নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হলো নাটোর জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত একটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়।[১] এটি ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতীয়করণের পর স্কুলটির নতুন নাম নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় করা হয়।
নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
অবস্থান | |
আলাইপুর, নাটোর সদর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক | ২৪°২৪′৫৪″ উত্তর ৮৮°৫৮′৫৫″ পূর্ব / ২৪.৪১৪৮৯৬° উত্তর ৮৮.৯৮১৮৩৮° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৪৪ |
বিদ্যালয় বোর্ড | রাজশাহী বোর্ড |
বিদ্যালয় জেলা | নাটোর জেলা |
ইআইআইএন | ১২৪১৩৯ |
অধ্যক্ষ | মো. আব্দুল মতিন |
শ্রেণি | মাধ্যমিক |
লিঙ্গ | বালিকা |
ভাষা | বাংলা |
শিক্ষায়তন | ৩.৮৮ একর |
ক্যাম্পাসের ধরন | শহুরে, অনাবাসিক |
রং | নীল কামিজ, সাদা ওড়না, পায়জামা ও স্কার্ফ |
প্রকাশনা | সাঁকো (ম্যাগাজিন) |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনানাটোর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৪৪ সালে নাটোর জেলার সদর উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে সামান্য জমি ও একটি টিনের চালাঘরে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ লাভ করে। এই বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন প্রফুল্ল চন্দ্র রায় চৌধুরী।
বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ প্রায় ৩.৮৮ একর। ভবন রয়েছে ১০টি, শ্রেণিকক্ষ সংখ্যা ১৮টি এবং অফিসসহ ১৫টি কক্ষ সমেত এই বিদ্যালয়ে রয়েছে একটি মাঠ, মুক্তমঞ্চ ও শহীদ মিনার। এছাড়া রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি সমেত ১টি মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষ, একটি আইসিটি ল্যাব, ৩টি বিজ্ঞানাগার এবং নতুন ও পুরাতন বই সমৃদ্ধ পাঠাগার।[২]
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাবিদ্যালয়ে পূর্বে ১টি শিফট চালু থাকলেও ২০১০ সাল থেকে ২টি শিফট চালু হয়। বিদ্যালয়টিতে তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। প্রভাতী শিফটে শিক্ষাকার্যক্রম চলে সকাল ৭.৩০ থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত। দিবা শিফটে চলে বেলা ১২.৩০ থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।
প্রভাতী ও দিবা মিলিয়ে ৮টি শ্রেণির ৩২টি শাখায় বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১৯১৬ জন। দুই শিফটে ৪২ জন দক্ষ শিক্ষক শিক্ষাদান করে থাকেন।[৩] বিদ্যালয়ের বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জনাব মো. আব্দুল মতিন।
এই বিদ্যালয়ে প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়। প্রভাতী শাখাতে নবম-দশম শ্রেণির জন্য বিজ্ঞান ও মানবিক এবং দিবা শাখাতে নবম-দশম শ্রেণির জন্য বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগ চালু আছে।
ভর্তি প্রক্রিয়া
সম্পাদনানাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও অষ্টম শ্রেণিতে সাধারণত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়। তবে ২০২০ সালে করোনা মহামারির জন্য বিদ্যালয়ে পরীক্ষার বদলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয়েছে ।
ফলাফল
সম্পাদনানাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভালো ফলাফল করে এসেছে। পিইসি, জেএসসি ও এসএসসিতে শিক্ষার্থীদের পাশের হার ১০০% এবং জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
বর্ষ | শিক্ষার্থী সংখ্যা | পাশের সংখ্যা | জিপিএ-৫ প্রাপ্ত |
---|---|---|---|
২০১৫ | ২২০ | ২১৫ | ৭৯ |
২০১৬ | ২২৭ | ২২৫ | ৮৮ |
২০১৭ | ২৩৪ | ২৩২ | ৯২ |
২০১৮ | ২৩৮ | ২৩৭ | ১০৭ |
বর্ষ | পরীক্ষার্থী সংখ্যা | পাশের সংখ্যা | জিপিএ ৫ প্রাপ্ত |
---|---|---|---|
২০১৬ | ২৩৪ | ২৩৪ | ১৬৫ |
২০১৭ | ২৩৮ | ২৩৮ | ১৭৮ |
২০১৮ | ২৪৩ | ২৪৩ | ৮১ |
২০১৯ | ২৪৮ | ২৪৮ | ১২৪ |
বর্ষ | পরীক্ষার্থী সংখ্যা | পাশের সংখ্যা | জিপিএ ৫ প্রাপ্ত |
---|---|---|---|
২০১৬ | ২৫৫ | ২৫৩ | ২১০ |
২০১৭ | ২২৮ | ২২৮ | ১৫৫ |
২০১৮ | ২৩১ | ২৩১ | ১৬৬ |
সহশিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনানাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান। মিলাদ মাহফিল, সরস্বতী পূজা ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরা গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের চিহ্ন রেখে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত বিতর্ক ক্লাবের উদ্যোগে নিয়মিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ও বিজয়ী হয়। ২০১৮ সালের সমকাল- বিএফএফ আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রাজশাহী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়।[৪] বিভিন্ন জাতীয় দিনগুলোতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। এছাড়া গাছ লাগানো, বন্যার্তদের সাহায্য প্রদান, নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মাদকবিরোধী বিষয়ক বিভিন্ন সেমিনার, সভার আয়োজন করা হয়। নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী আফরা আনজুম প্রীতি ২০১৮ সালে দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়। এছাড়া বিজ্ঞান প্রজেক্ট তৈরি, কুইজ, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, গার্লস গাইডসহ দেশের বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সাফল্য বজায় রেখেছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "List of Secondary Schools" (XLS)। Ministry of Education। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়"। www.ngghsnatore.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৫।
- ↑ শিক্ষক শিক্ষিকা। "নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়"। www.ngghsnatore.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৫।
- ↑ "'বিতর্ক মুক্তবুদ্ধি চর্চার অন্যতম উপায়'"। সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বাংলাদেশের বিদ্যালয় বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |