নাসরুল্লাহ খান (আফগানিস্তান)

আফগানিস্তানের আমির

নাসরুল্লাহ খান (১৮৭৪-১৯২০) ছিলেন আফগানিস্তানের আমির। ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি আমিরের পদে ছিলেন। তিনি ছিলেন আমির আবদুর রহমান খানের দ্বিতীয় পুত্র।

নাসরুল্লাহ খান
আফগানিস্তানের আমির
আফগানিস্তানের আমির
রাজত্ব২১ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯ – ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯
পূর্বসূরিহাবিবউল্লাহ খান
উত্তরসূরিআমানউল্লাহ খান
জন্ম১৮৭৪
সমরকন্দ, রুশ তুর্কিস্তান
মৃত্যু১৯২০ (৪৫ বছর)
কাবুল, আফগানিস্তান
পিতাআবদুর রহমান খান

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

নাসরুল্লাহ খান ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে সমরকন্দে জন্মগ্রহণ করেন।[১] হাবিবউল্লাহ খান ও মুহাম্মদ উমর খান ছিলেন তার ভাই।[২] তার পিতা আবদুর রহমান খান রুশ তুর্কিস্তানে নির্বাসিত থাকাকালীন সময়ে তার জন্ম হয়।

আফগানিস্তানে ব্রিটিশ আধিপত্য শেষ হওয়ার পর ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দের ২২ জুলাই নাসরুল্লাহ খানের পিতা আবদুর রহমান খান আফগানিস্তানের আমির হন। ফলে নাসরুল্লাহ খান ও তার ভাই হাবিবউল্লাহ খান আফগানিস্তানের যুবরাজ হন। এই সময় ব্রিটিশদের অনুকূলে বৈদেশিক নীতি গৃহীত হবে এই শর্ত আরোপ করা হয়েছিল।

ইংল্যান্ড সফর সম্পাদনা

১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দে আমির আবদুর রহমান খান ইংল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে স্বাস্থ্যগত কারণে যেতে সক্ষম না হওয়ায় তিনি তার পুত্র নাসরুল্লাহ খানকে ইংল্যান্ড প্রেরণ করেন।[৩] নাসরুল্লাহ খান ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ এপ্রিল বোম্বে থেকে যাত্রা করেন। তার সাথে আরো ৯০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ‌ রওয়ানা হন। এদের মধ্যে পাঁচ বা ছয়জন উচ্চপর্যায়ের আফগান অভিজাত ব্যক্তি এবং ধর্মীয় ব্যক্তি ছিলেন।[৪] ২৩ মে তারা ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথ অবতরণ করেন।[৩]

২৭ মে তিনি উইন্ডসরে রাণীর সাথে সাক্ষাত করেন।[৩] সফরের সময় তিনি লিভারপুল ওভারহেড রেলওয়ে পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া তিনি এস্কট রেসকোর্স, গ্লাসগো এবং আর্মস্ট্রং উইটওয়ার্থ‌ পরিদর্শন করেছেন।[৫] ক্রেগসাইডে তিনি লর্ড আর্মস্ট্রংয়ের সাথে অবস্থান করেছিলেন।[৬] লিভারপুল মুসলিম ইন্সটিটিউটকে সহায়তা করার জন্য তিনি আবদুল্লাহ কুইলিয়ামকে ২,৫০০ পাউন্ট অর্থ প্রদান করেছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

সফরের সময় তার বয়স ছিল ২০ বছর। জানা যায় যে তিনি ভালো ইংরেজি বলতে পারতেন না এবং স্থানীয় পত্রিকায় প্রভাব ফেলতে পারেননি।[৫] কাম্বারল্যান্ড পেকটের একজন সাংবাদিক তাকে "নির্বিকার, অনুভূতিহীন ও অত্যধিক উদাস তরুণ" হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।[৫]

৩ ডিসেম্বর তিনি প্যারিসের উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ড ত্যাগ করেন।[৭] প্যারিস থেকে তিনি রোম ও নেপলস যান। ১৬ অক্টোবর তিনি করাচি ফিরে আসেন। কোয়েটা, চামান ও কান্দাহারের মধ্য দিয়ে তিনি কাবুল ফিরে এসেছিলেন।[৩] ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের দাবি এটি কোনো আফগান কর্তৃক সবচেয়ে দীর্ঘ সফর।[৮]

১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ কমনওয়েলথের প্রতি দায়িত্বের স্বীকৃতিরূপে রাণী ভিক্টোরিয়া নাসরুল্লাহ খান ও তার ভাই হাবিবউল্লাহ খানকে অর্ডার অফ সেইন্ট মাইকেল এন্ড সেইন্ট জর্জ প্রদান করেছেন।[৩]

