নাজমা শামীমা লাইজু
নাজমা শামীমা লাইজু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, যিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১][২] তিনি বৃহত্তর রাজশাহী ও বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার নারী সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন।[৩]
অধ্যাপিকা নাজমা শামীমা লাইজু | |
---|---|
২ নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৩ – ১৯৭৬ | |
পূর্বসূরী | আসন শুরু |
উত্তরসূরী | তসলিমা আবেদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
জন্ম ও পড়াশোনা
সম্পাদনানাজমা শামিমা লাইজুর পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলায়। তার বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় তিনি বাস করেছেন। ১৯৬৫ সালে তিনি রাজশাহীতে আসেন এবং রাজশাহী কলেজে ভর্তি হন। এরপর ১৯৬৮ সালে মাস্টার্সে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।[৪]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনানাজমা শামীমা লাইজু ১৯৬২ সালে দশম শ্রেণির ছাত্রী থাকাকালে 'শরীফ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিল' আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন। ১৯৬৪ সালে তাদের বাড়িতেই ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহে থাকাকালীন তিনি সৈয়দ নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে রাজনীতি চর্চার সুযোগ লাভ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৬৯-৭০ সালে তার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়টির তখনকার একমাত্র মহিলা হল 'মুন্নুজান হল' এ ছাত্রলীগের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়।[৫] এছাড়া তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগঠক হিসেবে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। যদিও মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি সন্তানসম্ভবা থাকায় সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে যোগ দিতে পারেন নি, তবে সংগঠক হিসেবে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেন।[৪] ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদের মহিলা আসন-২ থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন।[১][৬]
পার্লামেন্টারি ডেলিগেশন
সম্পাদনাস্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমান রাশিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু রাষ্ট্র ছিলো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সরকার তাকে পার্লামেন্টারি ডেলিগেশনের সদস্য হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রেরণ করেন। তার এই সফর কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।[৪]
প্রবাস জীবন
সম্পাদনা১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর তিনি প্রকাশ্য রাজনীতি থেকে কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। এর কিছুদিন পর তিনি আমেরিকায় প্রবাস জীবন লাভ করেন। আমেরিকার শিকাগোতে 'বঙ্গবন্ধু এভিনিউ' নামে যে সড়কটি রয়েছে, তার নামকরণের ক্ষেত্রে নাজমা শামীমা লাইজুর ভূমিকা রয়েছে।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "একনজরে নির্বাচনের ফলাফল"। দৈনিক যুগান্তর। ১৬ মার্চ ২০২০। ২৬ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ ভৌমিক, রীতা (১৫ মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ)। "বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংসদে নারী"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ গ ঘ মিঠি, মনিরা রহমান (২০১৩)। "রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে নারী"। বরেন্দ্রের বাতিঘর। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন: ১৭৭।
- ↑ মিঠি, মনিরা রহমান (২০১৩)। "রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে নারী"। বরেন্দ্রের বাতিঘর। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন: ১৭৭।
- ↑ The Election Archives (ইংরেজি ভাষায়)। Shiv Lal। ১৯৮১।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |