নাসিম বানু

ভারতীয় অভিনেত্রী

নাসিম বানু (৪ঠা জুলাই ১৯১৬ – ১৮ই জুন ২০০২) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তাঁকে নাসিম বলে ডাকা হত। তিনি "বিউটি কুইন" এবং "ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম মহিলা সুপারস্টার" হিসাবে পরিচিত ছিলেন।[] তিনি ১৯৩০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন। তিনি ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত অভিনয় করে গেছেন। তাঁর প্রথম চলচ্চিত্রটি ছিল সোহরাব মোদীর সাথে খুন কা খুন (হ্যামলেট); যেটি ১৯৩৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এই চলচ্চিত্রটি মিনার্ভা মুভিটোনের ছত্রছায়ায় নির্মিত হয়েছিল, যাদের সাথে তিনি বেশ কয়েক বছর অভিনয় করেছিলেন। তিনি ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মোদীর পুকারএ অভিনয়ের মাধ্যমে অধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন; যেখানে তিনি সম্রাজ্ঞী নূর জাহানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সুরকার নওশাদের মতে তিনি তাঁর চলচ্চিত্রের বিজ্ঞাপনে পরী-চেহরার (পরীর মত মুখ) নাসিমকে পেয়েছিলেন।[] তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়রা বানুর মা এবং খ্যাতিমান অভিনেতা দিলীপ কুমারের শাশুড়ি ছিলেন।[]

নাসিম বানু
জন্ম
রোশন আরা বেগম

(১৯১৬-০৭-০৪)৪ জুলাই ১৯১৬
মৃত্যু১৮ জুন ২০০২(2002-06-18) (বয়স ৮৫)
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৩৫–৫৭
দাম্পত্য সঙ্গীএহসান-উল-হক
সন্তানসায়রা বানু (মেয়ে)
সুলতান আহমেদ (ছেলে)

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

নাসিম বানু ১৯১৬ সালের ৪ঠা জুলাই তারিখে ব্রিটিশ ভারতের পুরান দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পরিবারের প্রায় সকলেই বিনোদন জগতের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাঁর মা শমশাদ বেগম (ছামিয়ান বাই নামেও পরিচিত ছিলেন) সে সময়ের বিখ্যাত এবং সফল গায়িকা ছিলেন।[] বছর খানেক পরে, যখন নাসিম খুব জনপ্রিয় ছিলেন এবং প্রায় ৩৫০০ টাকা বেতন উপার্জন করেছেন, তখন তিনি বলেছিলেন যে তাঁর মা তার বৃদ্ধ বয়সেও তাঁর চেয়ে বেশি উপার্জন করেছিলেন।[] নাসিমের বাবা ছিলেন এক ধনী, জমির মালিক, অভিজাত পরিবারের প্রধান এবং রাজপরিবারের বংশোদ্ভূত। তিনি ছিলেন হাসানপুরের নবাব আবদুল ওয়াহেদ খান।

পূর্বের 'রওশন আরা বেগম' নামে নাসিম দিল্লির কুইন মেরি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন; তাঁর মা শমশাদ বেগম চেয়েছিলেন তিনি একজন ডাক্তার হোন,[] কিন্তু নাসিম চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং যখন থেকে তিনি অভিনেত্রী সুলোচনার (রুবি মেয়ার্স) চলচ্চিত্র দেখেছিলেন, তখন থেকে তাঁকে নিজের আদর্শ মানতেন। কিন্তু তাঁর মা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের বিরুদ্ধে ছিলেন।[] বোম্বে সফরে নাসিম চলচ্চিত্রের শুটিং দেখে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং একটি সেটে সোহরাব মোদী তাঁকে হ্যামলেটের চলচ্চিত্রে ওফেলিয়ার চরিত্রে অভিনয় করতে নির্বাচন করেন। তাঁর মা অনুমতি দেননি। তখন নাসিম, তাঁর মা রাজি না হওয়া পর্যন্ত, অনশন প্রতিবাদে নেমেছিলেন। এই চরিত্রে অভিনয় করার পরে, নাসিম তাঁর পড়াশুনা আর চালিয়ে যেতে সক্ষম হননি; কারণ সেই সময় এই পেশাকে অত্যন্ত নিম্ন চোখে দেখা হত এবং তাঁর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর অভিনয় করা মেনে নিতে পারেননি।।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Pandya, Haresh (৪ সেপ্টেম্বর ২০০২)। "Naseem Banu First female superstar of Indian Cinema"। Guardian News and Media Limited। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  2. Khubchandani, Lata। "They called her Pari Chehra Naseem"rediff.com। Rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  3. Kaur, Devinder Bir (২১ জুন ২০০২)। "Original Beauty Queen of Hindi films"। The Tribune। The Tribune, Chandigarh। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  4. "Naseem Banu"। StreeShakti। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  5. "Naseem Banu Stardust interview from 1971"। Cineplot। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  6. Patel, Sushila Rani Baburao (১৯৫২)। Stars of the Indian Screen। India: Parker &Sons Limited। পৃষ্ঠা 15। 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা