানুয়ারিতে, ভৌমিক আবার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন।[১৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Minority leader named as Diplomat"। Modern Ghana (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ "Minority bodies announce weeklong demo seeking election deferment"। unb.com.bd (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ "রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে তিন সদস্যের দল নেপালে"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৯।
- ↑ "Be united to keep Bangladesh-India friendship unharmed: Abdur Razzak | News"। BSS। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ "Bangladesh sending investigators to Nepal"। TIMES OF ASSAM (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-১০-৩০। ২০২২-০৮-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। "নিমচন্দ্রের কেলেঙ্কারি: নেপাল যাচ্ছে তদন্ত দল"। নিমচন্দ্রের কেলেঙ্কারি: নেপাল যাচ্ছে তদন্ত দল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৯।
- ↑ "Representative of minorities in EC sought"। New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ Correspondent, Court (২০০৭-০৯-১৯)। "Prof Neem sent to jail on surrender"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ "DU teachers and students observe Black Day"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২০২০-০৮-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। "নিমচন্দ্রের কেলেঙ্কারি: ঢাকা ফিরেছে তদন্ত দল"। নিমচন্দ্রের কেলেঙ্কারি: ঢাকা ফিরেছে তদন্ত দল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৯।
- ↑ Correspondent, Court (২০০৮-০৩-১৯)। "4 DU students appeal against conviction"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ ক খ গ "Neem Bhowmik new envoy to Nepal"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ Staff Correspondent (২০১০-০৭-২২)। "20 receive Mother Teresa Gold Medal"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ "Nepal wants Bangladesh envoy recalled"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ Karim, Rezaul (২০১২-০৬-৩০)। "Major changes in foreign office"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ Correspondent, Diplomatic (২০১১-০৭-১৯)। "Probe body to check allegations"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ "ক্ষমা পাচ্ছেন রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্র ভৌমিক"। banglanews24.com। ২০১১-১১-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৯।
- ↑ Refugees, United Nations High Commissioner for। "Refworld | Bangladesh: Information on the Bangladesh, Hindu, Buddhist and Christian Unity Council (Bangladesh, Hindu, Buddhist Christian Oihya Parishad); on the name of the general secretary; and on whether the organization issues membership letters to individuals who have left the country"। Refworld (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।
- ↑ Pintu, Rafiqul Islam। "Dr NC Bhowmik president, Rana Dasgupta secretary | The Asian Age Online, Bangladesh"। The Asian Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৯।