নাসির জং
মীর আহমেদ আলি খান সিদ্দিকি ছিলেন প্রথম আসাফ জাহর পুত্র। তিনি ১৭১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছেন। ১৭৪৮ সালে তিনি তার পিতার উত্তরসুরি হিসেবে হায়দ্রাবাদ রাজ্যের নিজাম হন। তিনি হুমায়ুন জাহ, নিজামউদ্দৌলা, নওয়াব মীর আহমেদ আলি খান সিদ্দিকি বাহাদুর, নাসির জং, দক্ষিণাত্যের নওয়াব সুবাদার উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি নাসির জং বলে বেশি পরিচিত।
নাসির জং | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৭১২ |
মৃত্যু | ১৬ ডিসেম্বর ১৭৫০ |
ধর্ম | ইসলাম |
মুঘল সম্রাট মুহাম্মদ শাহ তাকে নাসির জং উপাধি দিয়েছিলেন। পরবর্তী মুঘল সম্রাট আহমেদ শাহ বাহাদুর তাকে দক্ষিণাত্যের সুবাদার হিসেবে নিয়োগ দেন এবং নাসিরউদ্দৌলা উপাধি দেন।[১]
ক্ষমতায় উত্থানসম্পাদনা
নাসির জং ১৭৪৮ সাল থেকে ১৭৫০ সাল পর্যন্ত হায়দ্রাবাদ রাজ্য শাসন করেছেন। পিতার মৃত্যুর পর তিনি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন।
দ্বিতীয় কর্ণাটক যুদ্ধসম্পাদনা
নিজামের মৃত্যুর পর নাসির জং ও নিজামের দৌহিত্র মুজাফফর জঙের মধ্যে উত্তরাধিকার নিয়ে লড়াই শুরু হয়। এসময় চান্দা সাহিব বলে পরিচিত হুসাইন দোস্ত খান মুজাফফর জঙের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন এবং আর্কোটের নবাব আনোয়ারউদ্দিন মুহাম্মদ খানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। চান্দা সাহিব নিজে কর্ণাটকের নবাব হতে চাইছিলেন।
ইউরোপীয়রা এসময় দক্ষিণাত্য ও কর্ণাটকের বিষয়াদিতে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে। এর ফলে ইউরোপে দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি বজায় থাকলেও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে দ্বিতীয় কর্ণাটক যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
ফরাসিরা চান্দা সাহিব ও মুজাফফর জঙের পক্ষাবলম্বন করে। শীঘ্রই যুক্তরাজ্য হস্তক্ষেপ করে। ফরাসিদের প্রভাব খর্ব করার জন্য তারা নাসির জং এবং মৃত নবাব আনোয়ারউদ্দিন মুহাম্মদ খানের পুত্র মুহাম্মদ আলি খান ওয়ালাজাহকে সমর্থন দেয়। নবাব আনোয়ারউদ্দিন ১৭৪৯ সালে আম্বুরের যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন।
প্রাথমিকভাবে ফরাসিরা সফল হয়। তারা তাদের প্রতিপক্ষদের পরাজিত ও হত্যা করে নিজ সমর্থকদের ক্ষমতায় বসতে সহায়তা করে। ১৭৫০ সালের ১৬ ডিসেম্বর তাদের প্রতিপক্ষ নাসির জং কাডাপার নবাব হিম্মত খানের হাতে নিহত হন। তাকে খুলাদাবাদে সাইয়িদ বুরহানউদ্দিনের মাজারে দাফন করা হয়। এরপর মুজাফফর জং হায়দ্রাবাদের নিজাম হন।
পরবর্তীতে ১৭৫১ সালে ইংরেজরা রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে আর্কোট দখল করে। ১৭৫৪-৫৫ সালে স্বাক্ষরিত পন্ডিচেরির চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ সমাপ্ত হয়। মুহাম্মদ আলি খান ওয়ালাজাহ কর্ণাটকের নবাব হিসেবে স্বীকৃতি পান। ফরাসি অধিনায়ক জোসেফ ফ্রাঙ্কোস ডুপ্লেইক্সকে ফ্রান্স ফিরে যেতে বলা হয়। ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পরিচালকরা ডুপ্লেইক্সের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। এ কারণে তাদের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ১৭৫৪ সালে গোডেহু তার স্থলাভিষিক্ত হন।
পদসমূহসম্পাদনা
- আওরঙ্গবাদের সুবাদার ১৭৪৫–১৭৪৬
- নিজাম
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
নাসির জং
| ||
পূর্বসূরী কামারউদ্দিন খান, প্রথম আসাফ জাহ |
হায়দ্রাবাদের নিজাম ১ জুন ১৭৪৮–১৬ ডিসেম্বর ১৭৫০ |
উত্তরসূরী মুজাফফর জং |