হাবিবউল্লাহ খানের শাসনামল সম্পাদনা

১৯০১ খ্রিষ্টাব্দের ৩ অক্টোব তার পিতা আবদুর রহমান মারা যান। এরপর তার ভাই হাবিবউল্লাহ খান শান্তিপূর্ণভাবে সিংহাসনে বসেন।[৩]

আবদুর রহমান খান কঠোর আইনকানুনের মাধ্যমে যেকোনো প্রকার বিরোধী শক্তির উত্থান বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তার কর্মকাণ্ডের ফলে ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ প্রভাবিত হয়েছিল। তার মৃতুর পর ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ ক্ষমতা ফিরে পেতে সচেষ্ট হয়। তারা নাসরুল্লাহ খানকে এক্ষেত্রে নিজেদের মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে। নাসরুল্লাহ খান ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন। এছাড়া তিনি একজন হাফিজ ছিলেন।[৯] প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তিনি ইসলামি নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আফগান নীতির পক্ষে ছিলেন।[৯]

নাসরুল্লাহ খান ক্ষমতার প্রতিযোগী হতে পারেন বিবেচনা করে হাবিবউল্লাহ খান তার সমর্থন লাভে সচেষ্ট হন। শাসনভার লাভ করার পর তিনি নাসরুল্লাহ খানকে সেনাপ্রধান ঘোষণা করেন এবং প্রেসিডেন্ট অফ দ্য স্টেট কাউন্সিল উপাধি প্রদান করেন।[৯] পরে হাবিবউল্লাহর পুত্রদের উপস্থিতিতে নাসরুল্লাহকে উত্তরাধিকারী ঘোষণা করা হয়।[৯] অন্যদিকে হাবিবউল্লাহর জন্য হুমকি বলে বিবেচিত হওয়া শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নাসরুল্লাহর ছোট ভাই মুহাম্মদ উমর জার ও উমরের মা রাণী দুওয়াগার বিবি হালিমা উভয়কে তাদের ব্যক্তিগত আবাসস্থলে অন্তরীণ করে রাখা হয়।[২]

ব্রিটিশ বিরোধী নীতি সম্পাদনা

ইংল্যান্ডে সফর সত্ত্বেও নাসরুল্লাহ আফগানিস্তানের প্রতি ব্রিটিশ বৈদেশিক নীতির সমর্থক ছিলেন না।

১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে আবদুর রহমান খান ক্ষমতালাভ করার পর গান্দামাকের সন্ধির শর্তসমুহ পদাধিকার বলে লাভ করেছিলেন। এই সন্ধি আফগানিস্তানকে একটি ব্রিটিশ আশ্রিত রাজ্যে পরিণত করেছিল। এই সন্ধির ফলে আফগান বৈদেশিক সম্পর্কের উপর ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ স্থাপিত হয় এবং কাবুলে ইউরোপীয় সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি ব্রিটিশ মিশন রাখার অনুমতি দেয়া হয়।[১০]

এই সন্ধিতে ডুরান্ড লাইনের অপর পাশে ব্রিটিশ অঞ্চলে থাকা স্বাধীন আফগান গোষ্ঠীগুলোর সাথে আফগানিস্তানের সম্পর্ক হ্রাসের কথা বলা হয়। পূর্বে এসকল গোষ্ঠী আফগানিস্তানের জন্য সামরিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করেছে। হাবিবউল্লাহ আমির হওয়ার পর গান্দামাকের সন্ধি বাস্তবায়নের জন্য ব্রিটিশরা চাপ প্রয়োগ করে। তিনি ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে তা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেও ডুরান্ড লাইনের ব্রিটিশ পার্শ্বের উপর আফগান প্রভাব কমানো বা এই অঞ্চলের আফগান উপজাতিগুলোর সাথে সম্পর্ক হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দেননি।[১০]

এই উপজাতীয় অঞ্চলগুলো ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক সামরিক বাধা হিসেবে কাজ করত। উত্তর দিক থেকে রুশ আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য ব্রিটিশরা বিভিন্ন সময় এই অঞ্চলে আক্রমণের হুমকি দিয়েছিল। নাসরুল্লাহ খান ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের অবস্থান সবল করার উদ্দেশ্যে এসকল উপজাতিগুলোর উপর আফগানিস্তানের প্রভাব ব্যবহারের জন্য হাবিবউল্লাহ খানকে চাপ দেন। নাসরুল্লাহ খানের চাপে হাবিবউল্লাহ খান গান্দমাকের সন্ধি সত্ত্বেও ডুরান্ড লাইনের অপর পাশের আফগান উপজাতিদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখেন।[১০]

