নাদিন আশরাফ (আরবি: نادين اشرف; জন্ম ১২ মার্চ ১৯৯৮) একজন মিশরীয় নারীবাদী কর্মী। তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার মিশরের মধ্যে #MeToo আন্দোলনকে প্ররোচিত করেছিল। ২০২০ সালে তিনি বিবিসির বর্ষসেরা ১০০ জন নারীর একজন হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

নাদিন আশরাফ
কায়রোর ইভেন্ট সিরিজ স্পিক আপে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আলোচনা প্যানেলে নাদিন আশরাফ মিশরজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন হয়রানির বিষয়ে বক্তব্য রাখছেন
জন্ম
نادين اشرف

(1998-03-12) ১২ মার্চ ১৯৯৮ (বয়স ২৬)
কায়রো, মিশর
নাগরিকত্বমিশরীয়
শিক্ষামার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো
পেশাশিক্ষার্থী ও সক্রিয়কর্মী
পরিচিতির কারণInsitigating the #MeToo movement in Egypt
পুরস্কারBBC's 100 Women, Equality Now’s Changemaker Award presented by Gucci

জীবনী সম্পাদনা

নাদিন আশরাফ ১৯৯৮ সালে মিশরের রাজধানী কায়রোতে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার বাবা একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং মা একজন পুষ্টিবিদ।[১] ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি কায়রোর মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন।[১] ১ জুলাই ২০২০ এর রাতে আশরাফ "অ্যাসল্ট পুলিশ" নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পৃষ্ঠা তৈরি করেন। এটি ছিল মিশরীয় নারীদের #MeToo আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রথম পাবলিক প্ল্যাটফর্ম।[১] ২০১৩ সালের এক জরিপে অংশ নেওয়া ৯৯% মিশরীয় নারী বলেছেন যে, তারা কোনো না কোনো সময়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।[২]

নাদিন আশরাফ প্রাথমিকভাবে যেসব নারী যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা প্রকাশের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করার জন্য "অ্যাসল্ট পুলিশ" ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি তৈরি করেন।[২] এই অ্যাকাউন্টটি হয়রানকারী এবং কথিত ধর্ষক, আহমেদ বাসাম জাকির মামলা উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যাকে ডিসেম্বর ২০২০ সালে অনলাইনে যৌন হয়রানির অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।[৩] এই হাই প্রোফাইল মামলার কারণে মিশরের জনসাধারণ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যেমন কায়রোর আল-আলজার মসজিদ, ধর্ষণ এবং যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলে।[৪] "অ্যাসল্ট পুলিশ" অ্যাকাউন্টের বিষয়বস্তু নারীকে লক্ষ্য করে শিষ বাজানো থেকে শুরু করে যৌন সহিংসতা সম্পর্কে সাধারণ উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি মহিলাদের শিক্ষিত এবং সম্পদ সরবরাহের জন্য প্রসারিত হয়েছে।[১] এটি অন্যান্য আন্দোলনকে উৎসাহিত করেছে এবং অন্যান্য নারীদের যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কথা বলতে উৎসাহিত করেছে। এর উদাহরণ হচ্ছে মিশরের উচ্চতর চলচ্চিত্র ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।[৫]

২০২০-এর শেষের দিকে, আশরাফ ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টকে একটি পূর্ণ-কালীন সংস্থায় রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা করেছিলেন যা যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের বিভিন্ন উপায়ে সহায়তা করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে তাদের পেশাদারদের সাথে যোগাযোগ করতে সহায়তা করা থেকে শুরু করে তাদের আইনি সহায়তা এবং থেরাপি প্রদান করা।[৬]

পুরস্কার সম্পাদনা

২০২০ সালে আশরাফ বিবিসির বর্ষসেরা ১০০ জন নারীর একজন হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।[৭][৮] গুচির পৃষ্ঠপোষকতায় ইক্যুয়ালিটি নাও ভার্চুয়াল গালায় তাকে চেঞ্জমেকার পুরস্কারও প্রদান করা হয়।[৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Walsh, Declan (২০২০-১০-০২)। "The 22-Year-Old Force Behind Egypt's Growing #MeToo Movement"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৬ 
  2. Farouk, Menna A. (২০২০-০৯-০৩)। "Egypt's #MeToo crusader fights sex crimes via Instagram"Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৬ 
  3. "Egypt student jailed for 3 years for online sexual harassment"Middle East Monitor (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১২-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৬ 
  4. "Egypt's #MeToo Activists See Progress, but 'the Road Ahead Is Long'"www.worldpoliticsreview.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৬ 
  5. "Egyptian Female Students at Higher Institute of Cinema Speak Out Against Sexual Harassment"Egyptian Streets (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৭-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৬ 
  6. "Egypt's Nadeen Ashraf on BBC's '100 Most Influential Women' of 2020"Egyptian Streets (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৬ 
  7. "BBC 100 Women 2020: Who is on the list this year?"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১১-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৬ 
  8. "BBC names two Egyptians in its '100 Women 2020' list"Egypt Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৬ 
  9. "Egyptian Activist Nadeen Ashraf Honored by Equality Now Among International Public Figures"Egyptian Streets (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৬