নাফসিয়া মবি

ইন্দোনেশীয় চিকিৎসক

এন্ডি নাফসিয়া ওয়ালিনোনো মবি (জন্ম ১৪ জুলাই ১৯৪০) হচ্ছেন একজন ইন্দোনেশিয়ার রাজনীতিবিদ এবং চিকিৎসক। তিনি ১৪ জুন ২০১২ থেকে ২০ অক্টোবর ২০১৪ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার প্রজাতন্ত্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডাঃ মবি বর্তমানে এশিয়া প্যাসিফিক লিডার ম্যালেরিয়া অ্যালায়েন্স-এর (এপিএলএমএ) নেতাদের দূত হিসাবে কাজ করছেন।

নাফসিয়া মবি
২০১৪-এ মবি
১৯তম ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৪ জুন ২০১২ – ২০ অকরটোবর ২০১৪
রাষ্ট্রপতিসুসিলো বামবাং ইয়ুধনো
পূর্বসূরীএন্ডং রাহায়ু সিদ্দীনিংহিস
উত্তরসূরীনিলা মোয়েলেক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1940-07-14) ১৪ জুলাই ১৯৪০ (বয়স ৮৩)
সেনকাং, দক্ষিণ সুলভেসি, ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ
জাতীয়তাইন্দোনেশিয়ান
দাম্পত্য সঙ্গীআলয়েসিয়াস বেনেডিক্টাস মবি
সন্তানমারিয়া ইউসেফিনা ত্রিদিয়া মবি
গেরারডুস মাঝেলা মবি
হহেনরি ডুনান্ট মবা
পিতামাতাএন্ডি ওয়ালিনোনো
রাহমাতিয়া সন্ধা ডায়েন বাদজি
প্রাক্তন শিক্ষার্থীইন্দোনেশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্টওয়ার্প ইনস্টিটিউট
ধর্মরোমান ক্যাথলিক

কর্মজীবন সম্পাদনা

নাফসিয়া মবি হচ্ছেন একজন শিশু বিশেষজ্ঞ যিনি ১৯৯০ সালে বেলজিয়ামের ট্রপিক্যাল মেডিসিন এন্টওয়ার্প ইনস্টিটিউটের জনস্বাস্থ্যের উপর মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। এবং ১৯৯০-১৯৯১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যামব্রিজের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যের টাকেমি প্রোগ্রামের গবেষক হয়ে ওঠেন। ১৯৭৮ সালে স্বাস্থ্য খাতে মবি জড়িত হন, তিনি এবং তার স্বামী , আলয়েসিয়াস বেনেডিক্টাস মবি যিনি পূর্ব নুসা টেঙ্গারার গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, সেখানের জনগণের স্বাস্থ্য ও কল্যাণে কাজ করেন। [১]

তিনি এইআইভি/এইডস এর ব্যাপক প্রচারের কারণে পরিচিত। ২০০৪ সালে "সেনানি কমিটমেন্ট" প্রতিষ্ঠা করেন যেটি এডস প্রতিরোধের জন্য সরকারের একটি মাইলফলক প্রতিশ্রুতি হয়ে ওঠে। তিনি মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার জন্য পরিচিত এবং জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির প্রধান ছিলেন। সরকারে, ১৯৮২-১৯৮৭ সালে তিনি পিপলস কনসালটেন্ট অ্যাসেম্বলি-এর সদস্য ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে, নাফসিয়া জাতীয় এইডস কমিশনের নির্বাহী সচিব এবং নারীর জাতীয় কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]

জুন ১৩, ২০১২-এ, মবি রাষ্ট্রপতি সুসিলো বামবাং ইয়ুধনো কর্তৃক স্বাস্থ্য মন্ত্রী নিযুক্ত হন, মে ২, ২০১২-এ পূর্বের মন্ত্রী এন্ডং রাহায়ু সিদ্দীনিংহিস ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যাওয়ার পর। তার নিয়োগের পর থেকে এই মন্ত্রণালয়টি নারী মন্ত্রীদের দ্বারা পরপর পরিচালিত হচ্ছে। মবি সবচেয়ে বেশি বয়সে মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছেন, ৭১ বছর বয়সেও স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছিলেন।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Mengenal Sosok Menkes nafsiah"Kompas.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Jelang Pelantikan, Nafsiah Mboi Dapat Dukungan"। ৮ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৫ 
  3. "Nafsiah Mboi, Menteri Kesehatan Tertua di Indonesia"Solopos.com। ৮ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

  • Ministry of Health, Republic of Indonesia [১]
রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
এন্ডং রাহায়ু সিদ্দীনিংহিস
স্বাস্থ্য মন্ত্রী
১৪ জুন ২০১২– ২০ অক্টোবর ২০১৪
উত্তরসূরী
নিলা মোয়েলেক