একই সময়ে ১৯০৪-০৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে স্যার লুইস ড্যান (পরবর্তীতে পাঞ্জাবের গভর্নর) সন্ধির শর্তানুযায়ী কাবুলে একটি ব্রিটিশ মিশন স্থাপনের উদ্যোগ নেন। নাসরুল্লাহ এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছিলেন, তবে তিনি ব্যর্থ হন।[২]

১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সাংবাদিক মাহমুদ তারজি ও হাবিবউল্লাহ খানের পুত্র আমানউল্লাহ খান কর্তৃক চালিত তরুণ আফগান রাজনৈতিক আন্দোলন ব্রিটিশদের প্রতিপক্ষ জার্মান-তুর্কি পক্ষের অংশ হিসেবে যুদ্ধে আফগানিস্তানের যোগ দেয়ার দাবি জানায়। নাসরুল্লাহ খান এতে তাদের সমর্থন দেন। নাসরুল্লাহ খানের সমর্থক ধর্মীয় পক্ষসমূহও তে সমর্থন দিয়েছিল। তারা মুসলিম অঞ্চলে অমুসলিমদের আগ্রাসনের কারণে উসমানীয়দের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। তবে আমির হাবিবউল্লাহ খান আফগানিস্তানকে দুর্বল বিবেচনা করে যুদ্ধে অংশ নিতে রাজি হননি এবং তিনি আফগানিস্তানকে নিরপেক্ষ ঘোষণা করেন। ফলে নাসরুল্লাহ ও তরুণ আফগানরা মনঃক্ষুণ্ণ হয়।

এ সত্ত্বেও নাসরুল্লাহ খান তার রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে জার্মান-তুর্কি পক্ষকে সহায়তা করেছেন। ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে তুর্কি-জার্মান প্রতিনিধিদল আফগানিস্তানে আসে। তাদের গ্রেপ্তার করা হবে এই মর্মে ভারতের ভাইসরয়কে প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তাদের স্বাগত জানানো হয়। নাসরুল্লাহ খান তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। তিনি মাহমুদ তারজির সাথে প্রতিনিধিদলের পরিচয় করান। এসময় মাহমুদ তারজির পত্রিকার ব্রিটিশ বিরোধী অবস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছিল। হাবিবউল্লাহ খান মিত্রতা স্থাপনে রাজি না হওয়া সত্ত্বেও নাসরুল্লাহ খান প্রতিনিধিদলকে কাবুলে অবস্থানের অনুরোধ জানান।[১১] শেষে ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে নাসরুল্লাহ খান হাবিবউল্লাহ খানের ক্ষমতাত্যাগ এবং ব্রিটিশ ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্তবর্তী উপজাতিগুলোর নেতৃত্ব গ্রহণের প্রস্তাব করেন। কিন্তু প্রতিনিধিদল এই পদক্ষেপকে ফলপ্রসূ হিসেবে বিবেচনা করেনি।[১২]

১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে তুর্কি-জার্মান প্রতিনিধিদল চলে যায়। তবে তারা হাবিবউল্লাহ খানকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে আফগানিস্তান স্বাধীন রাষ্ট্র এবং তাই তাদের ব্রিটিশ প্রভাবাধীন থাকা উচিত না। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর হাবিবউল্লাহ খান যুদ্ধের সময় আফগানিস্তানের ভূমিকার কারণে ব্রিটিশদের কাছ সুবিধা প্রদানের আবেদন জানান। এতে আফগানিস্তানকে স্বাধীন হিসেবে মেনে নেয়া এবং প্যারিস শান্তি সম্মেলনে আফগানিস্তানের জন্য আসন রাখার দাবি জানানো হয়। তবে ব্রিটিশরা উভয় অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। হাবিবউল্লাহ খান আরো আলোচনা চালাতে ইচ্ছুক ছিলেন। তবে একাজে অগ্রসর হওয়ার পূর্বে তিনি নিহত হন।

উত্তরাধিকার ও মৃত্যু সম্পাদনা

১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে হাবিবউল্লাহ খান লাগমান প্রদেশে একটি শিকার অভিযানে বের হন। এসময় তার সাথে নাসরুল্লাহ খান, ইনায়েতউল্লাহ খান ও সেনাপ্রধান মুহাম্মদ নাদির খান ছিলেন। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে হাবিবউল্লাহ খান তার তাবুতে নিহত হন। এরপর নাসরুল্লাহ খান তার উত্তরসুরি হন। প্রথমে নাসরুল্লাহ খান শাসনভার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে ইনায়েতউল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। তবে হাবিবউল্লাহ নিজে নাসরুল্লাহকে উত্তরাধিকারী ঘোষণা করায় ইনায়েতউল্লাহ ক্ষমতা গ্রহণে রাজি হননি। স্থানীয় উপজাতীয় ব্যক্তিদের সকলে ধার্মিক নাসরুল্লাহ খানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে।[১৩]

এরপর শিকারের দলটি ২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণপূর্বে জালালাবাদ পৌছায়। এখানে নাসরুল্লাহ খানকে আমির ঘোষণা করা হয়। হাবিবউল্লাহর প্রথম সন্তান ইনায়েতউল্লাহ খান তাকে সমর্থন দেন।[১৪]

হাবিবউল্লাহর তৃতীয় পুত্র আমানউল্লাহ খান এসময় কাবুলে তার প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন। এই সংবাদ পাওয়ার পর আমানউল্লাহ খান কাবুলের কোষাগারের নিয়ন্ত্রণ নেন এবং তার চাচা নাসরুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটান।[১৫] তিনি কাবুল ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে নাসরুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। নাসরুল্লাহ তার ক্ষমতার জন্য রক্তপাত ঘটাতে ইচ্ছুক ছিলেন না। তিনি আমানউল্লাহ খানকে জানান যে তিনি চাইলে ক্ষমতা নিতে পারবেন এবং নিজে আরবে নির্বাসনে চলে যাবেন। আমানউল্লাহ প্রথমে নাসরুল্লাহর ক্ষতি না করার প্রতিশ্রুতি দিলেও নাসরুল্লাহর সমর্থকরা তার বিরুদ্ধে যেতে পারে এই আশঙ্কায় পরবর্তীকালে নাসরুল্লাহ খান ও তার সমর্থকদের বন্দী করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি আমানউল্লাহ খান নিজেকে আমির ঘোষণা করেন।[১৪] ৩ মার্চ নাসরুল্লাহ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।[১১]

১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ এপ্রিল কাবুলে আমানউল্লাহ খানের দরবার অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাবিবউল্লাহর মৃত্যু নিয়ে আলোচনা হয়। আফগানিস্তান সামরিক বাহিনীর একজন কর্নেলকে এর জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়াও জাল প্রমাণের ভিত্তিতে নাসরুল্লাহ খানকে হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পর্কিত করা হয়। অধিকাংশ আফগানের বিশ্বাস যে আমানউল্লাহ খান ক্ষমতাগ্রহণের জন্য নিজে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন।[১৪] নাসরুল্লাহ খানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছিল।[১৬] এর প্রায় একবছর পর কারাগারে তাকে হত্যা করা হয়।[১১]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Abdur Rahman Khan"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। 
  2. Hamilton, Angus (১৯১০)। Afghanistan। Oriental Series। 18। Boston: J. B. Millet Company। 
  3. Tate, George Passman (১৯১১)। The Kingdom of Afghanistan: a historical sketch। "Times of India" offices। 
  4. "Afghanistan Ameer's Prince" (PDF)New York Times। New York: The New York Times Company। মে ২৪, ১৮৯৫। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১০ 
  5. How Michael (জুলাই ২, ২০০৯)। "When a Silloth weapons range welcomed Afghanistan royalty"Times & Star। Workington: Cumbrian Newspapers। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১০ 
  6. The Times, June 17, 1895
  7. "At last the Shahzada goes away" (PDF)New York Times। New York: The New York Times Company। সেপ্টেম্বর ৪, ১৮৯৫। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১০ 
  8. National Geographic Magazine 1921, Volume 39, p 97
  9. Saikal, Amin (২০০৪)। Modern Afghanistan: a history of struggle and survival। I. B. Tauris। আইএসবিএন 1-85043-437-9। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১০ 
  10. Haroon, Sana (২০০৭)। Frontier of faith: Islam in the Indo-Afghan borderland। New York: Columbia University Press। আইএসবিএন 0-2317-0013-X। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১০ 
  11. Clements, Frank (২০০৩)। Conflict in Afghanistan: a historical encyclopedia। ABC-CLIO। আইএসবিএন 1-85109-402-4। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১০ 
  12. Hughes, Thomas L (2002), The German Mission to Afghanistan, 1915–1916.German Studies Review, Vol. 25, No. 3. (Oct., 2002), pp. 447–476., German Studies Association, আইএসএসএন 0149-7952
  13. Molesworth, George Noble (১৯৬২)। Afghanistan 1919 : an account of operations in the Third Afghan War। Asia Pub. House। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১০ 
  14. "Afghanistan 1919–1928: Sources in the India Office Records"। ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  15. The Butcher of Amritsar – General Reginal Dyer Nigel Collett, 2006
  16. The State, Religion and Ethnic Politics: Afghanistan, Iran and Pakistan Ali Banuazizi, 1988

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

রাজত্বকাল শিরোনাম
পূর্বসূরী
হাবিবউল্লাহ খান
আফগানিস্তানের আমির
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯ – ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯
উত্তরসূরী
আমানউল্লাহ খান